(অষ্টম অধ্যায়) মাটিদূষণের প্রশ্ন ও উত্তর
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী,
তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণীর ভূগোলের মাটিদূষণ (অষ্টম অধ্যায়) থেকে প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজে চলেছ, তাই তোমাদের জন্য প্রশ্ন উত্তর গুলি নিচে দেওয়া হলো, তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আর দেরি না করে নিচে প্রশ্ন ও উত্তর পড়ে নাও।
সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল || মাটিদূষণ (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Matidusanera Questions And Answers
1) মাটিদূষণে সাহায্যকারী একটি সজীব দূষকের নাম লেখো।
উত্তরঃ প্রোটোজোয়া।
2) কোন্ সার ব্যবহারের মৃত্তিকা দূষণের সম্ভাবনা নেই?
উত্তরঃ জৈবসার (যেমন-গোবর সার)।
3) মাটির গুণগত মান হ্রাস পেলে কী ঘটে?
উত্তরঃ মৃত্তিকাদূষণ।
4) ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কোন্ গ্যাস নির্গত হয়?
উত্তরঃ মিথাইল আইসোসায়ানাইট।
5) অধিক অম্লতাযুক্ত দূষিত বৃষ্টিপাতকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ অ্যাসিড বৃষ্টি।
6) ফ্লাই অ্যাশ-এর ধোঁয়ায় কীসের পরিমাণ বেশি থাকে?
উত্তরঃ বিষাক্ত কার্বন।
7) একটি নাইট্রোজেনঘটিত সারের নাম লেখো যা মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়।
উত্তরঃ ইউরিয়া।
8) কৃষিকাজে ব্যবহৃত মৃত্তিকা দূষণে সহায়ক একটি
কীটনাশক-এর নাম লেখো।
উত্তরঃ ডিডিটি।
9) দুটি অপচনশীল (Non-biodegradable) মৃত্তিকা দূষকের নাম কী কী?
উত্তরঃ প্লাস্টিক ও পলিথিন।
10) কয়েকটি মৃত্তিকা দূষকের নাম লেখো।
উত্তরঃ
(i)সজীব মৃত্তিকা দূষক : ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কৃমি।
(ii) অজৈব মৃত্তিকা দূষক : দস্তা, সিসা, পারদ, ছাই, ভস্ম, ফসফেট, পটাশিয়াম ও বিভিন্ন প্রকার অ্যাসিড।
(iii) জৈব দূষকঃ ক্লোরিন, পলিথিন, ডি.ডি.টি, প্লাস্টিক প্রভৃতি।
11) মাটি দূষণের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ বিভিন্ন মানবিক ক্রিয়াকলাপের ফলে ভূপৃষ্ঠ স্তরের মাটির ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন মাটির গুণমান হ্রাস পায় এবং মূলত উদ্ভিদ ও অন্যান্য জীবসমূহের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তখন তাকে মাটির দূষণ বলে।
12) মাটিদূষণ রোধে তোমার করণীয় তিনটি উপায় লেখো।
উত্তরঃ
(i) গৃহস্থালির আবর্জনা সঠিক স্থানে ফেলতে হবে।
(ii) পলিথিনের বদলে কাগজ বা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
(iii) স্কুলের বন্ধু ও পাড়ার মানুষদের মাটি দূষনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে।
13) মাটিদূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখো।
উত্তরঃ
(i) মাটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ মিশ্রিত হয়ে মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায়। যেমন-স্নায়বিক দুর্বলতা, পাতা প্রভৃতি।
(ii) মাটিদূষণের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পাওয়ায় শস্য উৎপাদন কমে যায়।
14) নগরায়ণের ফলে কীভাবে মৃত্তিকা দূষিত হচ্ছে?
উত্তরঃ একবিংশ শতকে জনসংখ্যার যেমন দ্রুত বৃদ্ধি ঘটছে তার সঙ্গে সঙ্গে নগরায়ণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে মৃত্তিকা দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(ⅰ) জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তাদের অ বসবাসের জন্য বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
(ii) খাদ্যশস্যের অভাব মেটাতে চাষের জমি সম্প্রসারণের জন্য বৃক্ষচ্ছেদন করা হচ্ছে, কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে।
(iii) কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প, কলকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র- এর সংখ্যা বাড়ছে। এই সকল ক্ষেত্র থেকে বিষাক্ত গ্যাস, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, কয়লার গুঁড়ো মাটিতে মিশছে।
(iv) এছাড়াও গৃহস্থালির আবর্জনা ও চিকিৎসাকেন্দ্রের আবর্জনা প্রভৃতি মাটিতে মিশে মৃত্তিকাদূষণ ঘটাচ্ছে।
15) কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত নাইট্রোজেন ও ফসফেট সার কীভাবে মাটির দূষণ ঘটায়?
উত্তরঃ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত অন্যান্য সারের মধ্যে নাইট্রোজেন ও ফসফেট সার অন্যতম।
ⅰ. নাইট্রোজেন জাতীয় সার সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা মাত্র ক্ষতিকর নাইট্রোজেন অক্সাইডে পরিণত হয়, যা মাটি দূষণে সাহায্য করে। অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে মাটির ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
ii. ফসফেট সার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার না করলে বা নির্দিষ্ট পরিমাণের অধিক প্রয়োগ করলে ফসফেটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে মাটির উর্বরাশক্তি নন্ট হয়। শস্যের গুণমান ও নষ্ট হয়ে যায়।
16) কীটনাশক মৃত্তিকাদূষণের মাধ্যমে মানব কী কী ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে?
উত্তরঃ কৃষিজমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খাদ্যশস্য ও শাকসবজির মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জটিল অসুখ সৃষ্টি করে। যেমন-
(i) পঙ্গুত্ব সৃষ্টি করে।
(ii) ভূণস্থ শিশুর ক্ষতি করে।
(iii) বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দেয়।
(iv) স্নায়বিক দুর্বলতা দেখা যায়।
(v) পাকস্থলী ও ফুসফুসের জটিল অসুখ দেখা যায়।
(vi) ত্বক ও রক্তে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
(vii) কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, রক্তচাপ বৃদ্ধি প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি হয়।
17) মৃত্তিকাদূষণকারী তিনটি কীটনাশক ও তিনটি রাসায়নিক সারের নাম লেখো।
উত্তরঃ মৃত্তিকাদূষণকারী তিনটি কীটনাশক হল- ডিডিটি, বিএইচসি, প্যারাথিয়ন।
মৃত্তিকাদূষণকারী তিনটি রাসায়নিক সার হল- সালফেট, ফসফেট, ইউরিয়া।
আরও পড়ো-