বহুরূপী
সুবোধ ঘোষ
প্রিয় মাধ্যমিক শিক্ষাথীরা,
জীবিকা দিশারি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা বহুরূপী গল্পের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই বহুরূপী গল্পের প্রশ্নের উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য বহুরূপী গল্প সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
দশম শ্রেণীর বাংলা || বহুরূপী (সুবোধ ঘোষ) প্রশ্ন ও উত্তর || Bahurupi Questions And Answers Class-10
অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি
১) লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদার কাছে কোন্ ঘটনা শোনাতে এসেছিলেন?
উতর: জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব উঁচুদরের এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন এবং তিনি সাত দিন ধরে ছিলেন। এই খবরটাই লেখকরা হরিদাকে শোনাতে এসেছিলেন।
২)"হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম।"-কীসের গল্প?
উতর: জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন। হরিদার কাছে সেই সন্ন্যাসীর গল্পই করা হয়েছিল।
৩)"সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস” দুর্লভ জিনিসটি কী?
উত্তর: দুর্লভ জিনিসটি হল জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।
৪) হরিদা সন্ন্যসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে কী বলা হয়েছিল?
উত্তর: হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে বলা হয়েছিল সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো দুর্লভ জিনিস। একমাত্র জগদীশবাবু ছাড়া কাউকেই সন্ন্যাসী তাঁর পায়ের ধুলো দেননি।
৫) কীভাবে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর জন্য একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে খড়মজোড়া সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরতেই সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে নিজের পা এগিয়ে দেন। সেই সুযোগে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়ে নেন।
৬) সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?
উত্তর: সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তাঁকে দিয়েছিলেন আর সন্ন্যাসীর ঝোলায় জোর করে একশো টাকার একটা নোট ফেলেছিলেন।
৭)"সন্ন্যাসী হাসলেন আর চলে গেলেন"-সন্ন্যাসী কী দেখে হাসলেন?
উত্তর: সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর হাতে একশো টাকার একটা নোট দেখে হাসলেন।
৮) হরিদার ঘরটা কীরকম ছিল এবং সেখানে কী হত?
উত্তর: সরু এক গলির মধ্যে হরিদার ছোটো একটা ঘর ছিল। সেখানে সকাল-সন্ধ্যা লেখকদের আড্ডা বসত। চা, চিনি, দুধ তাঁরাই আনতেন। হরিদা শুধু আগুনের আঁচে জল ফুটিয়ে দিত।
৯) হরিদা কীভাবে প্রতিদিনের অন্নসংস্থান করে?
উত্তর: হরিদা বহুরূপী সেজে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় বহুরূপী দেখে কেউ কেউ এক-আনা, দু-আনা বকশিস দেয়। সেই দিয়ে হরিদা তার অন্নসংস্থান করে।
১০) হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী?
উত্তর: হরিদা ছিল পেশায় বহুরূপী। সে কখনও পাগল সাজত, কখনও বাউল, কোনোদিন কাপালিক, কখনও বা বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা। এটাই তার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য।
১১)"জগদীশবাবুর দুই বিস্মিত চোখ অপলক হয়ে গেল"- দেখে জগদীশবাবুর এমন অবস্থা হয়েছিল? উত্তর: জগদীশবাবু সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে যখন। দেখেছিলেন গায়ে সাদা উত্তরীয় নিয়ে এক বিরাগী সামনে দাঁড়িয়ে তকা তিনি অপলক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে চেয়ে রইলেন।
১২) "আমার অপরাধ হয়েছে"-বক্তার অপরাধ কী ছিল?
উত্তর: বিরাগী সাজে হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু ওপর থেকে নীচে নেমে আসেননি। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ।
১৩) হরিদার বিরাগী মূর্তি সম্পর্কে লেখক কী মন্তব্য করেছেন?
উত্তর: বিরাগীকে দেখে লেখক মন্তব্য করেছেন সীমার ওপার থেকে সে যেন হেঁটে এসেছে। তার শীর্ণ শরীর যেন অশরীরী সত্তা। উদাত্ত, শান্ত ও উজ্জ্বল দৃষ্টি তার চোখ থেকে ঝরে পড়ছে।
১৪) "হতেই পারে না।"-কী হতে পারে না বলে বক্তার ধারণা?
উত্তর: হরিদা বিরাগী সাজলে কথক ও তাঁর বন্ধুরা তাকে চিনত্রে পারেননি। তাঁদের মধ্যে ভবতোষ ভেবেছিল এই বিরাগী কখনোই হরিদা হতে পারে না।
১৫) "তিনি আপনার চেয়ে কিছু কম নয়।" 'তিনি' বলতে বক্তা কাকে বুঝিয়েছে?
উত্তর: 'তিনি' বলতে বক্তা পরম করুণাময় ঈশ্বরকেই বুঝিয়েছে।
১৬) বিরাগীর কাছে জগদীশবাবুর প্রাণের অনুরোধটি কী ছিল এবং তা শুনে বিরাগী কী বলেছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবু বিরাগীকে তাঁর বাড়িতে কিছুদিন থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। এই কথা শুনে বিরাগী বলেছিল ধরিত্রী তার আসল থাকার জায়গা দালানবাড়িতে সে থাকতে পারবে না।
১৭) বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?
উত্তর: বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু নোটের তাড়া ভরতি একটি থলে প্রণামী স্বরূপ বিরাগীর পায়ের কাছে রাখেন। এই টাকা তিনি বিরাগীকে তীর্থভ্রমণ উপলক্ষে দিতে চেয়েছিলেন।
১৮) "ভ্রমণ করে দেখবার দরকার হয় না।"-কেন ভ্রমণ করে দেখবার দরকার হয় না?
উত্তর: বিরাগী হরিদার মতে, তার বুকের ভিতরেই রয়েছে সব তীর্থ, তাই ভ্রমণ করে দেখবার প্রয়োজন হয় না।
১৯) বিরাগী জগদীশবাবুর দেওয়া তীর্থভ্রমণের টাকা নিল না কেন?
উত্তর: বিরাগীকে জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের টাকা দেওয়ায় সে বলেন তার বুকের ভেতরই তীর্থ। তাই তার ভ্রমণ করে তীর্থ দেখার কোনো প্রয়োজন হয় না।
২০)"আমার অনুরোধ বিরাগীজি।”-বক্তা বিরাগীজিকে কাঁ অনুরোধ করেছিলেন?
উত্তর: বক্তা বিরাগীজিকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য কিছু টাকা নিতে অনুরোধ করেছিলেন।
২১) "দুটো একটা পয়সাও ফেলে দিচ্ছে"-কারা, কী জন্য পয়সা ফেলে দিচ্ছে?
উত্তর: হরিদা পাগল সাজলে বাসের যাত্রীরা দুটো একটা পয়সা ছুড়ে দিচ্ছিল।
২২) "এইবার সরে পড়ো"- কে, কাকে সরে পড়তে বলে?
উত্তর: বাস ড্রাইভার জানত হরি বহুরূপী সাজে। আর তাই সেদিন হরি পাগল সাজলে বাস ড্রাইভার তাকে চিনতে পেরে সেখান থেকে সরে যেতে বলেছিল।
২৩)পাগলকে বহুরূপী বুঝতে পেরে লোকজন কী করে?
উত্তর: পাগল আসলে বহুরূপী তা বুঝতে পেরে বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে কেউ বিরক্ত হয় আবার কেউ এই ভেবে অবাক হয় যে লোকটা এমন সেজেছে যে তাকে চেনাই যাচ্ছে না।
২৪) কোন্ বহুরূপী বেশে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিল?
উত্তর: হরিদা একবার রূপসি বাইজি সেজে দোকানে দোকানে গিয়ে ফুলসাজি এগিয়ে দিচ্ছিল। সবাই এক সিকি করে সেই সাজিতে ফেলছিল। এইভাবে হরিদা মোট আট টাকা দশ আনা পেয়েছিল।
২৫ )পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিল?
উত্তর: হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়েছিল আর সেখান থেকে চারটে স্কুলের ছেলেকে ধরেছিল।
২৬) পুলিশ সেজে হরিদা স্কুলের কত জন ছাত্রকে ধরেছিল?
উত্তর: পুলিশ সেজে হরিদা স্কুলের চারজন ছাত্রকে ধরেছিল।
২৭) স্কুলের ছেলেদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে স্কুলের মাস্টার কী করেছিলেন?
উত্তর: স্কুলের মাস্টার ছেলেদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বহুরূপী বেশে নকল পুলিশকে আট আনা ঘুষ দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
২৮) মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন হরিদা পুলিশ সেজেছিল তখন কী করেছিলেন?
উত্তর: মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন যে হরিদা নকল পুলিশ সেজে ঘুষ নিয়ে ছেলেদের ছেড়েছে তখন তিনি একটুও রাগ করলেন না বরং তারিফ করলেন হরিদার বহুরূপী সাজের।
২৯) "তোমরা সেখনে থেকো"-কোথায় থাকতে বলা হয়েছে?
উত্তর: হরিদা বহুরূপী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে যাবে-সেখানেই কথক ও তাঁর বন্ধুদের থাকতে বলা হয়েছে।
৩০)কোন্ সময় এবং কী বেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিল?
উত্তর: হরিদা সন্ধ্যার সময় আদুড় গায়ে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় আর ছোটো থান পরে বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিল।
৩১) জগদীশবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে হরিদার ঘরে গিয়ে গল্পের কথক কী দেখেছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে হরিদার ঘরে গিয়ে কথক দেখে, উনানের গনগনে আগুনে হাঁড়িতে চাল ফুটছে আর হরিদা একটা বিড়ি নিয়ে চুপ করে বসে আছে।
৩২) 'এটা কী কান্ড করলেন'- কে, কী কান্ড করেছিল?
উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজেছিল। জগদীশবাবু তাকে তীর্থ ভ্রমণের টাকা দিতে গেলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। এই কান্ডের কথাই বলা হয়েছে।
৩৩) "অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না”-কোন্ ভুল?
উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশ বাবুর কাছ থেকে অনেকগুলো টাকা পেয়েও গ্রহণ করেনি। এখানে টাকা না নেওয়াকেই ভুল বলা হয়েছে।
৩৪) হরিদা কী কারণে আবার জগদীশবাবুর বাড়ি যেতে চেয়েছিল?
উত্তর: হরিদা বহুরূপী সাজার জন্য নিজের পাওনা বকশিশটুকু নেওয়ার জন্য জগদীশবাবুর বাড়ি আবার যেতে চেয়েছিল।
৩৫) 'নইলে আমি শান্তি পাবনা'- কী পেলে বক্তা শান্তি পাবেন?
উত্তর: বক্তা জগদীশবাবুর একান্ত ইচ্ছা যে বিরাগী তাঁকে কিছু উপদেশ দিয়ে গেলে তিনি শান্তি পাবেন।
আরও পড়ুন-