নদীর বিদ্রোহ
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রিয় মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর,
জীবিকা দিশারি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা বইয়ে নদীর বিদ্রোহ গল্পটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই গল্পটি প্রশ্ন ও উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য নদীর বিদ্রোহ গল্পের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
দশম শ্রেণীর বাংলা || নদীর বিদ্রোহ (মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Nadira Bidroha Questions Answers
অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি
১)'নদীর বিদ্রোহ' কার লেখা?
উত্তর: 'নদীর বিদ্রোহ' মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।
২) 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পে নদেরচাঁদবাবু পেশায় কে ছিলেন?
উত্তর: 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পে নদেরচাঁদবাবু একজন স্টেশনমাস্টার ছিলেন।
৩) নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারি করতে এসে কতদিন পরিচিত নদীটিকে দেখতে পায়নি?
উত্তর: নদেরচাঁদ পাঁচ দিন নদীকে দেখতে পায়নি।
৪) নদেরচাঁদের দেশের নদীটি কীরকম ছিল?
উত্তর: নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ছিল ক্ষীণস্রোতা ও নির্জীব।
৫) নদীকে না দেখতে পেয়ে নদেরচাঁদের অবস্থা কীরকম হয়েছিল?
উত্তর: নদীকে না দেখতে পেয়ে নদেরচাঁদের অবস্থা ছেলেমানুষের মতো হয়ে গিয়েছিল। সে ছোটো ছেলের মতো ঔৎসুক্য বোধ করছিল নদীকে দেখার জন্য।
৬) নদেরচাঁদের নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত কী ছিল?
উত্তর: নদেরচাঁদ নদীর ধারে জন্মেছে, নদীর ধারেই মানুষ হয়েছে, নদী যেন তার চিরপরিচিত আপনজন। তাই নদীকে সে ভালোবেসেছে।
৭) পাঁচ দিন পর নদীকে দেখে নদেরচাঁদ কেন স্তম্ভিত হয়েছিল?
উত্তর: পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টির জল পেয়ে নদী যেন ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল, বাঁধ ভেঙে যেন বেরিয়ে আসতে চাইছিল। নদীর এই রূপ দেখেই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল।
৮) কোথায় বসে নদেরচাঁদ প্রতিদিন নদীকে দেখত?
উত্তর: নদেরচাঁদ ব্রিজের মাঝামাঝি ইট, সুরকি আর সিমেন্ট দিয়ে গাঁথা ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে বসে প্রতিদিন নদীকে দেখত।
৯) নদেরচাঁদের ওপর কীসের দায়িত্ব ছিল?
উত্তর: নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টার ছিল। তাই সারাদিন ও রাতে যে-সমস্ত মেল, প্যাসেঞ্জার আর মালগাড়িগুলি তীব্রবেগে ছুটে চলে তাদের তীব্রবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব ছিল নদেরচাঁদের ওপর।
১০) কীভাবে নদীতে আবর্ত রচনা হয়েছিল?
উত্তর: নদীর জল বর্ষায় অনকেটা বেড়ে গেছিল। তাই নদীর স্রোত ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বাধা পেয়ে তা আবর্ত রচনা করছিল।
১১) কেন নদেরচাঁদের নদীর জলপ্রবাহকে জীবন্ত মনে হল?
উত্তর: বৃষ্টির জল পেয়ে নদীর জলপ্রবাহ উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল। আর এই উন্মত্ততার জন্যই নদেরচাঁদের নদীর জলপ্রবাহকে জীবন্ত বলে মনে হল।
১২) স্ত্রীকে লেখা চিঠি নদীর জলস্রোতে ফেলার পর নদেরচাঁদের কী মনে হল?
উত্তর: স্ত্রীকে লেখা চিঠি নদীর জলস্রোতে ফেলার পর নদেরচাঁদের মনে হল নদীর জীবন্ত জলপ্রবাহ চিঠিটাকে যেন তাড়াতাড়ি লুকিয়ে ফেলেছে।
১৩) নদেরচাঁদের কখন মনে হল তার সর্বাঙ্গ অবশ, অবসন্ন হয়ে আসছে?
উত্তর: নদী থেকে উঠে-আসা অশ্রুতপূর্ব একটা শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ মিশে যেন একটা সংগত সৃষ্টি করেছিল। তা শুনে নদেরচাঁদের মনে হল যেন তার সর্বাঙ্গ অবসন্ন হয়ে আসছে।
১৪) নদেরচাঁদ কেন ভয় পেয়েছিল?
উত্তর: নদীর অবস্থা ভয়ঙ্কর ছিল, নদী যেন রোষে, ক্ষোভে উন্মত্ত ছিল। নদেরচাঁদ নদী থেকে এক হাত উঁচুতেই বসেছিল। তাই বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে ওঠা নদী যে-কোনো মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে ভেবেই নদেরচাঁদ ভয় পেয়েছিল।
১৫) নদী কী চায় বলে নদেরচাঁদের মনে হল?
উত্তর: ব্রিজ ও মানুষের হাতে-গড়া বাঁধ ভেঙে নদী নিজের স্বাভাবিক গতি ফিরে পেতে চায় বলে নদেরচাঁদের মনে হল।
১৬) নদীর বিদ্রোহের কারণ নদেরচাঁদ বুঝতে পারল কীভাবে?
উত্তর: শুকনো নদী পাঁচ দিনের বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। উন্মত্ত নদীর সেই তীব্র স্রোতযুক্ত জলধারা দেখে নদের চাঁদ নদীর বিদ্রোহ অনুধাবন করল।
১৭) ব্রিজ ও বাঁধ ভেঙে ফেললেও নদী কেন রেহাই পাবে না বলে নদেরচাঁদের মনে হল?
উত্তর: ব্রিজ ও বাঁধ ভেঙে ফেললেও নদী রেহাই পাবে না। কারণ, মানুষ আবারও সেই ভেঙে ফেলা ব্রিজ ও বাঁধকে গড়ে তুলে নদীকে বন্দি করবে।
১৮) স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচিত হওয়া নদী আর নদেরচাঁদের দেশের নদীর মধ্যে পার্থক্য কী ছিল?
উত্তর: স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচিত হওয়া নদীটি ছিল গভীর, প্রশস্ত ও জলপূর্ণ আর নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ছিল ক্ষীণস্রোতা ও নির্জীব।
১৯) নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে তার অবস্থা কীরকম হয়েছিল?
উত্তর: নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে সে প্রায় কেঁদে ফেলেছিল। দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরমাত্মীয় মারা যাওয়ার উপক্রম হলে মানুষ যেভাবে কাঁদে সেভাবেই সে কেঁদেছিল।
২০) কীভাবে নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল?
উত্তর: অন্ধকারে অন্যমনস্কভাবে লাইন ধরে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল।
২১) নদেরচাঁদের নদীর প্রতি এত মায়া কেন তার নিজের কাছেই অস্বাভাবিক বলে মনে হয়?
উত্তর: নদেরচাঁদের নদীর প্রতি ভালোবাসা, মায়া, মমতা একটু বেশি রকম ছিল। এমনকি বেশিদিন নদীকে না দেখতে পেলে, নদীকে দেখার জন্য ছেলেমানুষের মতো সে উৎসুক হয়ে উঠত। কিন্তু একজন সাধারণ স্টেশনমাস্টার হয়ে চেনা ছক বা চেনা গন্ডির বাইরে বেরিয়ে নদীকে ভালোবাসা কিছুটা হলেও তার পক্ষে যেন বেমানান। তাই নদেরচাঁদের নদীর প্রতি এত মায়া তার নিজের কাছেই অস্বাভাবিক বলে মনে হয়।
২২) "নদীর জন্য এমনভাবে পাগল হওয়া কি তার সাজে?” কে, কেন এরূপ প্রশ্ন করেছে?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ নদীর জন্য পাগল হত। পেশায় সে স্টেশনমাস্টার। ছোটো হোক, বড়ো হোক, স্টেশনমাস্টারের কাজ দায়িত্বপূর্ণ। দিনরাত মেল, প্যাসেঞ্জার আর মালগাড়িগুলির ছোটাছুটি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব যাদের, নদেরচাঁদও তাদের মধ্যে একজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ভুলে সবসময় নদীর জন্য পাগল হওয়া তার সাজে না। তাই নদেরচাঁদ নিজেকেই এই প্রশ্ন করেছে।
২৩)"নদীকে এভাবে ভালোবাসবার একটা কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিতে পারে।” কোন্ প্রসঙ্গে এই কথা বলা হয়েছে? কী কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিতে পারে?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পে নদেরচাঁদ পেশায় ছিল একজন স্টেশনমাস্টার। কিন্তু একজন সাধারণ স্টেশনমাস্টার হয়ে নদীর প্রতি এরকম টান, নদীর জন্য এমনভাবে পাগল হওয়া খানিকটা অস্বাভাবিক মনে হলে নদেরচাঁদের নদীকে এভাবে ভালোবাসার একটা কৈফিয়ত দেওয়ার কথা লেখক বলেন।
নদেরচাঁদের নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়তটি ছিল এই যে, তার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে নদী। যেহেতু নদীর ধারেই তার জীবনের বেশিরভাগটাই কেটেছে নদীর ধারে, তাই চিরদিন সে নদীকে ভালোবেসেছে।
২৪) "সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল।”—কী কারণে সে প্রায় কেঁদে ফেলেছিল?
উত্তর: নদেরচাঁদের কাছে নদী হল জীবন্ত মানুষের প্রতিমূর্তি। জলপূর্ণ নদী তার কাছে প্রাণময় মানুষের মতো। একবার সে তার জন্মভূমির নদীটিকে শুকিয়ে যেতে দেখেছিল। সেবার অনাবৃষ্টির বছর ছিল। তাই নদীর ক্ষীণ স্রোতোধারা প্রায় বিশুষ্ক হয়ে পড়েছিল। নদীর শুকিয়ে যাওয়া নদেরচাঁদের কাছে মানুষের মৃত্যুর সমতুল্য। তাই সে জন্মভূমির আবাল্য পরিচিত নদীটির জন্য প্রায় কেঁদে ফেলেছিল।
২৫) "দূরারোগ্য ব্যাধিতে ভূগিতে ভুগিতে পরমাত্মীয়া মরিয়া যাওয়ার উপক্রম করিলে মানুষ যেমন কাঁদে।"-কেন একথা বলা হয়েছে?
উত্তর: 'নদীর বিদ্রোহ' ছোটোগল্পে নদেরচাঁদ চরিত্রটির নদীর ধারেই জন্ম, নদীর ধারেই সে মানুষ হয়েছে। তাই নদীর প্রতি তার এক অদ্ভুত টান ছিল।
নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা ও নির্জীব নদীটি অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ার মতোই তার মমতা পেয়েছিল। একবার অনাবৃষ্টিতে এই দ্বীপস্রোতা নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে নদেরচাঁদের ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। সে এমনভাবে কেঁদেছিল যেন কোনো - দুরারোগ্য ব্যাধিতে তার কাছের আত্মীয় মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারণ এই নদীকে সে পরমাত্মীয়ের মতোই ভালোবাসত।
২৬)'নদেরচাঁদ সব বোঝে, নিজেকে কেবল বুঝাইতে পারে না।'-নদেরচাঁদ কী বোঝে? সে নিজেকে বোঝাতে পারে না কেন?
উত্তর: নদীর প্রতি নদেরচাঁদের এত বেশি মায়া একটু অস্বাভাবিক। এই কথাটি সে বোঝে।
নদেরচাঁদ জানে তার নদীপ্রীতিকে কেউ সমর্থন করবে না। এটা তার একান্ত নিজস্ব অনুভূতি। এই অনুভূতি সর্বজনীন নয়। তাছাড়া সে যে কাজে নিযুক্ত তাতে নদী সম্পর্কে এত চিন্তা করাটাও বিপজ্জনক। কেননা, সে যে একজন স্টেশনমাস্টার তথাপি নদেরচাঁদ তার মনকে বোঝাতে পারে না। এক অজানা কারণেই তার চঞ্চল মন সর্বদা নদীর কাছেই ছুটে যায়।
২৭) নদেরচাঁদের দেশের নদী আর স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচিত নদী, এই দুই নদীকে ভালোবাসার প্রকৃতি বা স্বরূপ কীরকম ছিল?
উত্তর: নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদী যেন অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ের মতোই তার মমতা পেয়েছিল। নদীর জল শুকিয়ে এলে নদেরচাঁদ পরমাত্মীয়র বিয়োগ ব্যথায় কেঁদেছিল।
অন্যদিকে স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচিত গভীর প্রশস্ত নদী ছিল তার পরমবন্ধু। একদিনও সে নদীকে না দেখে থাকতে পারত না। নদীর স্রোতে নিজের স্ত্রীকে লেখা চিঠি ফেলে এক অদ্ভুত খেলায় নদেরচাঁদ মেতে উঠত। নদীও যেন তার খেলায় যোগ দিয়েছিল। এইরকমই ছিল তার ভালোবাসা।
২৮) "চার বছরের চেনা এই নদীর মূর্তিকে তাই যেন আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি অপরিচিত মনে হইল।"-কেন নদেরচাঁদের কাছে নদীর মূর্তি অপরিচিত বলে মনে হল আলোচনা করো।
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটিতে নদেরচাঁদের স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচয় নদী হওয়া বাঁধে বন্দি নদীটির কথা বলা হয়েছে। এই নদী গভীর, প্রশস্ত ও জলপূর্ণ। কিন্তু প্রবল বর্ষায় পাঁচ দিন সে নদীকে দেখতে যেতে পারেনি। পাঁচ দিন পরে গিয়ে নদেরচাঁদ দেখল, নদী যেন তার বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিদ্রোহ করছে। নদীর গাড় পঙ্কিল জল ফুলেফেঁপে ছুটে চলেছে। নদীর এই ভয়ংকর রূপ নদেরচাঁদ আগে কখনও দেখেনি। তাকে তার অপরিচিত বলে মনে হল।
২৯) নদেরচাঁদ নদীর সঙ্গে যে খেলায় মেতে উঠেছিল, সেই খেলাটি কীরকম ছিল?
উত্তর: এক বর্ষার দিনে নদীর কাছে গিয়ে নদেরচাঁদ দেখল নদীর জল ব্রিজের ধারকস্তন্তে বাধা পেয়ে এক ফেনিল আবর্ত রচনা করেছে। সে পকেট থেকে অনেকদিন আগে স্ত্রীকে লেখা একটা চিঠি বার করে নদীর স্রোতে ছুড়ে ফেলল। চোখের পলকে সেই চিঠি অদৃশ্য হয়ে গেল। চিঠির এক-একটি পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে-মুচড়ে সে নদীর মধ্যে ফেলতে লাগল আর নদীও যেন সেগুলি নিজের মধ্যে লুকিয়ে ফেলতে লাগল। এইভাবে নদেরচাঁদ এক অদ্ভুত খেলায় মেতে উঠেছিল।
৩০)"আজ যেন সেই নদী ক্ষেপিয়া গিয়াছে।” নদীর খেপে যাওয়ার মধ্যে নদেরচাঁদ কোন্ সত্য উপলব্ধি করেছে?
উত্তর: বর্ষায় নদী টইটুম্বুর হয়ে উঠেছে। প্রবল তার জলস্রোত। পরিপূর্ণতার আনন্দে সে যেন মাতোয়ারা। কোনো বাধা সে মানতে চায় না। প্রমত্ত জলের ঘূর্ণিতে পঙ্কিল আবর্ত সৃষ্টি হয়েছে। নদেরচাঁদ মনে করেছে, নদী এবার বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। মানুষ বিদ্রোহী হলে যেমন দুর্বার দুরন্ত হয়, হয়ে ওঠে প্রতিবাদী, ঠিক তেমনই নদীও যেন আজ আগ্রাসী মানুষের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে চাইছে।
আরও পড়ুন-