খেলাধুলা বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর: ফুটবল || Sports questions Answer: Football
ফুটবল (FOOTBALL)
ফুটবল খেলার মাঠ ও নিয়মাবলী
1. মাঠ: ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্য 90 মিটার (10) থেকে 120 মিটার (130) গজ এবং প্রস্থ হবে 45 মিটার (50) গজ থেকে 90 মিটার (10) গজ ।
আন্তর্জাতিক প্রতিযােগিতায় মাঠের দৈর্ঘ্য 100 মিটার (20 গজ) থেকে 110 মিটার (127) গজ আর প্রস্থ হবে 60 মিটার (70 গজ) থেকে 75 মিটার (80 গজ) । তবে সাধারণ ফুটবল খেলায় কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠের দৈর্ঘ্য প্রস্থের হেরফের করতে পারে ।
2. গােলপােস্ট ও ক্রসবার: মাঠের উভয়দিকে প্রান্তরেখার ঠিক মাঝখানে দুটি গােলপোেস্ট থাকে । গােলপােস্টের উচ্চতা 2.44 মিটার (৪ ফুট), ক্রসবারের প্রস্থ 7.32 মিটার (12 ফুট) ।
3. গােল এরিয়া: গােলপােস্টকে মাঝখানে রেখে উভয় দিকে 18.32 মিটার (20 গজ) 5.5 মিটার (6 গজ) বেষ্টিত আয়তকার ক্ষেত্রটিকে গােল এরিয়া বলে ।
4. পেনাল্টি এরিয়া: দুই গােলপােস্ট থেকে কর্ণার পতাকার দিকে 16.50 মিটার (18 গজ) রেখা টেনে, রেখা দুটিকে মিলিত করে পেনাল্টি এরিয়া তৈরি করা হয় ।
5. পেনাল্টি মার্ক: গােলের ঠিক মধ্যবিন্দু থেকে মাঠের ভিতরের দিকে (গােল এরিয়া এবং পেনাল্টি এরিয়ার মাঝামাঝি) 11 মিটার (12 গজ) দূরত্বের একটি বিন্দু দিয়ে পেনাল্টি মার্ক তৈরি করা হয় ।
6. পেনাল্টি আর্ক: পেনাল্টি মার্ককে কেন্দ্রবিন্দু করে 9.15 মিটার (10 গজ) ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্তচাপ অঙ্কন করলে যে অংশ পেনাল্টি এরিয়ার বাইরে থাকে, একে পেনাল্টি আর্ক বলে ।
7. মাঠের দাগের চওড়া: মাঠের প্রতিটি দাগ 5 ইঞ্চি চওড়া হবে ।
8. কণার পতাকা: কণার এরিয়াকে চিহ্নিত করার জন্য মাঠের চারকোণে 4 টি 1.50 মিটার (5 ফুট) উঁচু কণার পতাকা থাকে ।
9. মিড সার্কেল: মাঠের ঠিক মধ্যবিন্দুকে কেন্দ্রকরে 9.15 মিটার (10 গজ) ব্যাসার্ধে একটি বৃত্ত অঙ্কন করে মিড সার্কেল তৈরি করা হয় ।
10. খেলােয়াড়: দুটি দলের মধ্যে খেলা হবে । প্রত্যেক দলে 11 জন খেলােয়াড় থাকবে ।
11. বল: ফুটবলের আকৃতি গােলাকার । বলের পরিধি 27 ইঞ্চি (71 সেমি) হয় । ওজন 14 আউন্স (396 গ্রাম) থেকে 16 আউন্স (453 গ্রাম) হতে হবে ।
12. পোশাক: প্রত্যেক দলের খেলােয়াড়রা একই রঙের গেঞ্জি বা জামা পরে খেলবে । তবে দু'দলের গােলকিপারের জার্সির রঙ ভিন্ন হতে হবে । প্রত্যেকেই বুট পরে খেলবে ।
13. সময়সীমা: দুই অর্ধে 45 মিনিট করে মােট 90 মিনিট খেলায় 10 মিনিট বিরতি দেওয়া হয় ।
14. পরিচালকমণ্ডলী: খেলা পরিচালনা করার জন্য চারজন রেফারীর মধ্যে একজন মাঠের ভেতর থেকে খেলা পরিচালনা করেন । দুজন অ্যাসিট্যান্ট রেফারী লাইন্সম্যানের দায়িত্বে থাকেন । চতুর্থ জন মাঠের বাইরে থেকে খেলা পরিচালনা করেন ।
কলাকৌশল
লাে ভলি কিক (Low Volley Kick): যখন বল মাটির খানিক উপরে থাকে তখন লাে ভলি কিক করা হয় । লাে ভলি কিক করার সময় মনে রাখতে হবে-
লাে ভলি কিক (Low Volley Kick) |
1) যে পা দিয়ে বলটাকে কিক করা হবে তার বিপরীত পা-টাকে বল যেখানে মারা হবে তার ঠিক পাশে রেখে শরীরের সব ভারটাকে তার উপর নিয়ে আসতে হবে ।
2) পায়ের আঙুলগুলাে থাকবে সম্পূর্ণ নীচের দিকে কেবল পায়ের পাতা বলকে স্পর্শ করবে ।
3) ভলি মারার সঙ্গে সঙ্গে যে পা দিয়ে বল মারা হয়েছে সেই পা-কেই বলের লাইনের একটু উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে ।
4) বলটা মারার পর যখন পা-টাকে বলের গতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জন্য শরীরের ওজনটাকে পায়ের পাতার উপর নিতে হবে ।
হাফ ভলি কিক (Half volley Kick): যে মুহূর্তে বল মাটিতে স্পর্শ করছে ঠিক সেই মুহূর্তে হাফ ভলি কিক করা হয় । এরজন্য সবার আগে প্রয়ােজন সময় জ্ঞানের । হাফ ভলি কিক করার সময় । মনে রাখতে হবে-
হাফ ভলি কিক (Half volley Kick)
2) যে পা দিয়ে হাফ ভলি মারা হবে সেই পায়ের হাঁটু ও দেহটাকে ঠিক বলের উপর নিয়ে যেতে হবে |
3) বল মারার সময় পায়ের আঙুলগুলাের দিকটা নিচে নিয়ে যেতে হবে যাতে পায়ের পাতার সম্পূর্ণটা বলের সঙ্গে লাগানাে যেতে পারে ।
4) পায়ের পাতা দিয়ে হাফ ভলি মারার সাথে সাথেই পাটাকে বলের গতির দিকে নিয়ে যেতে হবে |
ট্র্যাপিং (Trapping): যে কোনও বলকে সেটা উপর থেকে নিচের দিক দিয়েই আসুক বা একপাশ থেকে আরেক পাশে যেতে থাকুক; হাত বাদ দিয়ে শরীরের যে কোনও অংশ দিয়ে বল নিজের দখলে বা আয়ত্তে আনাকেই ট্র্যাপিং বলা হয় ।
সাধারণত দুভাবে ট্র্যাপিং করা যায়-
(i) কোণ পদ্ধতি (Angle Method): এই পদ্ধতিতে বলকে আয়ত্তে আনার জন্য বুক, উরু, পা কে এমনভাবে বলের সঙ্গে কোণ করে রাখতে হবে যাতে বল লেগে ঠিক সামনে গড়িয়ে পড়ে এবং বলটি নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলার গতিকে বজায় রাখতে হবে ।
(ii) গদি পদ্ধতি (Cushion Method): এই পদ্ধতিতে বলের গতিবেগ নষ্ট করে দিয়ে বলকে আয়ত্তে আনা হয় ।
পায়ের চেটো বা sole দিয়ে বল ট্র্যাপিং করা: এইভাবে বলকে আয়ত্ত করার জন্য মনে রাখতে হবে বল আসার সময় যে পা দিয়ে বলকে আয়ত্তে আনা হবে সেই পায়ের হাঁটু সামান্য ভেঙে ও পা'কে সামান্য ( 7/8 সেমি ) তুলে গােড়ালিকে নিচের দিকে রেখে পাকে 30 সেমির মতাে সামনে নিয়ে বলকে চেটো দিয়ে মার্টিতে আটকাবার চেষ্টা করতে হবে ।
পায়ের চেটো বা sole দিয়ে বল ট্র্যাপিং করা
পায়ের ভেতর দিয়ে বলকে ট্র্যাপিং করা: পা'কে পিছনে বা খানিকটা উপরে তুলে নিয়ে পা-টাকে বাইরের দিকে ঘুরিয়ে হাঁটুকে সামান্য ভেঙে বল আটকাতে হয় । শরীরের সম্পূর্ণ ওজনটা অন্য পায়ের উপর রাখতে হয় ।বলকে আয়ত্তে আনা (বুক দিয়ে): যখন বল ঠিক সামনে মাটিতে পড়ে উপরে ওঠে তখন বুকের নিচের অংশটাকে একটু পিছনের দিকে নিয়ে বলকে নিজের আয়ত্তে আনা হয় । বলটি বুকের নিচের অংশে লেগে সামনে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে । এছাড়া বুকের উপরের অংশ দিয়েও বলকে আয়ত্তে আনা হয় । যখন বল উঁচু থেকে নিচের দিকে নামে তখন দু’হাত দুপাশে নিয়ে গােড়ালি তুলে বুকের উপরের অংশটাকে একটু পেছনে নিয়ে বলটাকে আয়ত্তে আনা হয় ।
বলকে আয়ত্তে আনা (মাথা দিয়ে): যখন বল উপরের দিক থেকে আসে তখন কপালকে ঠিক বলের পিছনে নিয়ে বলকে স্পর্শ করে মাটিতে পায়ের কাছে ফেলে আয়ত্তে আনা হয় ।
পাসিং (Passing): সহ খেলােয়াড়কে পা দিয়ে বল দেওয়াকে পাসিং বলে । সাধারণত দুরকমভাবে বল দেওয়া যেতে পারে- 1 মাটি ঘেঁসে বল দেওয়া । 2 মাটির উপর বল তুলে পাস দেওয়া ।
পুশ পাস দেওয়ার সময় মনে রাখতে হবে-
◻ যে পা-টি বল মারার কাজে ব্যবহার হবে না, সেই পা’কে বলের পাশে 15-20 সেমি দূরে রাখতে হবে |
◻ যে পা দিয়ে বল মারা হবে সেই পায়ের ভেতরের দিকটা বলের দিকে করে নিতে হবে ।
◻ বল মারার সময় পায়ের সম্পূর্ণ ভেতরের অংশ বা ইনসাইডকে বলের সঙ্গে লাগাতে হবে ।
◻ বল যাকে দেওয়া হবে, বল মারার পর পাটাকে যতটা সম্ভব তার দিকেই নিয়ে যেতে হবে ।
◻ বলকে আঘাত করার সময় পায়ের তালু মাটি থেকে 2-3 সেমি উঠে থাকবে ।
◻ পায়ের হাঁটু সামান্য ভাঙা থাকবে এবং শরীরের ওজন, যে পায়ে বল মারা হচ্ছে না সেই পায়ে থাকবে ।
◻ একইভাবে আবার পায়ের পাতার সাহায্যে পাস দেওয়া যায় ।
ড্রিবলিং (Dribbling): পায়ে পায়ে বলকে গড়িয়ে নিয়ে যাওয়াকেই ড্রিবলিং বলা হয় । বিপক্ষকে কাটাবার জন্য বা নিজের খেলােয়াড়দের সঠিক জায়গায় আসার সময় দেবার জন্য ড্রিবলিং করা হয় । পায়ে পায়ে বলকে গড়িয়ে নিয়ে যাবার সময় । বলটাকে নিজের কাছাকাছি রেখে আয়ত্তের মধ্যেই রাখতে হয় । সেইসঙ্গে শরীরটাকে বলের উপর ও মাথাটা নিচের দিকে রেখে দৃষ্টি বলের দিকে রাখতে হয় ।
হেডিং (Heading): মাথা দিয়ে বলকে নানাভাবে নাড়াচাড়া করাকেই হেডিং বলে । এটা নিয়মসিদ্ধ এবং এটি সব সময়ই কপাল দিয়ে করা হয় । হেডিং করার সময় মনে রাখতে হবে-
◻ বলের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে ।
◻ কপালটা বলকে স্পর্শ করবে অথাৎ বলের কাছে কপাল যাবে । যে কোনও খেলােয়াড় মাথা দিয়ে বলটাকে যতদূর ইচ্ছা পাঠাতে পারে বা কাছাকাছি দাঁড়ানাে নিজের খেলােয়াড়কে দিয়ে দিতে পারে বা বলের দিক পরিবর্তন করে দিতে পারে ।
গােল কিপিং (Goal Keeping): ফুটবল খেলায় গােলরক্ষকের দায়িত্ব সবচেয়ে বড় দায়িত্ব । গােলরক্ষককে বেশিরভাগ বলই হাত দিয়ে ধরতে হয় । আবার সময় সময় পা দিয়েও বল আটকাতে ও মারতে হয় ।
1. নিচু বল
2. কোমর সমান বল
3. উঁচু বল
নিচু বল: নিচু বলকে গােলরক্ষক তিনভাবে ধরতে পারে ।
[i] একটা পা সামনে ও অপর পা পিছনে নিয়ে হাঁটু ভেঙে কোমর থেকে উপরের শরীরটা সামনে ঝুঁকিয়ে দুহাত দিয়ে বল ধরতে হয় ।
[ii] দুটো পা একসঙ্গে রেখে হাঁটু না ভেঙে কোমর থেকে শরীরে উপরের অংশ নিচে ঝুঁকিয়ে বল ধরতে হয় ।
[iii] এক পা পিছনে ও এক পা সামনে রেখে হাঁটু দুটো ভেঙে শরীরটাকে বলের লাইনের দিকে বাকিয়ে নিয়ে দুহাত দিয়ে বল ধরতে হয় ।
কোমর সমান বল: কোমর সমান বলকে বলের লাইনে দাঁড়িয়েই ধরতে হয় । বল ধরার সঙ্গে সঙ্গেই তল পেটটাকে ভেতরের দিকে নিয়ে বলটাকে পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েই দু'হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে হয় যাতে বলটা ছিটকে না পড়ে যায় ।
উঁচু বল: উঁচু বল ধরার সময় গােলরক্ষককে প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে যে বলটাকে সে কোনওরকম বাধা ছাড়াই ধরার সুযােগ পাবে । বল ধরার জন্য গােলরক্ষককে লাফিয়ে সামনের দিকে উঁচুতে বলের লাইনে যেতে হবে এবং হাত দুটোকে টান টান করে, বুড়াে আঙুলকে একসঙ্গে রেখে বলটা ধরতে হবে ।
আরও পড়ুন- খেলাধুলা বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর ভলিবল
ফুটবল খেলাধুলা বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর
Football quiz with answers
ফুটবল খেলা বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর-
১. কিছু কিছু ঐতিহাসিকদের মতে ফুটবল খেলা প্রথম শুরু হয় কোথায় ?
উত্তর: চিন ও ইংল্যান্ডে ।
২. ফুটবল খেলা নিয়ে ভীষণ মাতামাতি আরম্ভ করেছিল কারা ?
উত্তর: ইংল্যান্ডের লােকেরা ।
৩. মধ্যযুগের ইংল্যান্ডে ফুটবল খেলা হত কাদের মধ্যে ?
উত্তর: দুই গ্রামের বা পাড়ার মধ্যে ।
৪. মধ্যযুগে ইংল্যান্ডে দুই গ্রামের মধ্যে খেলা হত কোথা থেকে ?
উত্তর: দুই গ্রামের মাঝামাঝি এক জায়গা থেকে ।
৫. মধ্যযুগে ইংল্যান্ডের ফুটবল খেলায় কি ধরনের হতাে ?
উত্তর: হাত-পা ভাঙত এবং জীবন বিপন্ন হত ।
৬. ফুটবল অ্যাসােসিয়েশনের জন্ম কত সালে ?
উত্তর: ১৮৩৩ সালে ।
৭. ফুটবল অ্যাসােসিয়েশনের জন্ম কোন দেশে ?
উত্তর: ইংল্যান্ডে
৮. ইংল্যান্ডে পেশাদারি ফুটবল খেলার প্রচলন হয় কত সালে ?
উত্তর: ১৮৭১ সালে ।
আরও পড়ুন- খেলাধুলা বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর বাস্কেটবল
৯. ফুটবল প্রথম লিগ খেলা কত সালে অরম্ভ হয় ?
উত্তর: ১৮৮৮ সালে ।
১০. প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তর: ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে ।
১১. ‘ফিফা' কত সালে গঠিত হয় ?
উত্তর: ১৯০৪ সালে ।
১২. ফিফা কত সাল থেকে বিশ্বকাপের আয়ােজন করে চলেছে ?
উত্তর: ১৯৩০ সাল থেকে ।
১৩. বেসরকারিভাবে ফুটবলে প্রথম অলিম্পিক শুরু হয়েছিল কত সালে ?
উত্তর: ১৯০০ সালে ।
১৪. সরকারিভাবে অলিম্পিক প্রতিযােগিতা শুরু হয় ?
উত্তর: ১৯০৮ সালে ।
১৫. ১৯০৮ সালের অলিম্পিক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তর: লন্ডনে ।
১৬. ভারতে কারা ফুটবল খেলা প্রথম প্রচলন করেন ?
উওর: ইংরেজরা ।
১৭. ভারতে প্রথম প্রতিযােগিতামূলক ফুটবল খেলা হয় কত সালে ?
উত্তর: ১৮২১ সালে ।
১৮. উনবিংশ শতাব্দীতে ভারতে ফুটবল খেলার পীঠস্থান কোথায় ছিল ?
উত্তর: এলাহাবাদে ।
আরও পড়ুন- খেলাধুলা বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর মাঠ নিয়মাবলী হকি
১৯. ভারতের প্রথম ফুটবল ক্লাবের নাম কী ?
উত্তর: ডালহৌসী ক্লাব ।
২০. ভারতের প্রথম ফুটবল ক্লাব ‘ ডালহৌসী ক্লাব ’ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তর: ১৮৭২ সালে ।
২১. বাঙালিরা প্রথম কোথায় ফুটবল খেল শুরু করে ?
উত্তর: কলকাতার হেয়ার স্কুল মাঠে ।
২২. বাঙালিরা প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করে কত সালে ?
উত্তর: ১৮৭৮ সালে ।
২৩. স্যার হেনরি মার্টিমার ডুরান্ড কোন ফুটবল প্রতিযােগিতা শুরু করেন ?
উত্তর: ডুরান্ড কাপ ।
২৪. ডুরান্ড কাপ প্রতিযােগিতা কত সালে শুরু হয়েছিল ?
উত্তর: ১৮৮৮ সালে ।
২৫. ডুরান্ড কাপ ফুটবল প্রথম কোথায় হয়েছিল ?
উত্তর: সিমলাতে ।
২৬. প্রথম কোন দল ডুরান্ড কাপ ফুটবল প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারত ?
উত্তর: সামরিক দল ।
২৭. প্রথম ডুরান্ড কাপ জয়ী দলের নাম কী ?
উত্তর: রয়্যাল স্কটস ফুসিলার্স দল ।
আরও পড়ুন- খেলাধুলা বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর ক্রিকেট
২৮. ভারতীয় দল হিসাবে প্রথম কোন দল ডুরান্ড কাপ ফুটবল প্রতিযােগিতা জিতেছিল ?
উত্তর: মহামেডান স্পােটিং ক্লাব ।
২৯. মহামেডান স্পােটিং ক্লাব কত সালে ডুরান্ড কাপ জিতেছিল ?
উত্তর: ১৯৪০ সালে
৩০. রােভার্স কাপের প্রতিযােগিতা কত সালে শুরু হয় ?
উত্তর: ১৮৯১ সালে ।
৩১. রােভার্স কাপ প্রতিযােগিতা কাদের উৎসাহে শুরু হয় ?
উত্তর: রােভার্স ক্লাবের উৎসাহে ।
৩২. আই.এফ.এ. গঠিত হয় কত সালে ?
উত্তর: ১৮৯৩ সালে ।
৩৩. আই.এফ.এ. শিল্ড প্রতিযােগিতা কত সাল থেকে শুরু হয় ?
উত্তর: ১৮৯৩ সালে ।
৩৪. আই.এফ.এ. শিল্ড প্রথম কারা জয়লাভ করে ?
উত্তর: রয়্যাল আইরিশ রাইফেলস ।
৩৫. প্রথম ভারতীয় কোন দল আই.এফ.এ. শিল্ড জয়লাভ করে ?
উত্তর: মােহনবাগান ক্লাব ।
৩৬. আন্তঃরাজ্য ফুটবল প্রতিযােগিতা কত সাল থেকে শুরু হয় ?
উত্তর: ১৯৪১ সালে ।
৩৭. আন্তঃরাজ্য ফুটবল প্রতিযােগিতায় কোন ট্রফি দেওয়া হয় ?
উত্তর: সন্তোষ ট্রফি ।
৩৮. ‘সন্তোষ ট্রফি ’ কার স্মৃতিতে দেওয়া হয় ?
উত্তর: মহারাজা মন্মথনাথ চৌধুরীর ।
৩৯. সন্তোষ ট্রফি প্রথম কোন রাজ্য জয় করেছিল ?
উত্তর: বাংলা ।
৪০. ভারত প্রথম সরকারিভাবে অলিম্পিক ফুটবলে যােগদান করেছিল ?
উত্তর: লন্ডন অলিম্পিকে ।
৪১. প্রথম এশিয়ান গেমস কত সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তর: ১৯৫১ সালে ।
৪২. প্রথম এশিয়ান গেমস কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তর: দিল্লিতে ।
৪৩. কোয়াড্রলার বা কলম্বাে কাপ ফুটবল প্রতিযােগিতা কত সালে শুরু হয়েছিল ?
উত্তর: ১৯৫২ সালে ।
৪৪. কোয়াড্রঙ্গলার ফুটবল কাপ প্রথম কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তর: কলম্বােতে ।
৪৫. মেলবাের্ন অলিম্পিক গেমসে ভারতীয় ফুটবল দলের কৃতিত্ব কতখানি ছিল ?
উত্তর: চতুর্থ স্থান ।
৪৬. কলকাতার ফুটবল লিগের খেলা প্রথম কত সালে শুরু হয়েছিল ?
উত্তর: ১৮৯৮ সালে ।
৪৭. ভারতীয় ফুটবলে প্রথম কে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন ?
উত্তর: পি. কে. ব্যানার্জী ।
৪৮. আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠের দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তর: ১০০ মিটার থেকে ১১০ মিটার ।
৪৯. আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠের প্রস্থ কত ?
উত্তর: ৫০ মিটার থেকে ৮৫ মিটার ।
৫০. ফুটবল মাঠের মাপগুলির দাগ সর্বাধিক চওড়া কত হবে ?
উত্তর: ৫ ইঞ্চি ।
৫১. ফুটবল মাঠের চারকোণে যে দন্ড থাকে তার উচ্চতা কত হয় ?
উত্তর: ৫ ফুট ।
৫২. ফুটবল মাঠের গােলপপাস্টের উচ্চতা ও চওড়া কত হয় ?
উত্তর: ৮ ফুট উঁচু ও ৭.৩২ মিটার চওড়া ।
৫৩. গােলপপাস্টের কাঠগুলি চওড়া কত হয় ?
উত্তর: ৫ ইঞ্চি ।
৫৪. ফুটবল খেলার সময় বলের ওজন কত হবে ?
উত্তর: ৪১০-৪৫০ গ্রাম ।
৫৫. ফুটবল দলে সর্বোচ্চ কতজন খেলােয়াড় থাকে ?
উত্তর: ১১ জন ।
৫৬.ফুটবল খেলায় প্রতিটি দলে মােট কত জন অতিরিক্ত খেলােয়াড় থাকতে পারে ?
উত্তর: ৭ জন ।