নদীয়া জেলার ইতিহাস PDF - এই টপিকটি থেকে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত রকম প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় WBCS | WBPSC | BANK | Rail | WBP | SSC প্রায়শই প্রশ্ন এসেই থাকে, তাই আপনাদের কাছে এই তালিকাটি সুন্দর করে দেওয়া হলো। যদি ভালোভাবে মুখস্ত বা মনে রাখেন তা হলে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় আপনাদের অনেক সুবিধা হবে।
নদীয়া জেলা
আয়তন - ৩,৯২৭ কিমি
সীমানা - পূর্বে বাংলাদেশ, পশ্চিমে বর্ধমান, উত্তরে মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণে উত্তর ২৪ পরগণা।
সদর - কৃষ্ণনগর।
মহকুমা - ৪৬,০৩,৭৭৮ জন।
সাক্ষরতার হার - ৬৬.৫৫ % ।
পুরুষ - ৭২.৬৭ %, এবং মহিলা – ৬০.০৬ %।
নদ-নদী - ইছামতি, ভাগীরথী, জলঙ্গী, চূর্ণী, মাথাভাঙা।
কৃষিজাত ফসল - ধান, পাট, ডাল, গম, তৈলবীজ, আলু, লঙ্কা।
এই জেলা দুগ্ধ উৎপাদনে রাজ্যে প্রথম পুরসভা - ১০ টি।
গ্রাম পঞ্চায়েত - ১৮৭ টি।
পঞ্চায়েত সমিতি - ১৭ টি।
ব্লকঃ - ১৭ টি।
শিল্প - মৃৎশিল্পে কৃষ্ণনগরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। নবদ্বীপ ও রানাঘাটে নির্মিত কাঁসার বাসন বিখ্যাত। হরিণঘাটায় রয়েছে মস্ত দুগ্ধপ্রকল্প। শান্তিপুরের তাঁতশিল্প উল্লেখযোগ্য।
দর্শনীয় স্থান -
শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মস্থান নবদ্বীপ, মায়াপুর ইসকন মন্দির, পলাশির প্রান্তর ও আমবাগান, বেথুয়াডহরীর অভয়ারণ্য।
জেলার বিখ্যাত সন্তান -
বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেব, বাংলায় রামায়ণ রচয়িতা কৃত্তিবাস ওঝা, কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, প্রখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র, কিব নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, বিখ্যাত অভিনেত্রী দেবীকা রানী, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব রামতনু লাহিড়ী, সাহিত্যিক পরশুরাম, লক্ষণ সেনের সভাকবি ধোয়ী, গীতগোবিন্দ রচয়িতা কবি জয়দেব, ধর্মসংস্কারক বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, উদারপন্থী কবি গায়ক লালন ফকির, পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার, সাহিত্যিক বিমল ঘোষ, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী, লেখক মির মোশারফ হোসেন। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার, অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাস ও জ্যোতির্ময়ী শিকদার, মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী প্রমুখ।
আরও পড়ুন-