(প্রথম অধ্যায়) ইতিহাসের ধারণা
তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাসের (প্রথম অধ্যায়) ইতিহাসের ধারণা থেকে প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজে চলেছ,যা ইতিহাসের ধারণা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল,তাই তোমরা নিচের প্রশ্ন উত্তর গুলি পড়তে পারো।
সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস || ইতিহাসের ধারণা (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || West Bengal Class 7 History
1) ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে? এর শ্রেণিবিভাগ
করো।
উত্তরঃ ইতিহাস রচনা করার জন্য কিছু বিষয়ের সাহায্য নিতে হয়। যে সমস্ত প্রামাণ্য তথ্য থেকে ইতিহাস রচনা করা হয়, তাদের ইতিহাসের উপাদান বলে।
ইতিহাসের উপাদানগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- সাহিত্যিক উপাদান ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান।সাহিত্যিক উপাদানকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
(১) দেশীয় সাহিত্য এবং
(২) বৈদেশিক সাহিত্য। আবার প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানকে তিনভাগে ভাগ করা যায়- (১) লিপি (২) মুদ্রা ও
(৩) স্থাপত্য-ভাস্কর্য।
2) 'ইন্ডিয়া' নামটির উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?
উত্তরঃ আমরা আমাদের দেশকে ভারত বা 'ইন্ডিয়া' নামে অভিহিত করে থাকি। আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় গ্রিকরা এদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে বহমান সিন্ধু নদকে 'ইন্ডাস' বলত। সেই কারণে ঐতিহাসিকদের অনেকেই মনে করেন 'ইন্ডাস' নাম থেকেই ইন্ডিয়া নামটির উৎপত্তি।
3) ইতিহাসের যুগবিভাগ কতটা যুক্তিযুক্ত?
উত্তরঃ ঐতিহাসিকগণ ইতিহাসকে প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক এই তিনটি যুগে ভাগ করেছেন। ঐতিহাসিক ঘটনাবলি আলোচনার সুবিধার্থে এই যুগবিভাগ করা হয়। যুগবিভাগের মাধ্যমে আলোচনা দ্বারা ইতিহাসের ঘটনাবলি বোঝা সহজতর হয়। কিন্তু যুগবিভাগ পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মত নয়। কারণ এক যুগের ঘটনার প্রভাব অন্য যুগে দেখা যায়। ইতিহাসকে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডির মধ্যে বাঁধা যায় না।
4) স্থাপত্য-ভাস্কর্য বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ স্থাপত্য কথাটি স্থাপন থেকে এসেছে। প্রাচীনকালে শাসকগণ বিভিন্ন মন্দির, অট্টালিকা স্থাপন করেছিলেন। স্থপতির নৈপুণ্য দ্বারা গঠিত স্থাপত্যগুলিতে শিল্পের ছোঁয়া থাকত। যেমন-তাজমহল। অপরদিকে ভাস্কর্য বলতে বোঝায় পাথর, ধাতু ইত্যাদি দ্বারা নির্মিত বা খোদাই করা মূর্তি গঠন শিল্পকে। যেমন-খাজুরাহো মন্দিরগাত্রে খোদিত মূর্তিসমূহ।
5) ইতিহাস রচনার সময় ঐতিহাসিকদের কী কী বিষয়ে সাবধান থাকতে হয়?
উত্তরঃ ইতিহাস রচনার সময় ঐতিহাসিকদের মূলত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির দিকে লক্ষ রাখতে হয়-
১) ভুল তথ্য, অতিরঞ্জিত বিষয় যাতে ইতিহাসে স্থান
২) ইতিহাস হবে সঠিক ও সত্য তথ্যে পরিপূর্ণ।
৩) ইতিহাস হবে নৈর্ব্যক্তিক।
৪) স্থান-কাল-পাত্রের উল্লেখ থাকা প্রয়োজন।
6) ইতিহাস কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ ইতিহাস শব্দটিকে ইংরেজিতে 'History' বলা হয়। ইতিহাসকে 'ইতি-অ-হাস' হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যার অর্থ 'ইহা এইরূপ ছিল'। গ্রিক শব্দ 'Historia' থেকে 'His- tory' শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ-'অনুমান' বা 'অনুসন্ধান' থেকে পাওয়া জ্ঞান। প্রথমদিকে ইংরেজিতে 'History' শব্দটির অর্থ ছিল 'ঘটনার পরম্পরা'। পরে এর অর্থ দাঁড়ায় 'পূর্ব বৃত্তান্তের দলিল'।
7) আমরা ইতিহাস পড়ি কেন?
উত্তরঃ আমরা বিভিন্ন কারণে ইতিহাস পড়ি। যেমন-
১) প্রাচীনকালের বিভিন্ন ঘটনার কার্যকারণ বিশ্লেষণ ও তার ফলাফল বুঝতে পারা।
২) বিভিন্ন অতীত ঘটনার প্রভাব বর্তমানে কতটা রয়েছে তা জানা।
৩) অতীতের ঘটনার দ্বারা বর্তমানকে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা।
সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাসের আরও অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর-