বাংলা বাগধারা তালিকা পিডিএফ
স্বরবর্ণ জনিত অক্ষর দ্বারা-
অ-
অকাল কুষ্মাণ্ড= অপদার্থ, অকেজো।
অকাল বোধন= অসময়ে আবির্ভাব।
অন্ধের যষ্টি= একমাত্র অবলম্বন।
অকূল পাথার= ভীষণ বিপদ।
অক্কা পাওয়া= মারা যাওয়া।
অগস্ত্য যাত্রা= শেষ প্রস্থান।
অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী= সামান্য বিদ্রার অহংকার।
অগাধ জলের মাছ= সুচতুর ব্যক্তি/অত্যন্ত কৌশলী।
অগ্নিশর্মা= নিরতিশয় ক্রুদ্ধ।
অগ্নিপরীক্ষা= কঠিন পরীক্ষা।
অগ্নিগর্ভ= তেজঃপূর্ণ।
অদৃষ্টের পরিহাস= ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।
অর্ধচন্দ্র= গলাধাক্কা।
অন্ধের ষষ্ঠি/অন্ধের নড়ি = একমাত্র অবলম্বন।
অকালকুসুম= অসম্ভব জিনিস।
অকালপক্ব= ইঁচরে পাকা।
অকূল পাথার= সীমাহীন বিপদ/মহাসংকট।
অমাবস্যার চাঁদ= দুর্লভ বস্তু।
অরণ্যে রোধন= নিষ্ফল আবেদন।
অহিনকুল সম্বন্ধ= ভীষণ শত্রুতা।
অক্ষয় বট= প্রাচীন ব্যক্তি।
অষ্টকপাল= আটকপালে/হতভাগ্য।
অষ্টরম্ভা= কাঁচকলা/কিছুই না।
আ-
আদায় কাঁচকলায়= ঘোর শত্রুতা।
আউলিয়া চাঁদ= যে অল্পেই আকুল হয়।
আকাশের চাঁদ= দুর্লভ বস্তু।
আকাশ কুসুম= অসম্ভব কল্পনা।
আক্কেল সেলামি= নির্বুদ্ধিতার দণ্ড।
আক্কেল গুড়ুম= হতবুদ্ধি/স্তম্ভিত।
আক্কেল দাঁত ওঠা= পাকা বুদ্ধি।
আগুনে ঘি ঢালা= রাগ বাড়ানো।
আটকপালে= হতভাগ্য।
আঠার মাসে বছর= দীর্ঘসূত্রিতা।
আদার ব্যাপারী= সামান্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকা।
আবোল-তাবোল= বাজে কথা।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি= অপদার্থ।
আমড়াগাছি করা= প্রতারণাপূর্ণ তোষামোদ।
আষাঢ়ে গল্প আজগুবি কেচ্ছা।
আঁটকুড়ো= নিঃসন্তান।
আঁকুপাঁকু= অতিরিক্ত ব্যগ্রতা বা ব্যস্ততার ভাব।
আষ্টেপৃষ্ঠে= সারা গায়/সর্বাঙ্গে।
আদিখ্যেতা= ন্যাকামি।
আঁতে ঘা= মনে ব্যথা দেয়া।
ই-
ইঁদুর কপালে= নিতান্ত মন্দ ভাগ্য।
ইঁচরে পাকা= আকালপক্ক।
ইলশে গুঁড়ি= গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
ইতর বিশেষ= পার্থক্য/প্রভেদ।
ইতস্তত করা= সংকোচ করা/গড়িমসি করা।
ইনিয়ে বিনিয়ে= ঘুরিয়ে ফিরিয়ে/নানাভাবে।
ঈ-
ঈদের চাঁদ= অতি কাঙ্খিত বস্তু।
উ-
উত্তম মধ্যম=প্রহার/পিটুনি/মারা।
উনিশ বিশ= সামান্য পার্থক্য।
উভয় সংকট= শাখের করাত।
উলখাগড়া= গুরুত্বহীন লোক।
উলুবনে মুক্ত= অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান।
উড়নচণ্ডী= অমিতব্যয়ী।
উড়ো চিঠি= বেনামি পত্র।
উসখুস করা= ছটফট করা।
উচ্ছন্নে যাওয়া= অধঃপাতে যাওয়া/চরিত্রের অবনতি হওয়া।
ঊ-
ঊনপঞ্চাশ বায়ু= পাগলামী।
ঊনপাঁজরে= হতভাগ্য দুর্বল।
এ-
এক কথার মানুষ= দৃঢ় সংকল্প ব্যক্তি।
এক গোয়ালের গুরু= একই শ্রেণিভূক্ত।
এক চোখা= পক্ষপাতিত্ব।
একমাঘে শীত যায় না= বিপদ একবারই আসে না।
একাদশে বৃহস্পতি= সৌভাগ্যের বিষয়।
এলাহি কাণ্ড= বিরাট আয়োজন।
এলোপাতাড়ি= বিশৃঙ্খলা।
এলেবেলে= নিকৃষ্ট।
এসপার ওসপার= সীমাংসা।
ও-
এজন বুঝে চলা= আত্মমর্যাদা।
ওষুধ ধরা= আকাঙিক্ষত ফল লাভ।
ওষুধ পড়া= প্রভাব পড়া।
ওৎ পাতা= সুযোগের প্রতক্ষায় থাকা।
ব্যঞ্জনবর্ণ জনিত অক্ষর দ্বারা-
ক-
কৈ মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না।
কাক ভূষণ্ডী= সম্পূর্ণ ভেজা/দীর্ঘজীবী।
কাকনিদ্রা= অগভীর সতর্ক নিদ্রা।
কাগুজে বাঘ= মিথ্যা জুজু।
কচু বনের কালাচাঁদ= অপদার্থ।
কেঁচে গণ্ডুষ= পুনরায় আরম্ভ।
কাছা ঢিলা= অসাবধান।
কানাকড়ি= কপর্দক।
কলুর বলদ= এক টানা খাটুনি।
তোদুরস্ত= পরিপাটি।
কানে খাটো= যে কম শুনতে পায়।
কেউকেটা= সর্বেসর্বা।
কূপমণ্ডুক= সীবাবদ্ধ জ্ঞান।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব= অসম্ভব বস্ত।
কুল কাঠের আগুন= তীব্র জ্বালা।
কাঠের পুতুল= নির্জব/ অসার।
কংস মামা= নির্মম আত্মীয়।
কুনো-ব্যাঙ= সীমিত জ্ঞান।
কান ভারী করা= কুপরামর্শ দান।
কল্পে পাওয়া= পাত্তা পাওয়া।
কেবলা হাকিম= অনভিজ্ঞ।
কারো পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ= কারো সুদিন, কারও দুর্দিন।
করাতের দাঁত= উভয় সংকট।
কলির সন্ধ্যা= দুঃখের আরম্ভ।
কুরুক্ষেত্র-কাণ্ড= প্রলয়ংকার ব্যাপার/প্রচণ্ড যুদ্ধ।
ক-অক্ষর গোমাংস= বর্ণ পরিচয়হীন।
খ-
খেজুরে আলাপ= অকাজের কথা।
খয়ের খাঁ= চাটুকার।
খোদার খাসি= হৃষ্টপুষ্ট ব্যক্তি
খণ্ড প্রলয়= তুমুল কাণ্ড।
গ-
গড্ডলিকা-প্রবাহ= অন্ধ অনুকরণ।
গায়ে পড়া= অযাচিত।
গো মূর্খ= নিরেট মূর্খ বা কাণ্ডজ্ঞানহীন।
গাছপাথর= নিসাবনিকাশ।
গৌরীসেনের টাকা= অফুরান্ত অর্থ।
গোবরে পদ্মফুল= নীচকুলে মহৎ ব্যক্তি।
গোবর গণেশ= মূর্খ।
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো= চিন্তাহীন লোক।
গৌরচন্দ্রিকা= ভূমিকা।
গোল্লায় যাওয়া= নষ্ট হওয়া।
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল= প্রাপ্তির পূর্বেই ভোগের আয়োজন।
গোকুলের ষাঁড়= স্বেচ্ছাচারী/ভবঘুরে।
গোড়ায় গলদ= শুরুতে ভুল।
ঘ-
ঘটিরাম= অপদার্থ।
ঘা খাওয়া= কষ্ট পাওয়া।
ঘাটের মরা= অতি বৃদ্ধ।
ঘোড়ার ডিম= অলীক পদার্থ।
ঘু ঘু চড়ানো= সর্বনাশ সাধন।
চ-
চোখ কপালে তোলা= বিস্মিত হওয়া।
চোখের নেশা= রূপের মোহ।
চোখের বালি= চক্ষুশূল।
চোখের চামড়া= নির্লজ্জ।
চাঁদের হাট= প্রিয়জনের সমাগম।
চুনোপুটি= সামান্য লোক।
চিনির বলদ= ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয়।
চিনির পুতুল= শ্রমকাতুরে।
চক্ষুদান করা= চুরি করা।
ছ-
ছ’ কড়া ন’ কড়া= সস্তা দর।
ছা পোষা= অত্যন্ত গরিব।
ছক্কা পাঞ্জা করা= লম্বা লম্বা কথা বলা।
ছুঁচোর কেত্তন= অবিরাম কলহ।
ছারখার হওয়া= ধ্বংস হওয়া।
ছিচ্কাঁদুনে= অল্পতেই কাঁদে এমন।
জ-
জগদ্দল পাথর= গুরুভার।
জিলাপির প্যাঁচ= কুটিলতা।
জগাখিচুড়ি পাকানো= গোলমাল বাধানো।
জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ= উভয় সংকট।
ঝ-
ঝাঁকের কই= এক দলের লোক।
ঝিকে মেরে বৌকে শিখান= আভাসে শিক্ষা।
ঝোপ বুঝে কোপ মারা= অবস্থা বুঝে সুযোগ গ্রহণ।
ট-
টইটম্বুর= ভরপুর।
টনক নড়া= সচেতন হওয়া।
টীকাভাষ্য= দীর্ঘ আলোচনা।
ঠোঁটকাটা= স্পষ্টভাষী।
টক্কর দেওয়া= প্রতিযোগিতা করা।
ঠ-
ঠোঁট ফুলানো= অভিমান করা।
ঠেলার নাম বাবাজী= চাপে পড়ে কাবু হওয়া।
ঠাওর করা= বুঝতে পারা/ অনুভব করা।
ঠাটঁ বজায় রাখা= অভাব চাপা রাখা।
ড-
ডাকাবুকো= দুরন্ত।
ডুমুরের ফুল= অদুশ্য বস্তু/ অমাবস্যার চাঁদ।
ডান হাতের ব্যাপার= আহার/ ভোজন।
ডামডোল= গোলযোগ।
ঢ-
ঢেঁকির কচকচি= কলহ।
ঢক্কা নিনাদ= উচ্চকন্ঠে ঘোষণা।
ঢাকের কাঠি= তোষামুদে।
ঢাকের বাঁয়া= মূল্যহীন।
ঢাকে কাঠি পড়া= সূচনা হওয়া।
ঢলাঢলি= পরস্পর কেলেঙ্কারি।
ঢাক ঢাক গুড় গুড়= লুকোচুরি।
ত-
তাসের ঘর= ক্ষণস্থায়ী।
তিলকে তাল করা= অতিরিক্ত করা।
তুর্কি নাচন= নাজেহাল অবস্থা।
তীর্থের কাক= সাগ্রহ প্রতীক্ষাকারী।
তামার বিষ= অর্থের কু-প্রভাব।
তাল কানা= বেতার হওয়া।
তেলো হাঁড়ি= গম্ভীর।
তেল-নুন-লকড়ি= খাদ্য বা খাদ্যের উপকরণ।
তুষের আগুন= দগ্ধকারী দুঃখ।
তুলসী বনের বাঘ= ভণ্ড।
ত্রিশঙ্কু অবস্থা= মধ্যাবস্থা।
থ-
থরহরি কম্প= ভয়ে প্রচণ্ড কাঁপা।
থ’ হয়ে যাওয়া, থতমত খাওয়া= কিংকর্তব্যবিমূঢ় হওয়া।
থোড়ই কেয়ার করা= বিন্দুমাত্র সমীহ বা গ্রাহ্য না করা।
থানা পুলিশ করা= নালিশ করা।
থ বনে যাওয়া= স্তম্ভিত হওয়া।
দ-
গা-কুমড়া= অহিনকুল।
দাঁও মারা= মোটা অংক লাভ করা।
দুধের মাছি= সু সময়ের বন্ধু।
দুধে ভাতে থাকা= ভোগে বা ঐশ্বর্যে থাকা।
দস্ত-ব-দস্ত= হাতে হাতে।
দহরম মহরম= অন্তরঙ্গতা।
ধ-
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে= পাপ গোপন না থাকা।
ধনকুবের= অত্যন্ত ধনী ব্যক্তি।
ধোপে টেকা= নানা বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে টিকে যাওয়া।
ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির= ধার্মিক।
ধর্মের কল= সত্য।
ধর্মের ষাঁড়= স্বেচ্ছাচারীতা ব্যক্তি।
ধামাধরা= চাটুকারিতা।
ধরি মাছ না ছুঁই পানি= কৌশলে কার্যসিদ্ধি।
ধরাকে সরা জ্ঞান করা= কাউকে গ্রাহ্য না করা।
ন-
ননীর পুতুল= শ্রমবিমুখ।
নখদর্পণে থাকা= পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্তে থাকা।
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ= নিজের ক্ষতি করে পরের ক্ষতিসাধন।
নেই আঁকড়া= একগোঁয়ে।
নকড়া ছকড়া= হেরাফেলা করা।
নবমীর দশা= মূর্ছা।
নিরানব্বইয়ের ধাক্কা= সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।
নয় ছয়= অপচয়।
প-
পটল তোলা= মারা যাওয়া।
পান্তা ভাতে ঘি= অপব্যবহার।
পালের গোদা= দলপতি।
পায়াভারী= অহংকার।
পাথরে পাঁচকিল= অদৃষ্ট যার সুপ্রসন্ন।
পোয়াবারো= সৌভাগ্য।
ফ-
ফোঁড়ন দেয়া= উত্তেজনাকর টিপ্পনী কাটা।
ফপর দালালি= গায়ে পরে মধ্যস্থগিরি।
ফাঁটা-কপাল= মন্দভাগ্য।
ফেটে ওঠা= ধনবান হওয়া।
ফুলের আঘাত= সামান্য দুঃখ কষ্ট।
ব-
বক ধার্মিক= ভণ্ড সাধু।
বুকের পাটা= সাহস।
বাঁ হাতের ব্যাপার= ঘুষ গ্রহণ।
বেগার ঠেলা= বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা।
বাঘের আড়ি= নাছোড়বান্দা/ দুশমণি।
বাঘের দুধ/চোখ=দুঃসাধ্য বস্তু।
ব্যাঙের সর্দি= অসম্ভব ঘটনা।
ব্যাঙের আধুলি= সামান্য সম্পদ।
বর্ণচোরা আম= কপট ব্যক্তি।
বিনা মেঘে বজ্রপাত= আকস্মিক বিপদ।
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে= জীবমাত্রই স্বাভাবিক অবস্থানে সুন্দর।
বারো মাসে তেরো পার্বণ= উৎসবের আধিক্য।
বারো ভূত= আত্মীয় লোকজন।
বালির বাঁধ= অস্থায়ী বস্তু।
বিষের পুটলি= হিংসুটে/বিদ্বেষী।
বস্তন্তের কোকিল= সুসময়ের বন্ধু।
বিসমিল্লায় গলদ= গোড়ায় গলদ।
বিড়াল তপস্বী= ভণ্ড সাধু।
বিড়ালের খুদ= শ্রদ্ধার সামান্য উপহার।
বুদ্ধির টেঁকি= নিরেট মূর্খ।
বাড়া ভাতে ছাই= আশা ভঙ্গ।
ভ-
ভুঁই ফোড়= অর্বাচীন/নতুন।
ভিজে বিড়াল= কপটচারী।
ভিটায় ঘুঘু চড়ানো= সর্বনাশ করা।
ভূতের ব্যাগার= অযথা শ্রম।
ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ= অপব্যয়।
ভানুমতির খেলা= যাদুবিদ্যা।
ভরাডুবি= সর্বনাশ।
ভূশণ্ডির কাক= দীর্ঘজীবী।
ভেরেণ্ডা ভাজা= অকাজের কাজ।
ভস্মে ঘি ঢালা= নিষ্ফল কাজ।
ভবলীলা সাঙ্গ হওয়া= মারা যাওয়া।
ম-
মগের মুল্লুক= অরাজক দেশ।
মাছের মা= নির্মম।
মাকাল ফল= অন্তঃসারশূন্য।
মাটির মানুষ= নিরীহ ব্যক্তি।
মহাভারত অশুদ্ধ= বড় রকমের অপরাধ।
মামার বাড়ির আবদার= সহজে মেটে এমন আকাঙ্খা।
মাথা খাওয়া= সর্বনাশ করা।
মোমের পুতুল= সামান্য পরিশ্রমেই কাতর হয় এমন লোক।
য-
যক্ষের ধন= অতিশয় কৃপণের ধন।
যমের অরুচি= সহজে যে মারা যায় না এই অর্থে।
যমের দোসর= নিষ্ঠুর ব্যক্তি।
যত গর্জে তত বর্ষে না= আড়ম্বরের তুলনায় কাজ কম।
যার লাঠি তারমাটি= জোর যার মুল্লক তার।
যাহা বাহান্ন তাহা তেপ্পান্ন= খুব সামান্য তফাত।
র-
রুই-কাতলা= পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
রাঘব বোয়াল= সর্বগ্রাসী ক্ষমতাসীন ব্যক্তি।
রাজঘোটক= চমৎকার মিলন।
রাবণের চিতা= চির অশান্তি।
রাবণের গোষ্ঠী= বড় পরিবার।
রাম রাজত্ব= শান্তি-শৃঙ্খলাযুক্ত রাজ্য।
রামগরুড়ের ছানা= গোমড়ামুখো লোক।
রাশভারি= গম্ভীর প্রকৃতির।
রক্তের টান= স্বজনপ্রীতি।
ল-
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার= অফুরন্ত ভাণ্ডার।
লঙ্কাকাণ্ড= তুমুল কাণ্ড।
লেফাফা দুরস্ত= বাইরে পরিপাটি।
লগন চাঁদ= ভাগ্যবান।
লক্কা পায়রা= ফুলবাবু।
লম্ব দেয়া= চম্পট দেয়া।
শ-
শরতের শিশির= সুসময়ের বন্ধু।
শকুনি মামা= কুচক্রী লোক।
শাঁখের করাত= উভয় সংকট।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা= দোষ গোপনের বৃথা চেষ্টা।
শনির দশা= দুঃসময়।
শনির দৃষ্টি= কুদৃষ্টি।
শাপে বর= অনিষ্টে ইষ্ট লাভ।
শিরে সংক্রান্তি= আসন্ন বিপদ।
শিয়ালের যুক্তি= অকেজো যু্ক্তি।
শিবরাত্রির সলতে= একমাত্র বংশধর।
শ্রম রাখি না কুল রাখি= উভয় সংকট।
ষ-
ষোলআনা/ষোলকলা= সম্পূর্ণ।
ষণ্ডামার্কা= একগুঁয়ে ও বলিষ্ঠ।
ষোল কড়াই কানা= সম্পূর্ণ বিনষ্ট।
স-
সাক্ষীগোপাল= কর্তৃত্বহীন দর্শকমাত্র।
সুখের পায়রা= বিলাসী/সুসময়ের বস্তু।
সাত পাঁচ ভাবা= নানারকম চিন্তা।
স-সে-মি-রা অবস্থা= কাণ্ডজ্ঞানহীন অবস্থা।
সরিষার ফুল দেখা= চোখে আঁধার দেখা।
সোনার পাথরবাটি= অসম্ভব বস্তু।
সোনায় সোহাগা= মণি কাঞ্চন যোগ।
সাপে নেইলে= শত্রুভাবাপন্ন।
স্বখাত সলিল= নিজ বিপদ ডাকা।
হ-
হ-য-ব-র-ল= বিশৃঙ্খলা।
হাতির পাঁচ পা দেখা= দুঃসাহসী হওয়া।
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা= সুযোগ হেলায় হারানো।
হরিষে বিষাদ= আনন্দে বিষাদ।
হাড় হাভাতে= হতভাগ্য।
হাড়হদ্দ= নাড়ি নক্ষত্র।
হস্তীমুর্খ= বোকা।
হাড় জুড়ানো= শান্তি পাওয়া।
হালে পানি পায় না= অকৃতকার্য হওয়া।
হাতটান= চুরির অভ্যাস।
হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গা= গোপ কথা ফাঁস করা।
সম্বিতম্বি= তর্জন-গর্জন।
স্বরবর্ণ জনিত অক্ষর দ্বারা-
অ-
অকাল কুষ্মাণ্ড= অপদার্থ, অকেজো।
অকাল বোধন= অসময়ে আবির্ভাব।
অন্ধের যষ্টি= একমাত্র অবলম্বন।
অকূল পাথার= ভীষণ বিপদ।
অক্কা পাওয়া= মারা যাওয়া।
অগস্ত্য যাত্রা= শেষ প্রস্থান।
অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী= সামান্য বিদ্রার অহংকার।
অগাধ জলের মাছ= সুচতুর ব্যক্তি/অত্যন্ত কৌশলী।
অগ্নিশর্মা= নিরতিশয় ক্রুদ্ধ।
অগ্নিপরীক্ষা= কঠিন পরীক্ষা।
অগ্নিগর্ভ= তেজঃপূর্ণ
অদৃষ্টের পরিহাস= ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।
অর্ধচন্দ্র= গলাধাক্কা।
অন্ধের ষষ্ঠি/অন্ধের নড়ি = একমাত্র অবলম্বন।
অকালকুসুম= অসম্ভব জিনিস।
অকালপক্ব= ইঁচরে পাকা।
অকূল পাথার= সীমাহীন বিপদ/মহাসংকট।
অমাবস্যার চাঁদ= দুর্লভ বস্তু।
অরণ্যে রোধন= নিষ্ফল আবেদন।
অহিনকুল সম্বন্ধ= ভীষণ শত্রুতা।
অক্ষয় বট= প্রাচীন ব্যক্তি।
অষ্টকপাল= আটকপালে/হতভাগ্য।
অষ্টরম্ভা= কাঁচকলা/কিছুই না।
আ-
আদায় কাঁচকলায়= ঘোর শত্রুতা।
আউলিয়া চাঁদ= যে অল্পেই আকুল হয়।
আকাশের চাঁদ= দুর্লভ বস্তু।
আকাশ কুসুম= অসম্ভব কল্পনা।
আক্কেল সেলামি= নির্বুদ্ধিতার দণ্ড।
আক্কেল গুড়ুম= হতবুদ্ধি/স্তম্ভিত।
আক্কেল দাঁত ওঠা= পাকা বুদ্ধি।
আগুনে ঘি ঢালা= রাগ বাড়ানো।
আটকপালে= হতভাগ্য।
আঠার মাসে বছর= দীর্ঘসূত্রিতা।
আদার ব্যাপারী= সামান্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকা।
আবোল-তাবোল= বাজে কথা।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি= অপদার্থ।
আমড়াগাছি করা= প্রতারণাপূর্ণ তোষামোদ।
আষাঢ়ে গল্প আজগুবি কেচ্ছা।
আঁটকুড়ো= নিঃসন্তান।
আঁকুপাঁকু= অতিরিক্ত ব্যগ্রতা বা ব্যস্ততার ভাব।
আষ্টেপৃষ্ঠে= সারা গায়/সর্বাঙ্গে।
আদিখ্যেতা= ন্যাকামি।
আঁতে ঘা= মনে ব্যথা দেয়া।
ই-
ইঁদুর কপালে= নিতান্ত মন্দ ভাগ্য।
ইঁচরে পাকা= আকালপক্ক।
ইলশে গুঁড়ি= গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
ইতর বিশেষ= পার্থক্য/প্রভেদ।
ইতস্তত করা= সংকোচ করা/গড়িমসি করা।
ইনিয়ে বিনিয়ে= ঘুরিয়ে ফিরিয়ে/নানাভাবে।
ঈ-
ঈদের চাঁদ= অতি কাঙ্খিত বস্তু।
উ-
উত্তম মধ্যম=প্রহার/পিটুনি/মারা।
উনিশ বিশ= সামান্য পার্থক্য।
উভয় সংকট= শাখের করাত।
উলখাগড়া= গুরুত্বহীন লোক।
উলুবনে মুক্ত= অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান।
উড়নচণ্ডী= অমিতব্যয়ী।
উড়ো চিঠি= বেনামি পত্র।
উসখুস করা= ছটফট করা।
উচ্ছন্নে যাওয়া= অধঃপাতে যাওয়া/চরিত্রের অবনতি হওয়া।
ঊ-
ঊনপঞ্চাশ বায়ু= পাগলামী।
ঊনপাঁজরে= হতভাগ্য দুর্বল।
এ-
এক কথার মানুষ= দৃঢ় সংকল্প ব্যক্তি।
এক গোয়ালের গুরু= একই শ্রেণিভূক্ত।
এক চোখা= পক্ষপাতিত্ব।
একমাঘে শীত যায় না= বিপদ একবারই আসে না।
একাদশে বৃহস্পতি= সৌভাগ্যের বিষয়।
এলাহি কাণ্ড= বিরাট আয়োজন।
এলোপাতাড়ি= বিশৃঙ্খলা।
এলেবেলে= নিকৃষ্ট।
এসপার ওসপার= সীমাংসা।
ও-
এজন বুঝে চলা= আত্মমর্যাদা।
ওষুধ ধরা= আকাঙিক্ষত ফল লাভ।
ওষুধ পড়া= প্রভাব পড়া।
ওৎ পাতা= সুযোগের প্রতক্ষায় থাকা।
ব্যঞ্জনবর্ণ জনিত অক্ষর দ্বারাঃ-
ক-
কৈ মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না।
কাক ভূষণ্ডী= সম্পূর্ণ ভেজা/দীর্ঘজীবী।
কাকনিদ্রা= অগভীর সতর্ক নিদ্রা।
কাগুজে বাঘ= মিথ্যা জুজু।
কচু বনের কালাচাঁদ= অপদার্থ।
কেঁচে গণ্ডুষ= পুনরায় আরম্ভ।
কাছা ঢিলা= অসাবধান।
কানাকড়ি= কপর্দক।
কলুর বলদ= এক টানা খাটুনি।
তোদুরস্ত= পরিপাটি।
কানে খাটো= যে কম শুনতে পায়।
কেউকেটা= সর্বেসর্বা।
কূপমণ্ডুক= সীবাবদ্ধ জ্ঞান।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব= অসম্ভব বস্ত।
কুল কাঠের আগুন= তীব্র জ্বালা।
কাঠের পুতুল= নির্জব/ অসার।
কংস মামা= নির্মম আত্মীয়।
কুনো-ব্যাঙ= সীমিত জ্ঞান।
কান ভারী করা= কুপরামর্শ দান।
কল্পে পাওয়া= পাত্তা পাওয়া।
কেবলা হাকিম= অনভিজ্ঞ।
কারো পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ= কারো সুদিন, কারও দুর্দিন।
করাতের দাঁত= উভয় সংকট।
কলির সন্ধ্যা= দুঃখের আরম্ভ।
কুরুক্ষেত্র-কাণ্ড= প্রলয়ংকার ব্যাপার/প্রচণ্ড যুদ্ধ।
ক-অক্ষর গোমাংস= বর্ণ পরিচয়হীন।
খ-
খেজুরে আলাপ= অকাজের কথা।
খয়ের খাঁ= চাটুকার।
খোদার খাসি= হৃষ্টপুষ্ট ব্যক্তি
খণ্ড প্রলয়= তুমুল কাণ্ড।
গ-
গড্ডলিকা-প্রবাহ= অন্ধ অনুকরণ।
গায়ে পড়া= অযাচিত।
গো মূর্খ= নিরেট মূর্খ বা কাণ্ডজ্ঞানহীন।
গাছপাথর= নিসাবনিকাশ।
গৌরীসেনের টাকা= অফুরান্ত অর্থ।
গোবরে পদ্মফুল= নীচকুলে মহৎ ব্যক্তি।
গোবর গণেশ= মূর্খ।
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো= চিন্তাহীন লোক।
গৌরচন্দ্রিকা= ভূমিকা।
গোল্লায় যাওয়া= নষ্ট হওয়া।
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল= প্রাপ্তির পূর্বেই ভোগের আয়োজন।
গোকুলের ষাঁড়= স্বেচ্ছাচারী/ভবঘুরে।
গোড়ায় গলদ= শুরুতে ভুল।
ঘ-
ঘটিরাম= অপদার্থ।
ঘা খাওয়া= কষ্ট পাওয়া।
ঘাটের মরা= অতি বৃদ্ধ।
ঘোড়ার ডিম= অলীক পদার্থ।
ঘু ঘু চড়ানো= সর্বনাশ সাধন।
চ-
চোখ কপালে তোলা= বিস্মিত হওয়া।
চোখের নেশা= রূপের মোহ।
চোখের বালি= চক্ষুশূল।
চোখের চামড়া= নির্লজ্জ।
চাঁদের হাট= প্রিয়জনের সমাগম।
চুনোপুটি= সামান্য লোক।
চিনির বলদ= ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয়।
চিনির পুতুল= শ্রমকাতুরে।
চক্ষুদান করা= চুরি করা।
ছ-
ছ’ কড়া ন’ কড়া= সস্তা দর।
ছা পোষা= অত্যন্ত গরিব।
ছক্কা পাঞ্জা করা= লম্বা লম্বা কথা বলা।
ছুঁচোর কেত্তন= অবিরাম কলহ।
ছারখার হওয়া= ধ্বংস হওয়া।
ছিচ্কাঁদুনে= অল্পতেই কাঁদে এমন।
জ-
জগদ্দল পাথর= গুরুভার।
জিলাপির প্যাঁচ= কুটিলতা।
জগাখিচুড়ি পাকানো= গোলমাল বাধানো।
জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ= উভয় সংকট।
ঝ-
ঝাঁকের কই= এক দলের লোক।
ঝিকে মেরে বৌকে শিখান= আভাসে শিক্ষা।
ঝোপ বুঝে কোপ মারা= অবস্থা বুঝে সুযোগ গ্রহণ।
ট-
টইটম্বুর= ভরপুর।
টনক নড়া= সচেতন হওয়া।
টীকাভাষ্য= দীর্ঘ আলোচনা।
ঠোঁটকাটা= স্পষ্টভাষী।
টক্কর দেওয়া= প্রতিযোগিতা করা।
ঠ-
ঠোঁট ফুলানো= অভিমান করা।
ঠেলার নাম বাবাজী= চাপে পড়ে কাবু হওয়া।
ঠাওর করা= বুঝতে পারা/ অনুভব করা।
ঠাটঁ বজায় রাখা= অভাব চাপা রাখা।
ড-
ডাকাবুকো= দুরন্ত।
ডুমুরের ফুল= অদুশ্য বস্তু/ অমাবস্যার চাঁদ।
ডান হাতের ব্যাপার= আহার/ ভোজন।
ডামডোল= গোলযোগ।
ঢ-
ঢেঁকির কচকচি= কলহ।
ঢক্কা নিনাদ= উচ্চকন্ঠে ঘোষণা।
ঢাকের কাঠি= তোষামুদে।
ঢাকের বাঁয়া= মূল্যহীন।
ঢাকে কাঠি পড়া= সূচনা হওয়া।
ঢলাঢলি= পরস্পর কেলেঙ্কারি।
ঢাক ঢাক গুড় গুড়= লুকোচুরি।
ত-
তাসের ঘর= ক্ষণস্থায়ী।
তিলকে তাল করা= অতিরিক্ত করা।
তুর্কি নাচন= নাজেহাল অবস্থা।
তীর্থের কাক= সাগ্রহ প্রতীক্ষাকারী।
তামার বিষ= অর্থের কু-প্রভাব।
তাল কানা= বেতার হওয়া।
তেলো হাঁড়ি= গম্ভীর।
তেল-নুন-লকড়ি= খাদ্য বা খাদ্যের উপকরণ।
তুষের আগুন= দগ্ধকারী দুঃখ।
তুলসী বনের বাঘ= ভণ্ড।
ত্রিশঙ্কু অবস্থা= মধ্যাবস্থা।
থ-
থরহরি কম্প= ভয়ে প্রচণ্ড কাঁপা।
থ’ হয়ে যাওয়া, থতমত খাওয়া= কিংকর্তব্যবিমূঢ় হওয়া।
থোড়ই কেয়ার করা= বিন্দুমাত্র সমীহ বা গ্রাহ্য না করা।
থানা পুলিশ করা= নালিশ করা।
থ বনে যাওয়া= স্তম্ভিত হওয়া।
দ-
গা-কুমড়া= অহিনকুল।
দাঁও মারা= মোটা অংক লাভ করা।
দুধের মাছি= সু সময়ের বন্ধু।
দুধে ভাতে থাকা= ভোগে বা ঐশ্বর্যে থাকা।
দস্ত-ব-দস্ত= হাতে হাতে।
দহরম মহরম= অন্তরঙ্গতা।
ধ-
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে= পাপ গোপন না থাকা।
ধনকুবের= অত্যন্ত ধনী ব্যক্তি।
ধোপে টেকা= নানা বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে টিকে যাওয়া।
ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির= ধার্মিক।
ধর্মের কল= সত্য।
ধর্মের ষাঁড়= স্বেচ্ছাচারীতা ব্যক্তি।
ধামাধরা= চাটুকারিতা।
ধরি মাছ না ছুঁই পানি= কৌশলে কার্যসিদ্ধি।
ধরাকে সরা জ্ঞান করা= কাউকে গ্রাহ্য না করা।
ন-
ননীর পুতুল= শ্রমবিমুখ।
নখদর্পণে থাকা= পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্তে থাকা।
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ= নিজের ক্ষতি করে পরের ক্ষতিসাধন।
নেই আঁকড়া= একগোঁয়ে।
নকড়া ছকড়া= হেরাফেলা করা।
নবমীর দশা= মূর্ছা।
নিরানব্বইয়ের ধাক্কা= সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।
নয় ছয়= অপচয়।
প-
পটল তোলা= মারা যাওয়া।
পান্তা ভাতে ঘি= অপব্যবহার।
পালের গোদা= দলপতি।
পায়াভারী= অহংকার।
পাথরে পাঁচকিল= অদৃষ্ট যার সুপ্রসন্ন।
পোয়াবারো= সৌভাগ্য।
ফ-
ফোঁড়ন দেয়া= উত্তেজনাকর টিপ্পনী কাটা।
ফপর দালালি= গায়ে পরে মধ্যস্থগিরি।
ফাঁটা-কপাল= মন্দভাগ্য।
ফেটে ওঠা= ধনবান হওয়া।
ফুলের আঘাত= সামান্য দুঃখ কষ্ট।
ব-
বক ধার্মিক= ভণ্ড সাধু।
বুকের পাটা= সাহস।
বাঁ হাতের ব্যাপার= ঘুষ গ্রহণ।
বেগার ঠেলা= বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা।
বাঘের আড়ি= নাছোড়বান্দা/ দুশমণি।
বাঘের দুধ/চোখ=দুঃসাধ্য বস্তু।
ব্যাঙের সর্দি= অসম্ভব ঘটনা।
ব্যাঙের আধুলি= সামান্য সম্পদ।
বর্ণচোরা আম= কপট ব্যক্তি।
বিনা মেঘে বজ্রপাত= আকস্মিক বিপদ।
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে= জীবমাত্রই স্বাভাবিক অবস্থানে সুন্দর।
বারো মাসে তেরো পার্বণ= উৎসবের আধিক্য।
বারো ভূত= আত্মীয় লোকজন।
বালির বাঁধ= অস্থায়ী বস্তু।
বিষের পুটলি= হিংসুটে/বিদ্বেষী।
বস্তন্তের কোকিল= সুসময়ের বন্ধু।
বিসমিল্লায় গলদ= গোড়ায় গলদ।
বিড়াল তপস্বী= ভণ্ড সাধু।
বিড়ালের খুদ= শ্রদ্ধার সামান্য উপহার।
বুদ্ধির টেঁকি= নিরেট মূর্খ।
বাড়া ভাতে ছাই= আশা ভঙ্গ।
ভ-
ভুঁই ফোড়= অর্বাচীন/নতুন।
ভিজে বিড়াল= কপটচারী।
ভিটায় ঘুঘু চড়ানো= সর্বনাশ করা।
ভূতের ব্যাগার= অযথা শ্রম।
ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ= অপব্যয়।
ভানুমতির খেলা= যাদুবিদ্যা।
ভরাডুবি= সর্বনাশ।
ভূশণ্ডির কাক= দীর্ঘজীবী।
ভেরেণ্ডা ভাজা= অকাজের কাজ।
ভস্মে ঘি ঢালা= নিষ্ফল কাজ।
ভবলীলা সাঙ্গ হওয়া= মারা যাওয়া।
ম-
মগের মুল্লুক= অরাজক দেশ।
মাছের মা= নির্মম।
মাকাল ফল= অন্তঃসারশূন্য।
মাটির মানুষ= নিরীহ ব্যক্তি।
মহাভারত অশুদ্ধ= বড় রকমের অপরাধ।
মামার বাড়ির আবদার= সহজে মেটে এমন আকাঙ্খা।
মাথা খাওয়া= সর্বনাশ করা।
মোমের পুতুল= সামান্য পরিশ্রমেই কাতর হয় এমন লোক।
য-
যক্ষের ধন= অতিশয় কৃপণের ধন।
যমের অরুচি= সহজে যে মারা যায় না এই অর্থে।
যমের দোসর= নিষ্ঠুর ব্যক্তি।
যত গর্জে তত বর্ষে না= আড়ম্বরের তুলনায় কাজ কম।
যার লাঠি তারমাটি= জোর যার মুল্লক তার।
যাহা বাহান্ন তাহা তেপ্পান্ন= খুব সামান্য তফাত।
র-
রুই-কাতলা= পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
রাঘব বোয়াল= সর্বগ্রাসী ক্ষমতাসীন ব্যক্তি।
রাজঘোটক= চমৎকার মিলন।
রাবণের চিতা= চির অশান্তি।
রাবণের গোষ্ঠী= বড় পরিবার।
রাম রাজত্ব= শান্তি-শৃঙ্খলাযুক্ত রাজ্য।
রামগরুড়ের ছানা= গোমড়ামুখো লোক।
রাশভারি= গম্ভীর প্রকৃতির।
রক্তের টান= স্বজনপ্রীতি।
ল-
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার= অফুরন্ত ভাণ্ডার।
লঙ্কাকাণ্ড= তুমুল কাণ্ড।
লেফাফা দুরস্ত= বাইরে পরিপাটি।
লগন চাঁদ= ভাগ্যবান।
লক্কা পায়রা= ফুলবাবু।
লম্ব দেয়া= চম্পট দেয়া।
শ-
শরতের শিশির= সুসময়ের বন্ধু।
শকুনি মামা= কুচক্রী লোক।
শাঁখের করাত= উভয় সংকট।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা= দোষ গোপনের বৃথা চেষ্টা।
শনির দশা= দুঃসময়।
শনির দৃষ্টি= কুদৃষ্টি।
শাপে বর= অনিষ্টে ইষ্ট লাভ।
শিরে সংক্রান্তি= আসন্ন বিপদ।
শিয়ালের যুক্তি= অকেজো যু্ক্তি।
শিবরাত্রির সলতে= একমাত্র বংশধর।
শ্রম রাখি না কুল রাখি= উভয় সংকট।
ষ-
ষোলআনা/ষোলকলা= সম্পূর্ণ।
ষণ্ডামার্কা= একগুঁয়ে ও বলিষ্ঠ।
ষোল কড়াই কানা= সম্পূর্ণ বিনষ্ট।
স-
সাক্ষীগোপাল= কর্তৃত্বহীন দর্শকমাত্র।
সুখের পায়রা= বিলাসী/সুসময়ের বস্তু।
সাত পাঁচ ভাবা= নানারকম চিন্তা।
স-সে-মি-রা অবস্থা= কাণ্ডজ্ঞানহীন অবস্থা।
সরিষার ফুল দেখা= চোখে আঁধার দেখা।
সোনার পাথরবাটি= অসম্ভব বস্তু।
সোনায় সোহাগা= মণি কাঞ্চন যোগ।
সাপে নেইলে= শত্রুভাবাপন্ন।
স্বখাত সলিল= নিজ বিপদ ডাকা।
হ-
হ-য-ব-র-ল= বিশৃঙ্খলা।
হাতির পাঁচ পা দেখা= দুঃসাহসী হওয়া।
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা= সুযোগ হেলায় হারানো।
হরিষে বিষাদ= আনন্দে বিষাদ।
হাড় হাভাতে= হতভাগ্য।
হাড়হদ্দ= নাড়ি নক্ষত্র।
হস্তীমুর্খ= বোকা।
হাড় জুড়ানো= শান্তি পাওয়া।
হালে পানি পায় না= অকৃতকার্য হওয়া।
হাতটান= চুরির অভ্যাস।
হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গা= গোপ কথা ফাঁস করা।
সম্বিতম্বি= তর্জন-গর্জন।
আরও পড়ুন-