ওজোন স্তর কাকে বলে?
পৃথিবীর ১২ থেকে ৩০ কিমি উপরে, বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে রয়েছে ওজোন স্তর। বহির্মহাকাশ থেকে বিচ্ছুরিত বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি, সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে প্রাণী ও উদ্ভিদকূলকে রক্ষা করে ওজোন স্তর।
ওজোনের মধ্যে রয়েছে অক্সিজেনের তিনটি পরমাণু। অন্যদিকে অক্সিজেনে এই পরমাণুর সংখ্যা দুই। সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত অতিবেগুনি রশ্মি একদিকে যেমন ওজোনকে অক্সিজেনে ভেঙে ফেলে অন্যদিকে অক্সিজেন থেকে ওজোন গঠন করতেও সহায়তা করে। তাই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোনের পরিমাণে একটি সাধারণ ভারসাম্য রক্ষিত হতে দেখা যায়। ওজোনের স্তর সাধারণভাবে বিষুবরেখার কাছাকাছি পাতলা বা হালকা। অন্যদিকে মেরু বিন্দুর কাছাকাছি ওজোনের স্তর তুলনায় ভারী বা মােটা। ওজোনের স্তর সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি (২৪০ থেকে ৩২০ ন্যানােমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রশ্মিা) শােষণ করে।
ওজোন স্তর ধবংস করছে আধুনিক সভ্যতা। প্রধান ওজোন স্তর ধবংসকারী হল সিএফসি (ক্লোরাে ফুরােহাইড্রোকার্বন), রাসায়নিক সার থেকে উৎপন্ন নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং বিমান থেকে নির্গত গ্যাস। (ট্রোপােস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে যে সমস্ত বিমান যাতায়াত করে সেগুলি হামেশাই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে প্রবেশ করে)। ওজোন স্তরে এই গ্যাসগুলি অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ভেঙে গিয়ে ক্লোরিন উৎপন্ন করে। ক্লোরিন ওজোন বিধবংসী। ক্লোরিনের একটি পরমাণু ওজোনের এক লক্ষ অণু ধবংস করতে সক্ষম।
ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর অংশ (অতিবেগুনি রশ্মির কয়েকটি তরঙ্গদৈর্ঘ্য ক্ষতিকারক) বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৃথিবীতে এসে পৌঁছয়। এই ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
আরও পড়ুন-