১. হারভেস্টার কী?
উত্তর: হারভেস্টার হল ধান কাটা-ঝাড়ার ও খড় থেকে ধান আলাদা করে এক জায়গায় জড়ো করার একটি আধুনিক যন্ত্র।
২. হারভেস্টিং কী?
উত্তর: ধান কাটা, খড় থেকে ধান আলাদা করে এক জায়গায় জড়ো করা -এই কাজগুলিকে একসঙ্গে ইংরেজিতে বলে হারভেস্টিং।
৩. পাওয়ার টিলারের কাজ কী?
উত্তর: পাওয়ার টিলারের সাহায্যে তাড়াতাড়ি জমি চাষ করা যায়।
৪. আগেকার দিনে জমিতে কীটনাশক হিসেবে কী ব্যবহার করা হত?
উত্তর: আগেকার দিনে জমিতে কীটনাশক হিসেবে নিমপাতা ব্যবহার করা হত।
৫. চাষের জমির বন্ধু কোন্ প্রাণীকে বলে?
উত্তর: চাষের জমির বন্ধু বলা হয় কেঁচো-কে।
৬. কতকগুলি অর্থকরী পোকার নাম লেখো।
উত্তর: মৌমাছি, রেশমপোকা হল অর্থকরী পোকা।
৭. জমিতে বেশি রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে কী ঘটবে?
উত্তর: জমিতে বেশি রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা কমে যাবে।
৮. জমিতে কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করলে কী হবে?
উত্তর: জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাবে, ফলে চাষের ক্ষতি হবে।
৯. জমিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কী কী ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর: জমিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার, অণুজীব সার ব্যবহার করা উচিত।
১০. আগেকার দিনে চাষের জমিতে কী কী ধান চাষ করা হত?
উত্তর: আগেকার দিনে আউশ এবং আমন ধান চাষ করা হত।
১১ আউশ ধান কোন সময়ে চাষ করা হত?
উত্তর: আউশ ধান বর্ষাকালে চাষ করা হত।
১২. ধাপচাষ কাকে বলে?
উত্তর: পাহাড়ি অঞ্চলে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে জমি তৈরি করে চাষ করা হয়। একেই ধাপচাষ বলে।
১৩. চা ছাড়াও দার্জিলিঙে আর কী কী পাওয়া যায়?
উত্তর: দার্জিলিঙে মাঝে মাঝে কমলালেবুর বাগান দেখা যায়। এ ছাড়া ওখানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলো, পালং প্রভৃতি সবজিও চাষ হয়।
১৪. তরাই অঞ্চলের মাটি উর্বর কেন?
উত্তর: তিস্তা ও মহানন্দা নদীর পলি জমে তরাই অঞ্চলের মাটি উর্বর হয়েছে।
১৫. তরাই অঞ্চলের কয়েকটি ফসলের নাম লেখো।
উত্তর: তরাই অঞ্চলে সাধারণত ধান, পাট, গম, বাদাম ও নানারকমের শাকসবজি চাষ হয়। এ ছাড়া তরাই অঞ্চলের আনারস ও কলাও খুব বিখ্যাত।
১৬. মালদা দক্ষিণ দিনাজপুরে সাধারণত কী কী ফসল পাওয়া যায়?
উত্তর: মালদা দক্ষিণ দিনাজপুরে ধান, পাট, আখ, শাকসবজি, লিচু ইত্যাদি চাষ হয়। এ ছাড়া মালদা জেলার ফজলি আম খুব বিখ্যাত।
১৭. মালদা দক্ষিণ দিনাজপুরের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চাষ কী?
উত্তর: মালদা দক্ষিণ দিনাজপুরের রেশমকীট প্রতিপালনের জন্য তুঁত গাছের চাষ করা হয়।
১৮. দক্ষিণের নোনা জমিতে কী কী চাষ হয়?
উত্তর: দক্ষিণের নোনা জমিতে সাধারণত সুপারি, নারকেল, তরমুজ, পান, সূর্যমুখী, ভুট্টা, খেসারি, লংকা প্রভৃতি চাষ হয়। এ ছাড়া এখানে অল্প পরিমাণে আমন ধান ও দিঘার দিকে কাজুবাদামও চাষ হয়।
১৯. দক্ষিণবঙ্গের কোন্ জায়গায় কাজুবাদাম চাষ ভালো হয়?
উত্তর: দিঘাতে কাজুবাদাম চাষ ভালো হয়।
২০. দুটি বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী জায়গার নাম লেখো।
উত্তর: বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী দুটি জায়গা হল দিঘা ও হলদিয়া।
২১. কয়েকটি সামুদ্রিক মাছের নাম লেখো।
উত্তর: সার্ভিন, ইলিশ, চাঁদা, পমফ্রেট, লোটে, চিংড়ি, ভোলা।
২২. চ্যাং মাছের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: চ্যাং মাছ ল্যাজে ভর দিয়ে খানিকটা লাফাতে পারে।
২৩. জিওল মাছ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যেসব মাছ জল ছাড়াও ডাঙায় কিছুক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে তাদের জিওল মাছ বলে। যেমন- কই, শিঙি, মাগুর।
২৪. লুপ্তপ্রায় মাছ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যে সমস্ত মাছ আগে অনেক দেখা যেত কিন্তু এখন সংখ্যায় খুব কম দেখা যায়, তাদের লুপ্তপ্রায় মাছ বলে।
২৫ কতকগুলি লুপ্তপ্রায় মাছের নাম বলো।
উত্তর: ন্যাদোশ, খুরশুলা, সরপুঁটি, মৌরলা প্রভৃতি হল লুপ্তপ্রায় মাছ।
২৬. কয়েকটি মাছ ধরার জালের নাম লেখো।
উত্তর: ঘুনি, পোলো প্রভৃতি হল মাছ ধরার জাল।
১. জমির ফলন বাড়ানো যায় কীভাবে?
উত্তর: জমিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার, অণুজীব সার ব্যবহার করতে হবে, নানা ধরনের বীজ ব্যবহার করতে হবে। বৃষ্টির জল জমিয়ে রেখে পরে তা চাষের কাজে লাগাতে হবে এবং জমিতে বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করা চলবে না। এভাবে ফসলের উৎপাদন বাড়ে। এই বৃদ্ধি অল্প হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
২. ১৯৬৬ সালে চালের দাম অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: অনেকদিন আগে থেকে জমির ফলন ভালো করার জন্য জমিতে বেশি পরিমাণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হত। কিন্তু এগুলি মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়, ফলে একসময় জমিতে সার দেওয়া সত্ত্বেও ফলন ভালো হল না। তখন চালের আকাল পড়ল, চালের দাম চারগুণ হল কিন্তু টাকা দিলেও সবসময় চাল পাওয়া যেত না।
৩. সবুজ বিপ্লব কী?
উত্তর: মানুষ যখন রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের কুফল বুঝতে পারল তখন সেগুলি জমিতে প্রয়োগ করা বন্ধ করল। তারপর এল নতুন বীজ, নতুন সার। পোকা মারার নতুন বিষ জমিতে প্রয়োগ করা হল। জমিতে ডিপটিউবওয়েল বসল। এ ছাড়াও কিছু অব্যবহৃত জমিতেও চাষ শুরু হল। এর ফলে আবার খাদ্যের উৎপাদন বাড়তে থাকে। বছরে দু-তিনবার ধান চাষ শুরু হয় এবং চালের আকাল কাটে। এই ঘটনাই ভারতে ‘সবুজ বিপ্লব’ নামে পরিচিত।
৪. ডি ভি সি-র পুরো নাম লেখো। ডি ভি সি-র কাজ কী?
অনুরূপ প্রশ্ন:
ডিভিসি-এর পুরো কথাটি লেখো। কেন ডিভিসি তৈরি করা হয়েছিল?
উত্তর: ডি ভি সি-র পুরো নাম দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। দামোদর নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিভিসি সংস্থাটি গঠন করা হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল পাহাড় থেকে দামোদর নদ দিয়ে গড়িয়ে আসা বর্ষার জল জমিয়ে রাখা হবে। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের কাছেই অনেকগুলো জলাধার হবে, সেখানে জল আটকে রাখা হবে। তাতে বন্যা হতে পারবে না, পরে সেই জল অল্প অল্প করে ছাড়া হবে যাতে সেই জল সারাবছর চাষের কাজে লাগে।
৫. লুপ্তপ্রায় মাছ কীভাবে বাঁচানো সম্ভব?
অনুরূপ প্রশ্ন:
লুপ্তপ্রায় মাছ রক্ষা করার দুটি উপায় লেখো।
উত্তর: লুপ্তপ্রায় প্রজাতির যেসব মাছ আছে (যেমন সরপুঁটি, মৌরলা, ন্যাদোশ, খুরশুলা প্রভৃতি) সেই সমস্ত মাছের চাষ বেশি পরিমাণে করতে হবে। এইসব মাছ বেশি পরিমাণে বাজারে বিক্রি না করে, কিছু সংখ্যক বিক্রি করার এবং অধিকাংশ পুকুরে রেখে মাছের সংখ্যা আরও বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এই সমস্ত প্রজাতির বাচ্চা মাছগুলিকে কোনোমতেই বাজারে বিক্রি করা চলবে না, বিক্রি করলে আর্থিক জরিমানা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. ধানঝাড়া বলতে কী বোঝ?
উত্তর: আগেকার দিনে চেরা বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হত ফাঁকা ফাঁকা একটা ধান ঝাড়ন। ধান সমেত খড় তার ওপর পেটানো হত, তাতে ধান আর খড় আলাদা হত। এই কাজটাকে ধানঝাড়া বলা হত।
৭. খড় কী কাজে লাগে?
উত্তর: খড় জড়িয়ে মোটা দড়ি তৈরি করা হয়। খড় দিয়ে মাটির ঘরের ছাউনি দেওয়া হয়। খড় গোরু-মোষের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৮ স্কোয়াশ কী?
উত্তর: দার্জিলিং অঞ্চলে পাওয়া যায় একরকম ফল হল স্কোয়াশ। স্কোয়াশ গাছ দেখতে ঝিঙে গাছের মতো, কিন্তু ফলটা খেতে অনেকটা পেঁপের মতো।