(সপ্তম অধ্যায়) জলদূষণের প্রশ্ন ও উত্তর
প্রিয় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী,
আজ তোমাদের জন্য ভূগোলের জলদূষণ (সপ্তম অধ্যায়) নতুন পোস্ট শেয়ার করলাম, যা তোমরা খুঁজে চলেছ জলদূষণ থেকে, তাই আর সময় নষ্ট না করে নিচের প্রশ্ন ও উত্তর গুলো পড়ে নাও। যা তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।
সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল || জলদূষণ (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || West Bangal class-7 Geography
1) ক্যাডমিয়াম ঘটিত জলদূষণের কারণে কী রোগ হয়?
উত্তরঃ ইটাই-ইটাই/আউচ-আউচ।
2) জলবাহিত জীবাণুঘটিত রোগের নাম কী?
উত্তরঃ আমাশয় বা ডায়ারিয়া।
3) মিনামাটা রোগ হয় কী কারণে?
উত্তরঃ পারদের বিষক্রিয়ায়।
4) জলে ফসফেট মিশে জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে তাকে কী বলে?
উত্তরঃ ইউট্রোফিকেশন।
5) জলে কী দূষণের ফলে ফ্লুরোসিস রোগ হয়?
উত্তরঃ ফ্লুওরাইড।
6) ভারতের একটি জলসংকটপূর্ণ রাজ্যের নাম লেখো।
উত্তরঃ উত্তরপ্রদেশ।
7) ইজরায়েলে ব্যবহৃত জলের কত শতাংশ জল সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ প্রায় 30% জল পুনরায় সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়।
8) কোন্ কোন্ ধাতু জলদূষণ ঘটায়?
উত্তরঃ পারদ, সিসা, ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি।
9) জলদূষণ কী?
উত্তরঃ জলের সঙ্গে অবাঞ্ছিত দ্রব্য মিশে জলের নিজস্ব গুণাগুণকে পরিবর্তিত করে এবং তার জন্য জীবজগতের উত্তন ক্ষতিসাধন হলে ওই পরিবর্তিত অবস্থাকে জলদূষণ বলে।
10) মানবদেহে জলদূষণের প্রভাব লেখো।
উত্তরঃ দূষিত জল থেকে টাইফয়েড, জন্ডিস, আমাশয়, কলেরা, আন্ত্রিক, টিবি, চর্মরোগ প্রভৃতি মহামারি হয়ে দেখা দিতে পারে। পারদ দূষণে মিনামাটা রোগ সৃষ্টি হয়। আর্সেনিক পান দূষণের ফলে ব্ল্যাকফুট ও আর্সেনিকোসিস রোগ হয়। সিসার দূষণে ডিসলেক্সিয়া রোগ হয়।
11) ইউট্রোফিকেশন কীভাবে ঘটে?
উত্তরঃ জলাশয়ের চারপাশের জমি থেকে বিভিন্ন পুষ্টিকর ভি পদার্থ জলাশয়ে মিশে শৈবাল, আগাছা প্রভৃতি জলজ উদ্ভিদ জন্মাতে সাহায্য করে। ফলে জলাশয় ভরাট হয় ও জলাশয়ের স্বাভাবিক গুণাবলি পরিবর্তিত হয়, এর ফলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এই ঘটনাকে ইউট্রোফিকেশন বলে।
12) জলদূষণ প্রতিরোধ করার চারটি উপায় লেখো।
উত্তরঃ জলদূষণ নিয়ন্ত্রণ করার বেশ কিছু উপায় আছে। যেমন-(i) জলাশয়ে সরাসরি আবর্জনা নিক্ষেপ বন্ধ করা। (ii) জলাশয়ে সরাসরি ডিটারজেন্ট ব্যবহার না করা, আবর্জনা দিয়ে জলাশয় ভরাট বন্ধ করা। (iii) বদ্ধ কোনো জলাশয়ে পশুদের স্নান না করানো। (iv) জলদূষণ সংক্রান্ত আইন কঠিন ভাবে মেনে চলা।
13) আর্সেনিক দূষণ কীভাবে হয়?
উত্তরঃ অধিক মাত্রায় নগরায়ণ ও শিল্পোন্নয়নের প্রভাবে মাটির নীচের স্তর থেকে বেশিমাত্রায় জল সংগ্রহ করে নেওয়ায় মাটির নীচে ফাঁকা জায়গায় আর্সেনিক ও ক্লোরাইডের যৌগ বাতাসের সংস্পর্শে এসে অন্যান্য ক্ষতিকারক যৌগে পরিণত হয়। এই যৌগ নলকূপ ও গভীর জলাশয়ের মাধ্যমে পানীয় জলে মিশে যায়। এইভাবে পানীয় জল দূষিত হয়।
14) জলদূষণের ফলে কী কী রোগ দেখা যায়?
উত্তরঃ জলদূষণজনিত যে সমস্ত রোগগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল-আন্ত্রিক, মিনামাটা, কলেরা, হেপাটাইটিস, আর্সেনিকোসিস, আমাশয়, ইটাই-ইটাই, ডিসলেক্সিয়া, জিয়ারডিয়া প্রভৃতি।
15) প্রধান প্রধান জলদূষকগুলি কী কী?
উত্তরঃ প্রধান প্রধান জলদূষকগুলি হল ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, গৃহস্থালি ও শিল্পের পরিত্যক্ত বর্জ্য পদার্থ, DDT, গ্যামাক্সিন, সালফার, ক্যাডমিয়াম, পারদ, দস্তা, থোরিয়াম, ইউরেনিয়াম, অ্যামোনিয়া, ইউরিয়া প্রভৃতি।
16) ব্ল্যাকফুট ব্যাধি কী?
উত্তরঃ আর্সেনিকের প্রভাবে দূষিত জল পানীয় ও খাদ্যের না মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করে ফলে হাতের চেটো ও য়ে পায়ের তলায় কালো কালো ছোপ ছোপ দাগের সৃষ্টি হয়। ঠিন একে ব্ল্যাকফুট বলে। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের ত্বক নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বকের উদ্দীপনা হ্রাস পায়।
আরও পড়ো-