হারিয়ে যাওয়া কালি কলম
শ্রীপান্থ
প্রিয় মাধ্যমিক শিক্ষাথীর্র,
এই আর্টিকেলে আমরা Class 10 এর বাংলা বইয়ের হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবাদটি থেকে প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের দশম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে লেখক শ্রীপান্থ এর লেখা হারিয়ে যাওয়া কালি কলম। এই প্রবাদ থেকে কিছু প্রশ্নপত্র রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
দশম শ্রেণীর বাংলা || হারিয়ে যাওয়া কালি কলম (শ্রীপান্থ) প্রশ্ন ও উত্তর || Questions And Answers Class-10
১) অনিলা দেবী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হলে শ্রীপান্থ কোন্ সাহিত্যিক?
উত্তর: শ্রীপান্থ হল নিখিল সরকারের ছদ্মনাম।
২) পাঠ্য 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' রচনাটি যে গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর: পাঠ্য 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' রচনাটি নিখিল সরকার রচিত কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই গ্রন্থের অন্তর্গত।
৩) কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই গ্রন্থটি ছাড়া নিখিল সরকার রচিত অপর দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই গ্রন্থটি ছাড়া নিখিল সরকার রচিত অপর দুটি গ্রন্থ হল যখন ছাপাখানা এলো, মেটিয়াবুবুজের নবাব।
৪) "লেখে তিনজন।"- এই 'তিনজন' বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' রচনায় ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে তিনজন বলতে কালি, কলম এবং মনকে বোঝানো হয়েছে।
৫) লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস? সবাই সেখানে কী?
উত্তর: লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা লেখালেখির অফিস। সেখানে সবাই লেখক।
৬) লেখকের অফিসে লেখক ছাড়া সকলের সামনে কী থাকে?
উত্তর: লেখকের অফিসে লেখক ছাড়া সকলের সামনে চৌকো আয়নার মতো একটা কাঁচের স্ক্রিন বা পরদা অর্থাৎ কম্পিউটার থাকে।
৭) "লেখকরা অনবরত তা দিয়ে লিখে চলেছেন।"- 'তা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে 'তা' বলতে ছাপা হরফসহ কম্পিউটারের কিবোর্ড বোঝানো হয়েছে।
৮) লেখক একদিন অফিসে কলম নিয়ে যেতে ভুলে গেলে 'তবেই বিপদ' কেন বলেছেন?
উত্তর: লেখক ছাড়া তাঁর অফিসে কেউ লেখার কাজে কলম ব্যবহার করেন না। এমনকি কারও কাছে কলম পেলেও সে ভোঁতা মুখের কলমে লিখে লেখক সুখ পান না।
৯) "দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো কাজ সারতে হয়।" - 'দায়সারা' কথাটি ব্যবহার করেছেন কেন?
উত্তর: অফিসে লেখকই একমাত্র কলম ব্যবহার করতেন। তাই কোনোদিন কলম নিয়ে যেতে ভুলে গেলে কারও ভোঁতা মুখের কলমে অগত্যা কাজ চালাতে হত।
১০) "কালগুণে বুঝিবা আজ আমরাও তা-ই।" "আমরাও তা-ই' বলতে লেখক কী বলেছেন?
উত্তর: বাংলার এক প্রচলিত প্রবাদ অনুযায়ী লেখক বলেছেন কালি ও কলম ছাড়াই এখন সবাই মুনশি।
১১) ছোটোবেলায় কলম তৈরি করার সময় বড়োরা লেখকদের কী শিখিয়েছিলেন?
উত্তর: ছোটোবেলায় কলম তৈরি করার সময় বড়োরা শিখিয়েছিলেন বাঁশের কঞ্চির সুচালো মুখটা চিরে দিতে, তবেই কালি একসঙ্গে না গড়িয়ে ধীরে ধীরে পড়বে।
১২) লেখকের শৈশবে লেখার পাত কেমন ছিল?
উত্তর: শৈশবে লেখকদের লেখার পাত বলতে ছিল কলাপাতা। কাগজাকৃতি করে তাতেই লেখকরা হোমটাস্ক করতেন।
১৩) কলাপাতায় হোমটাস্ক করার পর সেগুলি নিয়ে শৈশবে লেখকরা কী করতেন?
উত্তর: লেখকরা কলাপাতায় হোমটাস্ক করে সেগুলি বান্ডিল বেঁধে স্কুলে নিয়ে গিয়ে মাস্টারমশাইকে দেখানোর পর ফেরত পাওয়া অংশটা পুকুরে ফেলে দিতেন।
১৪) "গোরুকে অক্ষর খাওয়ানো নাকি পাপ।”- তাই লেখকরা শৈশবে কী করতেন?
উত্তর: শৈশবে লেখকরা মাস্টারমশাইয়ের ফেরত দেওয়া কলাপাতার অংশটি পুকুরে ফেলে দিতেন। কারণ গোরু তা খেলে অমঙ্গল হরে বলে মনে করা হত।
১৫) বড়োদের সাহায্য নিয়ে শৈশবে লেখকরা কীভাবে নিজেরাই কালি তৈরি করতেন?
উত্তর: কাঠের উনুনে ব্যবহার করা কড়াইয়ের নীচে জমে থাকা কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে তুলে একটা পাথরের বাটিতে জলে খুলে নেওয়া হত।
১৬)"বলতে গেলে তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি।'- কী কী নিয়ে প্রথম লেখালেখি ছিল?
উত্তর: বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি এবং লেখার জন্য কলাপাতা-এগুলি নিয়েই লেখকের শৈশবে প্রথম লেখালেখি ছিল।
১৭) "তখন মনে কষ্ট হয় বই কী।'- কী কারণে মনে কষ্ট হয়েছে?
উত্তর: কলম ক্রমশ উধাও হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় লেখক মনে কষ্ট পেয়েছেন।
১৮) লেখকের জন্ম মিশরে হলে লেখক কী করতেন বলেছেন?
উত্তর: মিশরে জন্ম হলে লেখক নীল নদীর তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙে নিয়ে কলম হিসেবে ব্যবহার করতেন।
১৯) ফিনিসীয় হলে লেখক কী করতেন?
উত্তর: লেখক ফিনিসীয় হলে বনপ্রান্ত থেকে হাড় কুড়িয়ে তাকে কলম হিসেবে ব্যবহার করতেন।
২০) 'এমনকী আমি যদি রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হতাম।'- কোন্ রোমান অধীশ্বরের নাম তুমি পেয়েছ?
উত্তর: রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হিসেবে জুলিয়াস সিজারের কথা বলা হয়েছে।
২১) স্টাইলাস কী?
উত্তর: ব্রোঞ্জের সরু কাঠি বা শলাকার পোশাকি নাম স্টাইলাস। কলম হিসেবে ব্রোঞ্জের শলাকা ব্যবহারের করা হত প্রাচীনকালে।
২২) স্টাইলাসকে ঘিরে রোমের ইতিহাসের কোন্ ঘটনার কথা লেখক বলেছেন?
উত্তর: স্টাইলাস বা ব্রোঞ্জের এক শলাকা দিয়ে রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজার কাসকাকে আঘাত করেছিলেন। সেকথাই লেখক এখানে বলেছেন।
২৩) সরস্বতী পুজোর সময় কালি ও কলমের কী বিশেষত্ব দেখা যায়?
উত্তর: সরস্বতী পুজোর সময় কাচের দোয়াত কালির বদলে দুধ এবং খাগ কলমের ব্যবহার করা হয়।
২৪) পালকের কলমের ইংরেজি নাম কী?
উত্তর: পালকের কলমের ইংরেজি নাম হল কুইল। এটি সাধারণত পাখির পালক থেকে তৈরি হত।
২৫) বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে কে কী বলতেন?
উত্তর: বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে লর্ড কার্জন বলতেন 'বাবু কুইল ড্রাইভারস।'
২৬) পালকের কলম বর্তমানে দেখার জন্য কীসের ওপর নির্ভর করতে হয়?
উত্তর: পালকের কলম বর্তমানে দেখার জন্য নির্ভর করতে হয় তৈলচিত্র বা ফোটোগ্রাফের ওপর।
২৭) পালক কেটে কলম ও কালি তৈরি করার জন্য সাহেবরা কী করেছিলেন?
উত্তর: পালক কেটে কলম ও কাজি তৈরি করার জন্য সাহেবরা পেনসিল সাপনারের মতো এক ধরনের যন্ত্র তৈরি করেন। কালি বানানোর জন্য তাতে ব্লেড ছিল।
২৮) "কিন্তু সে সব ফাঁকি মাত্র।" এই উক্তির তাৎপর্য কী?
উত্তর: পালক কলম এবং দোয়াত কলমের পরিবর্তে অফিসে ছদ্মবেশী বলপেন সাজানো থাকে, যাকে লেখক বলেছেন 'ফাঁকি মাত্র'।
২৯) "কিছুকাল আগে একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন..... - কী লিখেছিলেন?
উত্তর: একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন, কলকাতার চৌরঙ্গিতে তিনজন ফেরিওয়ালার মধ্যে একজন কলমবিক্রেতা।
৩০) "দার্শনিক তাঁকেই বলে”- এই প্রসঙ্গে কী বলেছেন লেখক?
উত্তর: লেখকের মতে যিনি কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন তিনিই দার্শনিক।
৩১) "কেউ কেউ অবশ্য চুলেও কলম ধারণ করেন।"- এই প্রসঙ্গে শ্রীপান্থ কী উদাহরণ দিয়েছেন?
উত্তর: আলোচ্য প্রসঙ্গে শ্রীপাল্ব উদাহরণ দিয়েছেন, ভিড় ট্রাম বা বাস থেকে নামার সময় কোনো কোনো মহিলা যাত্রী খোঁপায় কলম গোঁজেন।
৩২) "কলম এখন সার্বজনীন।" তাৎপর্য কী?
উত্তর: সস্তা এবং সর্বভোগ্য হওয়ার ফলে কলম সম্পর্কে লেখক এমন মন্তব্য করেছেন।
৩৩) "কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।"- অস্পৃশ্য কেন?
উত্তর: কলম অতি সম্ভা এবং সর্বভোগ্য হওয়ার ফলে পকেটমারও কলম চুরি করে না। তাই বলা হয়েছে তাদের কাছে কলম অস্পৃশ্য।
৩৪) কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব কীভাবে ঘটেছে?
উত্তর: কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটেছে ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারে।
৩৫) ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে?
উত্তর: ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক হলেন লুইস অ্যান্ডসন ওয়াটারম্যান ।
৩৬) "আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার কথা।' -কোথায় লেখক ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিলেন?
উত্তর: লেখক কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিলেন।
৩৭) পেনের দোকানদার লেখকের পকেটের অবস্থা বুঝতে পেরে কী পেন দিয়েছিলেন?
উত্তর: পেনের দোকানদার লেখকের পকেটের অবস্থা বুঝতে পেরে একটি সম্ভার জাপানি পাইলট পেন দিয়েছিলেন।
৩৮) "এই দেখো। নিব ঠিক আছে।"- কোন্ ঘটনায় দোকানদার এরূপ বলেছিলেন?
উত্তর: একটি কাঠের বোর্ডের দিকে একটা পাইলট পেন ছুঁড়ে দিয়ে দোকানদার দেখিয়েছিলেন পেনটার নিবটা ঠিক অক্ষতই আছে।
৩৯) "তা লেখককে নেশাগ্রস্ত করে।"- কী, কীভাবে লেখককে নেশাগ্রস্ত করে?
উত্তর: ফাউন্টেন পেন এবং তা সংগ্রহের আনন্দ লেখককে নেশাগ্রস্ত করে।
৪০) কোন্ লেখকের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ দেখে লেখক 'নেশাগ্রস্ত' হওয়ার কথাটি এনেছেন?
উত্তর: সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ দেখে লেখক 'নেশাগ্রস্ত' হওয়ার কথাটি এনেছেন।
৪১) প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম কী ছিল?
উত্তর: প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন।
৪২) "আমি ছিলাম কালি কলমের ভক্ত।" এখানে কী বলতে চেয়েছেন লেখক?
উত্তর: লেখকপুরোনো দিনের দোয়াতভরা কালি এবং সেই কালির "নিব পেনের ভক্ত ছিলেন।
৪৩) এই প্রবন্ধে দোয়াতে এবং বোতলে তৈরি হওয়া কালির কী কী নাম পেয়েছ?
উত্তর: দোয়াতে এবং বোতলে তৈরি হওয়া কাজল, সুলেখা কালির নাম পাওয়া গিয়েছে পাঠ্য রচনায়।
৪৪) বিদেশে উন্নত ধরনের নিব কী দিয়ে বানানো হত টেকসই করার জন্য?
উত্তর: বিদেশে উন্নত ধরনের নিব বানানো হত গোরুর শিং অথবা কচ্ছপের খোল কেটে।
৪৫) "ক্রমে হঠিয়ে দেওয়া হলো দোয়াত আর কলমকে।"- কীভাবে হঠিয়ে দেওয়া হল?
উত্তর: ফাউন্টেন পেনের সম্ভা, দামি, উন্নত নানা ধরনের সম্ভার বাজার ধরে নেওয়ার ফলে দোয়াত এবং কলম ক্রমশ বাজার থেকে সরে যেতে থাকে।
৪৬) প্রথমে এবং পরে লেখা শুকোনো হত কী দিয়ে?
উত্তর: প্রথমে বালি এবং পরে ব্লটিং পেপারে লেখা শুকোনো হত।
৪৭) "না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত।" কী প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন?
উত্তর: সুভো ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখে বিস্মিত লেখক এমন মন্তব্য করেছেন।
৪৮) গ্রামে কেউ দু-একটা পাশ করতে পারলে বুড়োবুড়িরা কী বলে আর্শীবাদ করতেন?
উত্তর: গ্রামে কেউ দু-একটা পাশ করতে পারলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তাকে 'সোনার দোয়াত কলম হোক' বলে আশীর্বাদ করতেন।
৪৯) সোনার দোয়াত কলম যে সত্যিই হয়, তা লেখক কী করে জেনেছিলেন?
উত্তর: সোনার দোয়াত কলম যে সত্যিই হয় তা লেখক জেনেছিলেন সুভো ঠাকুরের দোয়াতের সংগ্রহ দেখে।
৫০) সুভো ঠাকুরের দোয়াতের সংগ্রহ দেখে অবাক হয়ে মনে মনে লেখক কী ভেবেছিলেন?
উত্তর: অবাক হয়ে মনে মনে লেখক ভেবেছিলেন, এই দোয়াতের কালি ও কলম দিয়েই শেকসপিয়ার, দান্তে, মিলটন, কালিদাস, কাশীরাম, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ সাহিত্যিক তাঁদের অমর রচনা লিখে গিয়েছেন।
৫১) "ক্রমে তাও বুঝিবা যায়।"- কেন লেখক এরূপ বলেছেন?
উত্তর: ফাউন্টেন পেনও তার আধিপত্য এবং বাজারজোড়া সর্বজনীন রূপ হারিয়ে বল পেনের জয় দেখতে চলেছে। সেই প্রসঙ্গেই লেখক এরূপ বলেছেন।
৫২) ফাউন্টেন পেন তাদের গর্ব প্রকাশে কী বিজ্ঞাপন দিয়েছিল?
উত্তর: ফাউন্টেন পেন গর্ব করে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তাদের তহবিলে সাতশো রকমের নিব থাকে।
৫৩) "যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই পারে।"- উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।
উত্তর: গায়ক, শিল্পী, শ্রুতিলেখক, বাম হাতে লেখা লোক, এমনকি ধনী ব্যক্তি-সকলের চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে এরূপ বলা হয়েছে।
৫৪) "আমার মতো আরো কেউ কেউ নিশ্চয় বিপন্ন বোধ করছেন।"- কী বিষয়ে বিপন্ন বোধের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: লেখকের মতো যারা কলম ব্যবহার করেন তাদের বিপন্ন অবস্থা, কারণ কলম আজ ক্রমশ অবলুপ্তির পথে।
৫৫) লিপিকুশলী কাদের বলা হয়?
উত্তর: পারদর্শী লিপিকর বা ক্যালিগ্রাফিস্টদের বলা হয় 'লিপিকুশলী।'
৫৬)"সমানি সম শীর্পণি ঘনানি বিরলানি চ।"- বাংলা অর্থ কী?
উত্তর: উদ্ধৃত উক্তিটির বাংলা অর্থ 'সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল, পরিচ্ছন্ন।'
৫৭)"অথচ কত সামান্যই না রোজগার করতেন ওঁরা।"- এরকম বক্তব্যের কোন্ উদাহরণ লেখক দিয়েছেন?
উত্তর: বক্তব্যের সপক্ষে উদাহরণ দিয়ে গিয়ে লেখক জানিয়েছেন, অষ্টাদশ শতকে চার খন্ড রামায়ণ লিখে একজন লেখক পেয়েছিলেন নগদ সাত টাকা।
আরও পড়ুন-