Ads Area


আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (শঙ্ক ঘোষ) প্রশ্ন ও উত্তর || দশম শ্রেণীর বাংলা || Bengali Questions Answers class-10

 আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
শঙ্ক ঘোষ

তোমাদের আজ শেয়ার করতে চলেছি Class-10 বাংলা বই থেকে আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতা থেকে কিছু প্রশ্নপত্র রয়েছে। লেখক  শঙ্ক ঘোষ এই কবিতাটি। তাই পরীক্ষা জন্য এই কবিতা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর তোমাদের কাছে তুলে ধরা হল, নিচে নতুন পোস্টে এই কবিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর আছে, তোমরা ভালো করে পড়ে নাও।


দশম শ্রেণীর বাংলা || আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (শঙ্ক ঘোষ) প্রশ্ন ও উত্তর  || Bengali Questions Answers class-10


দশম শ্রেণীর বাংলা || আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (শঙ্ক ঘোষ) প্রশ্ন ও উত্তর  || Bengali Questions Answers class-10


 অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি


১) কবি শঙ্খ ঘোষ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

২) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের কোন্ কাব্যগ্রন্থের কবিতা?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

৩) 'জলই পাষাণ হয়ে আছে' কাব্যগ্রন্থটির কবিতাগুলি কোন্ সময়ের মধ্যে রচিত?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি ২০০০-২০০৩ সালের মধ্যে রচিত।

৪) 'জলই পাষাণ হয়ে আছে' কাব্যগ্রন্থটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়?

উত্তর: জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থটি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর দ্বিতীয় মুদ্রণ হয় ২০০৮-এ।

৫) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতাটি 'জলই পাষাণ হয়ে আছে' কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতাটি জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের ৩১ সংখ্যক কবিতা।

৬) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতাটি কয়টি স্তবকে বিন্যস্ত? প্রতিটি স্তবকে কয়টি করে পঙ্ক্তি আছে?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতাটি দুটি ম্ভবকে বিন্যস্ত। প্রতিটি স্তবকে ১২টি করে পঙ্ক্তি রয়েছে।

৭) কবিতার কথকের ডানপাশে কীসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে? 

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের ডানপাশে ধসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে।

৮) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের মাথার ওপরে কী উড়ে বেড়াচ্ছে?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের মাথার ওপরে উড়ে বেড়াচ্ছে বোমারু বিমান।

৯) কবিতার কথক তার বাঁ দিকে কী দেখছেন?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথক তার বাঁ দিকে দেখছেন গভীর গিরিখাত।

১০) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের পায়ে পায়ে কীসের বাধা?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের পায়ে পায়ে হিমানীর বাধা।

১১)"আমাদের পথ নেই কোনো”-একথা মনে হয়েছে কেন?

উত্তর: সম্পূর্ণ প্রতিকূল ও অস্থির পরিবেশে এ-কথা মনে হয়েছে যে আমাদের কোনো পথ নেই। যে-কোনো দিকে পা বাড়ালেই চূড়ান্ত অঘটন ঘটবে।

১২) "আমাদের ঘর গেছে উড়ে"-কথাটির অর্থ পরিস্ফুট করো।

উত্তর: আকস্মিক বিপদে আমাদের ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। 'ঘর উড়ে যাওয়া' প্রবল দুর্দশার ব্যঞ্জনা বহন করে আনে।

১৩) "ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে"-'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতায় কথকের বিবৃতি অনুযায়ী কাছে-দূরে কী ছড়ানো রয়েছে?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতায় কথকের বিবৃতি অনুযায়ী কাছে-দূরে তাদেরই সন্তানের শব ছড়ানো রয়েছে।

১৪)"আমরাও তবে এইভাবে/এ-মুহূর্তে মরে যাব নাকি?"- কবিতার কথকের মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে, কারণ ব্যথাতুর চোখ মেলে তিনি চারদিকে আত্মজদের শবদেহ দেখেছেন।

১৫) "আমাদের পথ নেই আর"-'পথ' শব্দটি উদ্ধৃত অংশে কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতা থেকে উদ্ধৃত আলোচ্য অংশে 'পথ' শব্দটি 'উপায়' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

১৬) "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি"-বেঁধে বেঁধে থাকার উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: বেঁধে বেঁধে থাকার উদ্দেশ্য বিপদকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার শক্তি সংগ্রহ করা।

১৭) "আমাদের ইতিহাস নেই-" এ-কথা বলার অর্থ কী?

উত্তর: "আমাদের ইতিহাস নেই"-এ-কথা বলার অর্থ বক্তা যে সামাজিক অবস্থানে রয়েছেন, সেখানকার মানুষ কোনোদিনই ইতিহাসে স্থান পায় না।

১৮) "অথবা এমনই ইতিহাস"-ইতিহাস থেকে থাকলে তার স্বরূপটি কেমন?

উত্তর: 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের সমাজের ইতিহাস থেকে থাকলেও সেখানে সকলেরই চোখ-মুখ ঢাকা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য দিয়ে সেখানে কেউই ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি।

১৯) "পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে/পৃথিবী হয়তো গেছে মরে এমন কথা মনে হয়েছে কেন?

উত্তর: শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, আর্ত মানুষ যেন ভিন্ন কোনো গ্রহের জীব। তারা এতটাই সমাজবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, পৃথিবীর বাঁচা-মরার খবর যেন তাদের কাছে নেই।

২০) "আমরা ভিখারি বারোমাস"-কোন্ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ? 

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতায় 'আমরা ভিখারি বারোমাস' পঙ্ক্তিটিতে দীর্ঘকালীন বঞ্চনা ও বিপুল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়।

২১) "আমাদের কথা কে-বা জানে"-কাদের কথা কেউ জানে না?

উত্তর: দরিদ্র, ঘরহারা, স্বজনবিয়োগে ক্লিষ্ট, নিপীড়িত মানুষের কথা কেউ জানে না, কেউ তাদের খবর রাখে না।

২২) "আমরা ফিরেছি দোরে দোরে।"-দোরে দোরে ফেরার অর্থ কী?

উত্তর: দুর্যোগে সব-হারানো অসহায় মানুষ সাহায্যের আশায় মানুষেরই দ্বারস্থ হয়েছে, কিন্তু কেউ তাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি। জীবনযাপনের গ্লানি নিয়ে তাকে দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে সাহায্যের প্রত্যাশায়।

২৩) "কিছুই কোথাও যদি নেই"-কোথাও কিছু না থাকার মতো অবস্থা যখন, তখন কী করণীয়?

উত্তর: চারিদিকে অসীম শূন্যতার হাহাকারের দিনে যে ক-জন 'মানুষ' রয়েছেন, তাঁরা যেন হাতে হাত রেখে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন, সংঘবদ্ধভাবে বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে নেন।

২৪) "আমাদের পথ নেই কোনো”-এই পথ না থাকার তাৎপর্য কী?

উত্তর: মানুষ ক্রমশ চারপাশের অস্থিরতায় অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতা তাকে কোথাও থিতু হতে দিচ্ছে না। আদর্শবোধের ভাঙন ক্রমশই এত তীব্রতর হচ্ছে যে মানুষের চেতনা কোন্ পথে যাবে তা অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডানদিকে ধ্বংসের তাণ্ডব, বাঁদিকেও মৃত্যুফাঁদ। মাথার ওপরে আক্রমণের আশঙ্কা, চলতে গেলে বাধা। এভাবেই চলার পথ ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের কাছে। সার্বিক অন্ধকার এবং আদর্শহীনতা গ্রাস করছে আমাদের।

২৫)"আমাদের শিশুদের শব/ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে।”- মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: পৃথিবীজোড়া অনিশ্চয়তা, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, ধর্মান্ধতা,রাজনৈতিক আদর্শহীনতা ইত্যাদি সমাজকে অস্থির করে তুলছে। পৃথিবীজুড়ে যেন মারণযজ্ঞ চলছে। আর যে-কোনো যুদ্ধ অথবা সন্ত্রাসে শিশুহত্যার ঘটনা ঘটে যথেষ্টই। এই নারকীয় দৃশ্য কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যে ঘটে তা নয়, ঘটতে পারে পৃথিবীর যে- কোনো প্রান্তেই। এ শুধু অমানবিকতার প্রকাশ নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিনাশ। একই পৃথিবীতে বেঁচে থেকে কবি এই ধবংসলীলায় উদাসীন থাকতে পারেননি।

২৬) "আমাদের ইতিহাস নেই"-কথাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ইতিহাস আসলে জাতির আত্মবিকাশের গৌরবময় কাহিনি, তার ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার। কিন্তু যখন সেই ইতিহাস নিয়ন্ত্রিত হয় কোনো ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী, ধর্মসম্প্রদায় কিংবা রাজনীতির দ্বারা, তখন ইতিহাসের সেই মহিমার বিকৃতি ঘটে। ক্ষমতাশালীরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলে। মানুষ একসময় বিস্মৃত হয়ে যায় তার প্রকৃত ইতিহাস, আর চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকেই নিজের বলে গ্রহণ করে। এই পরিপ্রেক্ষিতকেই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

২৭) "আমরাও তবে এইভাবে/এ মুহূর্তে মরে যাব না কি?”- কবির এই ভাবনার কারণ আলোচনা করো।

উত্তর: চারপাশের অরাজকতা, ধর্ম কিংবা রাজনীতি-প্রতিটি ক্ষেত্রেই অসহিষ্ণুতা, সাম্রাজ্যবাদের সীমাহীন লোভ ইত্যাদি পৃথিবীজুড়ে হত্যা আর ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। বেঁচে থাকাটাই যেন এক বিস্ময় হয়ে উঠেছে। শিশুরা পর্যন্ত এই মারণলীলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রতিটি মানুষই যেন বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তাবোধে আক্রান্ত। সর্বোপরি, এই পরিজনহীন অবস্থাতে বেঁচে থাকা যেন মৃত্যুর মতো যন্ত্রণাদায়ক। এ কারণেই কবি মন্তব্যটি করেছেন।

২৮) আমাদের চোখমুখ ঢাকা/আমরা ভিখারি বারোমাস"- মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তর: কবি আমাদের ইতিহাস প্রসঙ্গে কথাটি বলেছেন। দেশ কিংবা জাতির যথার্থ বিকাশের ইতিহাস শাসক বা ক্ষমতাসীনদের দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত হয়। কারণ নিজেদের স্বার্থে তারা ইতিহাসকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চায়, যেন তা শুধু তাদেরই। আর আমরা অসহায়ের মতো সেই ইতিহাসকেই নিজেদের ইতিহাস বলে গ্রহণ করি। ভিখারিবৃত্তিতেই জীবন কাটানো অভ্যেস হয়ে যাওয়ায় নিজেদের ইতিহাসের সন্ধানটুকুও আমরা করি না। এই উচ্ছৃবৃত্তিকে কটাক্ষ করেই কবি উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।

২৯) "আমাদের কথা কে বা জানে।"-এই মন্তব্যের দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন লেখো।

উত্তর: আজকের পৃথিবী পরিচালিত হয় ক্ষমতাসীনদের দ্বারা। ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্রনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই শুধু যারা ক্ষমতাশালী তারাই সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণ মানুষ সেখানে উপেক্ষিত। দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ানোটাই তার নিয়তি। অর্থাৎ অন্যের কৃপার ওপরে নির্ভর করে বেঁচে থাকা ছাড়া তার গত্যন্তর নেই। এই মানুষরা হয়তো দক্ষতা কিংবা প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত মূল্য পায় না। অন্যের সাহায্য বা করুণার ওপরেই তাদের নির্ভর করে থাকতে হয়।

৩০) “তবু তো কজন আছি বাকি”-এই মন্তব্যের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: পৃথিবীজুড়ে সামাজিক এবং রাষ্ট্রনৈতিক ক্ষেত্রে আদর্শহীনতার বিস্তার আমাদের দিভ্রান্ত করছে, চলার পথ কোথাও সহজ নয়।এই অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষই যখন হতাশাগ্রস্ত তখনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন দু-একজনকে অদ্ভুত পাওয়া যায় যারা পারস্পরিক একাত্মতার কথা বলে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে না দাঁড়ালে এই ভয়ংকর । বিপদের মুহূর্তে বিপদকে রুখে, শান্তি ফিরিয়ে আনা যাবে না। প একতার শক্তিতেই এভাবে দিনবদলের স্বপ্ন দেখেন কবি, স্বপ্ন দেখেন প্রতিরোধের।

আরও পড়ুন-

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area