Ads Area


বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব বর্ণনা করো || দশম শ্রেণী ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় || বায়ুমণ্ডল

দশম শ্রেণী ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায়- বায়ুমণ্ডল

প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষাথীর্দরা,

আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমন্ডল থেকে প্রশ্ন  বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব বর্ণনা করো। এটি ফাইনাল পরীক্ষা জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ  প্রশ্ন হবে।

বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব বর্ণনা করো || দশম শ্রেণী ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় || বায়ুমণ্ডল


বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব বর্ণনা করো ||দশম শ্রেণী ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় || বায়ুমণ্ডল 

বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব বর্ণনা করো।

উত্তরঃ  বায়ুমণ্ডলের উপাদানসমূহের প্রভাব

 বায়ুমন্ডলের প্রায় প্রতিটি উপাদানই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। যেমন-

1) নাইট্রোজেন (78.08%) :

 ১)পুঁটিজাতীয় উদ্ভিদের মূলে বসবাসকারী কতকগুলি ব্যাকটেরিয়া (যেমন- রাইজোবিয়াম) বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে মাটির উর্বরাশক্তি বাড়িয়ে দেয়। 

২) বর্তমানে বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে সার উৎপাদনের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

৩) বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন পরোক্ষভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীর শরীরে নাইট্রোজেনের চাহিদা পুরণ করে।

2) অক্সিজেন (20.94%):

১) অক্সিজেন ছাড়া জীবজগতের অস্তিত্বই অসম্ভব। কারণ, অক্সিজেন ছাড়া শ্বাসকার্য সম্ভব নয় বলে বেঁচে থাকার জন্য সকল প্রাণীই অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল। 

২) অক্সিজেন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলার আবহবিকার বা বিচূর্ণীভবন (জারণ) ঘটায়। 

৩) কেবল অক্সিজেনের উপস্থিতিতেই দহনক্রিয়া জ্বালানো সম্ভব। 

৪) জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে অক্সিজেন মরিচা সৃষ্টির মাধ্যমে লোহার ক্ষয়সাধন করে।

3) কার্বন ডাইঅক্সাইড (0.03%): 

১) কার্বন ডাইঅক্সাইড ছাড়া উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করতে পারে না (উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য প্রস্তুত করে)। আর প্রাণীজগৎ খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল।

 ২) বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এই গ্যাসটির বিশেষ ভূমিকা আছে। 

৩) কার্বন ডাইঅক্সাইড শিলার রাসায়নিক আবহবিকার (কার্বনেশন) ঘটায়।

৪) কার্বন ডাইঅক্সাইড চুনাপাথর ও ডলোমাইট শিলায় রাসায়নিক আবহবিকার ঘটিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপ (স্ট্যালাকটাইট, স্ট্যালাগমাইট প্রভৃতি) গঠন করে। 

৫) অঙ্গারময় খনিজ এবং চুনজাতীয় খনিজ গঠনে কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

4) ওজোন: 

ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে 24-40 কিমি-র মধ্যে যে ওজোন গ্যাসের স্তর পৃথিবীকে বেষ্টন করে রয়েছে, তার জন্যেই সূর্য থেকে ছুটে আসা ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোতে পারে না। ফলে পৃথিবী ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে।

5) জলীয়বাষ্প:

 ১) বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্প আছে বলেই মেঘ সৃষ্টি হয় এবং ওই মেঘ থেকেই বৃষ্টি হয়।

২) জলের প্রধান উৎস বৃষ্টিপাত। জলের অপর নাম জীবন। জলীয়বাষ্প না থাকলে পৃথিবীতে জীবনের কোনো অস্তিত্ব থাকত না। 

৩) জলীয়বাষ্পের জন্যই পৃথিবীতে শিশির, কুয়াশা, তুহিন ও তুষার সৃষ্টি হয়।

6) ধূলিকণা:

১) বায়ুমণ্ডলে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করেই জলীয়বাষ্প জলবিন্দুতে পরিণত হয় বা মেঘ ও কুয়াশা সৃষ্টি হয়।

২) বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণাসমূহ সূর্যরশ্মি দ্বারা সরাসরি উত্তপ্ত হয়ে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে এবং পৃথিবীতে সৌরতাপ বণ্টনে প্রভাব বিস্তার করে।

৩) ধূলিকণার দ্বারা সূর্যের আলো বিচ্ছুরিত হয়ে দিনেরবেলা পৃথিবীকে আলোকিত করে রাখে।

৪) বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণার উপস্থিতির জন্য উষা ও গোধূলির সৃষ্টি হয়। 

৫) বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা থাকায় আকাশ নীল দেখায়।

আরও দেখো- প্রস্থবরাবর হিমালয়ের ভূপ্রকৃতি বর্ণনা করো

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area