সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ
সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ তালিকা নিয়ে আজকের এই পোস্টা। এই তালিকা টি পড়ে তোমাদের পরিক্ষাতে খুব কাজে দেবে। সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ বাধা তালিকা।
ছার (অধম)- সে আর কোন ছার, তাকে কুর্নিশ করতে হবে।
ছাড় (অনুমতি)- অশালীন সিনেমা প্রদর্শণীয় ছাড়পত্র বাতিল করতে হবে।
ছাদ (আচ্ছাদন)- জালে উঠলেই চাঁদে যাওয়া যায় না।
ছাঁদ (আকৃতি, গঠন)- পৃথিবীতে নানা ছাঁদের মানুষ দেখা যায়।
জল (পানি)- জলের কোন বই নেই।
জুল (দীপ্তি)- রাতে কোপে কেপে জোনাকির আলাে জুলজুল করে।
জাম (ফলবিশেষ)- পাকা জামেৱ ৱস মধুর।
যাম (অংশ)- দিবসের দ্বিতীয় যামে তােমার সঙ্গে দেখা হবে।
জিব (জিহ্বা)- কুকুরের জিব দিয়ে লালা পড়ে।
জীব (প্রাণী)- বুদ্ধির জোৱেই জীব জগতে মানুষ শ্রেষ্ঠ।
জ্যোতি (আলাে)- চাঁদের নিজের কোন জ্যোতি নাই।
যতি (ছেদ)- অঙ্গে যতি দেওয়া মানে কাজবন্ধ করা নয়।
টিকা (রােগের প্রতিষেধক)- টিকা দিলে অনেক রােগের আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
টীকা (ব্যাখ্যা)- অবােধ্য লেখায় টীকা লেখা হয়।
টেকা (সয়ে থাকা)- দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে গৱিৰ মানুষের টেকা দায়।
টেকা (প্রতিযােগিতা)- হস্তশিল্প মন্ত্রশিল্পের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টিকতে শক্ষণ পাৰে গী।
ঠক (নিবিশেষ)- ঠকঠক শব্দ করে সে অন্ধকার রাস্তায় হেঁটে চলে।
ঠক (প্রতারক)- ঠক মানুষকে কেউ শ্রদ্ধা করে না।
টোল (থলি বিশেষ)- টোলে ধান চাল রাখা হয়।
ঢোল (বাদ্যযন্ত্র)- ঢাক ঢোল বাজিয়ে আসৱ জমিয়ে নিলাে।
ডাল (শাখা) ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে।
ডাল (খাদ্যবিশেষ)- গরিবের ডালভাত খেয়ে দিন কাটে।
ঢাল (আষাত প্রতিরােধ করার অন্ত্র)- ঢাল দিয়ে সে তীরের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করল।
ঢাল (ঢালু জমিবিশেষ)- পাহাড়ের ঢালে ঢালে জুম চাষ হয়।
অবিনীত (উদ্ধত)- অবিনীত সন্তান মা-বাবার মর্যাদা নষ্ট করে।
অভিনীত (অভিনয় করা হয়েছে)- অনেক সময় নাট্যদলে অভিনীত করা হয়েছে।
অপগত (দূরীভূত)- অপৰেৰ ফখ অপাস্ত করতে জীবন বিলিয়ে দাও।
অবগত (জানা)- দেশসেবা করতে চাইলে দেশ সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন।
আদি (মূল)- চর্যাপদ বাংলার আদি ভাগ।
আধি (মনাকষ্ট)- আখি গােপন না করে খােলা মেলা আলােচনা করা কালো।
আশা (ভৱসা)- ছাত্রদের উপর দেশের মানুষের অনেক আশা।
আসা (আগমন)- আজ তাৰ বাঞ্চিত আসা জবে না।
আবাস (বাসস্থান)- শহরে অনেক মানুষের আবাস নাই।
আভাস (ইঙ্গিত)- পুলিশে আতাসেই চোখটা পালিয়ে গেল।
আবরূণ (আচ্ছাদন)- মেঘের আবরণে কেটে রৌদ্র দেখা যাচ্ছে।
আন্তরণ (অলংকার)- আন্তরণের লােভ দেখিয়ে মেয়েদের ঘরে আটকিয়ে রাখে।
আপন (নিজ)- আপন কাজে কেউ ফাঁকি দেয় না।
আপন (দোকান)- আপন থেকে লক্ষণ চাল কিনে আনো।
আষাঢ় (মাস বিশেষ)- বাংলাদেশে আষাঢ়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়।
আসাৱ (প্রবল বৃষ্টিপাত)- বিকেলে আসার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
উপাদান (উপকরণ)- আমাদের দেশে কৃষি উপাদান সহজলভ্য।
উপাধান (বালিশ)- উপাধানে মাথা রেখে ঘুমাও।
ঔষধি (যে গাছ একবার ফল দিয়ে মারা যায়) ধান ঔষধি গাছ।
ওষধি (ভেষজ উদ্ভিদ)- ওষধির পর্যাপ্ত যোগান জরুরি।
কূল (নদীর কূল)- নদীর কূলে বসে সূর্যাস্ত দেখতে ভালাে লাগে।
কুল (বংশ)- কুল ভালো না হলে মানুষ হওয়া যায় না।
আসার (জলকণা)- আগা মেঘ থেকে আসার নামে।
আষাঢ় (মাস বিশেষ)- আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল।
আশা (আকাক্ষা)- বেশি আশা করেই ফুল করেছি।
আশা (আগমন) – বাবার আজ স্কুলে আসার কথা।
উপাদান (উপকরণ)- বাবা আচারের সব উপাদান এনেছেন।
উপাধান (বালিশ)- উপাধান ছাড়া শোয়া যায় না।
কমল (পদ্ম)- আমাদের পিশিতে রক্তকমল ফুটেছে।
কোমল (নরম)- শিশুটির পা-খানা খুবই কোমল ।
অনিকা (ক্ষতি)- রাম শ্যামের অনিকা করে বসল।
অনিক (নিষ্ঠাহীন)- লেখা অনিক হলে পাশ করা যায়।
কূল (বংশ)- তিনি উচ্চ কূলে জন্মেছিলেন।
কুল (গাছের কুল)- এ গাছের কুল খেতে মজা।
অন্ন (ভাত)- ব্যমূল্যের উচ্চ গতিতে মানুষের মুখে অন্ন ওঠা পায়।
অন্য (অপর)- সংস্কার বাদ দিয়ে অন্য কথা বলো।
অংশ (ভাগ)- বাপের জমির অংশ মেয়েরাও জানে না।
অংস (কপি)- বিপলে দূরে সরে না থেকে অংস মেলাও।
মাস (ত্রিশ দিন)- বাৱমাস সে এখানে থাকে।
মাষ (মাষ কলাই)- মাষকলাই ডাল খেতে ভালাে।
মুখ (বন)- পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতে ক্রিকেটাররা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
মুক (বােবা)- মুক মানুষ কথা বলতে পারে না।
মরা (মৃত)- মরা মানুষ পানিতে ভেসে ওঠে।
মড়া (শবদেহ)- মাকে তাড়াতাড়ি সকাৱা করাই ভালাে।
মূখ (জ্ঞানহীন)- মুর্থ মানুষের কান্ডজ্ঞান থাকে না।
মুখ্য (প্রধান)- মেধা নয়, টাকাই শিক্ষা গ্রহনের জন্য মুখ্য বিষয় হয়ে
মােড়ক (আচ্ছাদন)- বিজ্ঞাপনের মােড়কে পন্যের গুণ বােঝা যায় না।
মড়ক (মহামারি)- আলে মড়ক লেগে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত।
যোগ্য (উপযুক্ত)- মন্ত্রীর ছেলে চোর যােগ্য বাপের যােগ্য পুত্র বটে।
যগ্য (যাগ, উৎসব)- বিজয় দিবস বাঙালিদের মিলন।
রচক (রচয়িত)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের রচক।
রােচক (উপগ্যে)- মুখরােচক হলেই ধান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয় না।
রাধা (বালিকা)- রাধা কৃষ্ণের লীলা বৈষ্ণব মতে তাবত লীলা।
রাঁধা (রন্ধন করা)- যে ভাতরাঁধে সে চুলও বাধে।
লক্ষ (সংখ্যা বিশেষ)- লক্ষ লক্ষ মানুষ মাঠে নেমেছে।
লক্ষ্য (দৃষ্টি, উদ্দেশ্য, গন্তব্যস্থল)- স্বাধীনতা পরবর্তী সংবিধানই লক্ষ্য করো।
লব্ধ (লাভ করা)- জন মানুষ পথ চিনতে ভুল করে না।
দুব্ধ (আকৃষ্ট )- মানুষের পােশাক দেখে অনেকেই দুব্ধ হয়।
লক্ষণ (চিহ্ন)- নিয়মিত লেখাপড়া করা ভালাে ছাত্রের লক্ষণ।
লক্ষ্মণ (রামের ভাই)- রাম লক্ষ্মণ সহােদয়।
আরও পড়ুন-