ছন্দে শুধু কান রাখো প্রশ্ন উত্তর
প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর বাংলা পাঠ্যবইতে অজিত দত্ত এর লেখা ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতা রয়েছে। এই কবিতা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর নীচে দেওয়া হলো, আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।
সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || ছন্দে শুধু কান রাখো (অজিত দত্ত) প্রশ্ন ও উত্তর || Chonde Shudhu Kan Rakho Questions
1) অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর
১) মন্দ কথায় কান দিয়ো না"-মন্দ কথার প্রতি কবির কীরূপ মনোভাব কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে?
উত্তর: মন্দ কথায় কান দিলে জীবনের অপরূপ ছন্দকে শোেনা ও বোঝা সম্ভব হয় না। এই জন্যই মন্দ কথার প্রতি কবি বিরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
২) "কেউ লেখেনি আর কোথাও”-কোন্ লেখার কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: নদীর স্রোতের কলধ্বনিতে যে 'ছড়া' রচিত হয়, তা শুনলে বা অনুভব করলে বোঝা যায়, এমন ছড়া কেউ আর কোথাও কখনও লেখেনি।
৩) "চিনবে তারা ভুবনটাকে"-কারা কীভাবে ভুবনটাকে চিনবে?
উত্তর: পৃথিবীর সর্বত্র সবকিছুর মধ্যে যে ছন্দ ছড়িয়ে রয়েছে, সেই ছন্দ যারা কান পেতে আর মন দিয়ে শুনতে পাবে। তারা এই ছন্দের সাহায্যে জগৎ ও জীবনের সবকিছুকে বুঝতে এবং অনুভব করতে পারবে। এভাবেই তারা 'ভুবনটাকে' চিনতে পারবে।
৪) "পদ্য লেখা সহজ নয়"-পদ্য লেখা কখন সহজ হবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর: পারিপার্শ্বিক জগতের সব ছন্দ যখন কান পেতে আর মন পেতে শোনা সম্ভব হবে, যখন বোঝা যাবে কোনোকিছুই ছন্দহীন নয়-ঠিক তখনই পদ্য লেখা সহজ হবে বলে কবির অভিমত। 'ছন্দ-সুরের সংকেতে' ভুবনটাকে চিনে নিলে আমাদের জীবন পদ্যময় হয়ে উঠবে এবং তখনই পদ্য লেখা সহজ হবে বলে কবি মনে করেন।
৫) "ছন্দ শোনা যায় নাকো'-কখন কবির ভাবনায় আর ছন্দ শোনা যায় না?
উত্তর: আমাদের মন যদি মন্দ কথার দিকেই সবসময় চলে যায়, তা যদি কেবল 'দ্বন্দ্ব' অর্থাৎ কলহ-বিবাদের মধ্যেই আটকে থাকে, তাহলে তখন আর কোনো ছন্দই আমাদের কানে আসে না।
৬) "ছন্দ আছে জোছনাতে"-জোছনাতে কীভাবে ছন্দ আছে বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: জোছনার মধ্যে যে অপরূপ স্নিগ্ধতা আছে তার মধ্যেই জোছনার ছন্দ আছে।
৭)'ছন্দে শুধু কান রাখো' কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: 'ছন্দে শুধু কান রাখো' কবিতাটি কবি অজিত দত্তের লেখা।
৮) "দ্বন্দ্ব ভুলে মন না দিলে'-'দ্বন্দ্ব' শব্দটির অর্থ লেখো।
উত্তর: 'দ্বন্দ্ব' শব্দটির অর্থ হল বিবাদ।
৯) দ্বন্দ্ব ভুলে মন না দিলে কী হবে?
উত্তর: দ্বন্দ্ব ভুলে মন না দিলে ছন্দ শোনা যাবে না।
১০) "মনের মাঝে শুনতে পাও"-কবি মনে মধ্যে কী শোনার কা বলেছেন?
উত্তর: কবি মনের মধ্যে নদীর স্রোতের ছন্দ শুনতে পাওয়ার কথা বলেছেন।
১১) কবির মতে ছন্দ শুনতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর: কবির মতে ছন্দ শুনতে হলে দ্বন্দ্ব ভুলে ছন্দের প্রতি মনোেযাগ দিতে হবে।
১২) "দ্বন্দ্ব ভুলে মন না দিলে/ছন্দ শোনা যায় নাকো।"-কোন্ ছন্দ কেন শোনা যায় না?
উত্তর: প্রকৃতির ছন্দ শোনা যায় না। কারণ, কবি মনে করেছেন, মন্দ কথার মধ্য দিয়েই দ্বন্দ্বের প্রকাশ ঘটে এবং তা ছন্দ শোেনার একাগ্রতাকে নষ্ট করে দেয়।
১৩) "কেউ লেখেনি আর কোথাও।"-কবি কোন্ বিষয়ে একথা বলেছেন?
উত্তর: মনের মধ্যে যদি নদীর স্রোতের ছন্দ শুনতে পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে সেরকম অতুলনীয় ছন্দ আর কোথাও লেখা হয়নি।
১৪) প্রকৃতির কোথায় কোথায় কবি ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন লেখো।
উত্তর: কবি ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন ঝড়-বৃষ্টিতে, জ্যোৎস্নাতে, দিনদুপুরে পাখির ডাকে, গভীর রাতে ঝিঁঝির ডাকে। নদীর স্রোতের মধ্যে কবি সর্বোত্তম ছন্দটি অনুভব করেছেন।
১৫) জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে কারা পাড়ি দেয়?
উত্তর: জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে নৌকা জাহাজ পাড়ি দেয়।
১৬) কারা ভুবনকে ছন্দ সুরের সংকেতে চিনতে পারবে?
উত্তর: যারা কান আর মন পেতে ছন্দ শুনবে তারাই ভুবনটাকে ছন্দ সুরের সংকেতে চিনতে পারবে।
১৭) ছন্দে কী বাঁধা থাকে?
উত্তর: ছন্দে রাত্রিদিন বাঁধা থাকে।
১৮) “মনের মাঝে জমবে মজা।' -কীভাবে এই মজা জমবে?
উত্তর: কান পেতে আর মন দিয়ে ছন্দ ও সুর শুনে জীবন ও পৃথিবীকে চিনলে মনের মধ্যে মজা জমে উঠবে।
১৯) "মনের মাঝে জমবে মজা জীবন হবে পদ্যময়"-পদ্যময় কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: 'পদ্যময়' কথাটির অর্থ 'ছন্দনিয়ন্ত্রিত'।
২০)"কান না দিলে ছন্দে জেনো"-ছন্দে কান না দিলে কী হয়?
উত্তর: ছন্দে কান না দিলে পদ্য লেখা সহজ হয় না।
২১)"কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন”-এই বোধ কখন সম্ভব বলে কবি মনে করেছেন?
উত্তর: কান আর মন দিয়ে চারপাশকে যদি উপলব্ধি করা যায় তাহলে প্রকৃতি আর জীবনের ছন্দকে উপলব্ধি করা যাবে। তখনই মনে হবে- "কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন"।
২২)“চিনবে তারা ভুবনটাকে"-কারা কীভাবে ভুবনটাকে চিনবে?
উত্তর: যারা কান পেতে আর মন দিয়ে ছন্দ শোনে, তারাই ভুবনটাকে চিনতে পারবে এবং সে চেনা হবে ছন্দ সুরের সংকেতে।
২৩)"পদ্য লেখা সহজ নয়"-কবির এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর: কান আর মন দিয়ে পৃথিবীর প্রতিটি জিনিসের মধ্যে থাকা ছন্দকে বুঝে নিতে হবে। তবেই পৃথিবীকে ছন্দময়ভাবে জানা সম্ভব হবে। যে এই ছন্দে কান দেবে না তার পক্ষে পদ্য লেখা সহজ হবে না।
2) নীচের বাক্য/বাক্যাংশের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ আলাদাভাবে দেখাও।
১)ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে।
উত্তর: উদ্দেশ্য ছন্দ বিধেয়-আছে ঝড়-বাদলে।
২) দেখবে তখন তেমন ছড়া/কেউ লেখেনি আর কোথাও।
উত্তর: উদ্দেশ্য-তেমন ছড়া
বিধেয়-দেখবে তখন কেউ লেখেনি আর কোথাও।
৩) জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে/নৌকো জাহাজ দেয় পাড়ি।
উত্তর: উদ্দেশ্য-নৌকো জাহাজ
বিধেয়-জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে পাড়ি দেয়।
৪)চিনবে তারা ভুবনটাকে/ছন্দ সুরের সংকেতে।
উত্তর: উদ্দেশ্য-তারা
বিধেয়-ভুবনটাকে ছন্দ সুরের সংকেতে চিনবে।
3) নীচের শব্দগুলিকে আলাদা আলাদা অর্থে ব্যবহার করে দুটি করে বাক্য লেখো:
মন্দ: মন্দ ব্যক্তিকে কেউ পছন্দ করে না। (খারাপ)
মন্দ: মন্দ বাতাস বইছে। (ধীর)
দ্বন্দ্ব: বেশি দ্বন্দু নিজের এবং অন্যের ক্ষতি করে।
দ্বন্দ্ব: দ্বন্দু ছাড়া জয়লাভ সম্ভব নয়।
তাল: ভাদ্র মাসে তালনবমী উৎসব পালিত হয়।
তাল: স্বর ও তাল ঠিক থাকলে তবেই গান শ্রুতিমধুর হয়।
ডাক: আজ-কাল আর ডাক-এর মাধ্যমে কেউ চিঠিপাঠায় না।
ডাক: ভোরবেলা পাখির ডাক-এ আমার ঘুম ভাঙে
বাজে: এখন রাত দশটা বাজে।
বাজে: বাজে ছেলেদের কেউ পছন্দ করে না।
ছড়া: ছটপুজোয় অনেক কলার ছড়া বিক্রি হয়।
ছড়া: ছোটোবেলায় আমি দিদার কাছে ছড়া শুনতাম।
মজা : সবসময় অন্যকে নিয়ে মজা করা ঠিক নয়।
মজা : মজা নদীটি এখন পুকুর হয়ে গেছে।
নয়: এখন আর খেলতে যাওয়া কোনো কাজের কথা নয়।
নয়: ওরা নয় জন মিলে ঘুরতে গেছে।
4)সমার্থক শব্দ লেখো:
জল-বারি, নীর, জীবন।
দিন-দিবস, দিবা।
রাত্রি-রাত, নীশি, রজনি।
নদী-স্রোতস্বীনি, প্রবাহিনী।
ভুবন-পৃথিবী, ধরিত্রী।
5) শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :
দিন-দিবস, দিবাভাগ।
মন-মানুষের মন।
দীন-গরিব, দরিদ্র।
মণ-ভরের একক, ওজনের পরিমাপ।
সুর-গানের সুর, দেবতা।
জীবন-প্রাণ।
শূর-বীর।
সকল-সব।
শকল-খণ্ড, অংশ।
আরও পড়ো-