কারক বিভক্তি নির্ণয়
আজকের এই পোস্টে কারক বিভক্তি নির্ণয় নিয়ে আলোচনা করছি, যা তোমাদের সমস্ত পরিক্ষাতে কাজে দেবে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কারক বিভক্তি করার নিয়ম গুলি।
আর একটু ভাত দাও তো - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন - করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
আলোয় মাঠের কোল ভরেছে - করণকারকে ‘য়’ বিভক্তি।
‘আজ্ঞা কর দাসে, শাস্তি নরাধর্মে’ - কর্মকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
আমি তোমার জীবন দান করিলাম - কর্মকারকে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি।
আমি রাজধর্মে পতিত হইব - অপাদানকারকে ‘ এ ’ বিভক্তি।
ইহার পিতার নাম জিজ্ঞাসা করি - সম্বন্ধে ‘ র ’ বিভক্তি ; কর্মকারকে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি।
ইংরেজের স্কুলে পড়িতেছি - অধিকরণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
উপার্জন যা হয় তা এই ইলিশের মরসুমে - অধিকরণে ‘এ’ বিভক্তি।
একমনে মায়ের মুখের মহাভারত পড়া শুনিত - অপাদানকারকে ‘এর’ বিভক্তি।
একদিন চলে যাবে তোমার সন্তান - অধিকরণকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
এ মেয়ে তো মেয়ে নয় - কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
কেমন শকুন্তলাবণ্য দেখ - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
কালো মেঘে জল হয় অপাদানকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
গাধা পিটিয়ে ঘোড়া বানান তিনি - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
চাকরগুলো পর্যন্ত তাহাকে নীচু নজরে দেখে - করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
চোখে চোখে রাখতে করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
চশমা দিয়ে দেখো - করণকারকে ‘দিয়ে’ বিভক্তি।
ছেলেটি অঙ্ক কষে - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
জামা কিনিতে গেলাম, পাইলাম একটি মোজা - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
জগতের দেবতারে নহে - কর্মকারকে ‘রে’ বিভক্তি।
ঝড়ে আমাদের বড়োই উপকার করিয়াছে - কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
তবে আমি উহারে ছাড়িব না - করণকারকে ‘রে’ বিভক্তি।
তাঁহাকে বন্ধন হইতে মুক্ত করিলেন - অপাদানকারকে ‘হইতে’ বিভক্তি।
তরবারি নামাইলেন - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
তোমাকে শত কোটি নমস্কার নিমিত্ত কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি।
দিলেন এ তাপ দাসে - নিমিত্তকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
নৌকা স্রোতে ভাসিয়া যায় - করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
নন্দন-কাননে ভ্রমে দুরাচার দৈত্য - কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
নবীন ধান্য দুলে দুলে সারা - কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
পথ দেখাও - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
পৃথিবীতে প্রলয় হোক্ - অধিকরণকারকে ‘তে ‘ বিভক্তি।
পুলিশের কাছে একথা কি বলতে আছে ? - কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
পাঠাইব রামানুজে শমন ভবনে - কর্মকারক ‘এ’ বিভক্তি ; অধিকরণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
পশ্চিমে মেঘ মেলছে জটা - কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি ; কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
আরও পড়ুন-