Ads Area


প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা || Bengali Grammar Class-10

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বর্তমান পাঠক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষায় একটি করে প্রবন্ধ রচনা প্রশ্নপত্রে এসেই থাকে। শব্দসীমা ৫০০ এবং পূর্ণমান ১০। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কোনো উত্তরসংকেত দেওয়া থাকে না কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে উত্তরসংকেত দেওয়া থাকে। এই নমুনা বাংলা প্রবন্ধরচনা ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে আমরা মধ্য বিভাগের সকল শ্রেনীর বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রদান করবো। নতুন নতুন প্রশ্ন পেতে নিয়মিত আমাদের Website টি Follow করো। যাইহোক, বর্তমান পোস্টে প্রকাশিত “ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ ” প্রবন্ধটি মূলত মাধ্যমিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা || Bengali Grammar Class-10

   প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ রচনা || Bengali Grammar Class-10


প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ


"প্রকৃতি রহস্যময়ী, নাই তার কুল,

মানুষ তাহার হাতে খেলার পুতুল।"


ভূমিকা

প্রকৃতি অনিয়ন্ত্রিত এক মহাশক্তি। সে কখন যে বুষ্ট হয় কেউ বলতে পারে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনিবার্য ও আকস্মিক ঘটনা। এর জন্য সবসময় পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা অব্যাহত। প্রকৃতির এই ধ্বংসলীলার মধ্য থেকেই নতুন সৃষ্টি হয়েছে। এইভাবে যুগের পর যুগ ধরে এই পৃথিবী এগিয়ে চলেছে।

দুর্যোগে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা

নানাধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়-ভূমিকম্প, বন্যা, ঝড়, দাবানল ইত্যাদি। এসব এতই প্রবল ও অনিবার্য যে এগুলিকে প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব। তবে তাৎক্ষণিক উদ্ধারকার্য ও স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলি সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে। এই কাজে ছাত্রছাত্রীরাও উল্লেখযোগ্য অংশ নিতে পারে। তাদের পড়াশোনার বাইরে এই কাজে এগিয়ে আসা উচিত।

ভূমিকম্পের মোকাবিলা

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক উদ্ধারকার্যে প্রশাসন, সামরিকবাহিনী এগিয়ে আসে। তাদের কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। অবশ্য এই কাজে সর্বাগ্রে সরকারি প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিই এগিয়ে আসে। তারপর তাদের সাহায্য করার জন্য প্রয়োজন হয় ছাত্রছাত্রীদের। প্রাথমিক বিপর্যয়ে সামরিক বাহিনী, অসামরিক বিভাগের দায়িত্ব সর্বাধিক। ছাত্রছাত্রীদের কাজ হবে সামরিকবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া। স্ট্রেচারে করে প্রতিটি আহত মানুষকে নিয়ে যেতে হবে অস্থায়ী চিকিৎসা শিবিরে। তাদের জন্য ওষুধের ব্যবস্থা যেমন করতে হবে, তেমনি ব্যবস্থা করতে হবে পথ্য ও আহারের।

বন্যার মোকাবিলা

আমাদের এই বানভাসি দেশে বন্যার প্রকোপ খুবই বেশি। চারদিকে দেখা দেয় বন্যার তাণ্ডব। মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে যায়। জলের তলায় তলিয়ে যায় কত না জীবন্ত মানুষ। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের মোকাবিলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হয়। এগিয়ে আসতে হয় বিশেষভাবে দেশের তরুণ ছাত্রসমাজকে, বন্যার্তদের বাঁচিয়ে তুলতে, তাদের ওষুধ ও খাদ্যের ব্যবস্থা করতে কেবল সরকারের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। আমাদের জনসমাজ ও ছাত্রসমাজ যদি এগিয়ে না আসে, তা হলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না।

বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ

হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনাকেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। পাহাড়ি এলাকায় ধসও অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিশেষ করে বর্ষাকালে ধস নিত্যকার ঘটনা, ওইসব অঞ্চলের ছাত্ররা উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজে অংশ নিতে পারে। কেননা, সরকারি সাহায্য সর্বত্র তৎক্ষণাৎ পৌঁছায় না। এই সময় ছাত্র ও তরুণ সমাজ উদ্ধারকাজে অগ্রসর হলে জনগণের কষ্ট লাঘব হয়।

ছাত্রসমাজের কর্তব্য ও উপসংহার

আমাদের এই পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভাব নেই। আমরা দেখছি কোথাও খনির ধসে মানুষ সমাধি লাভ করছে মাটির নীচে, আবার কোথাও বা আকস্মিক 'সুনামি'তে লক্ষ লক্ষ লোক মৃত্যুর মুখে পড়ে যাচ্ছে। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এইসব দুর্যোগে মানুষ বড়ো অসহায়। নিশ্চিত মৃত্যুকে মেনে নেওয়া ছাড়া তখন যেন আর কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু ভুললে চলবে না, ওই অবস্থা থেকে মানুষই পারে মানুষকে বাঁচাতে। এবং ওই মানুষদের ভেতর ছাত্রসমাজের ভূমিকা সবথেকে জরুরি হয়ে পড়ে। বলা বাহুল্য, ছাত্রসমাজ এসব কাজে সদা তৎপর। তাদের তরুণ মন এবং অপরিসীম শক্তি বিপন্ন মানুষকে বিপদ কাটিয়ে সুস্থ ও নিরাপদ জীবনে টেনে আনতে পারে। তাই ছাত্রসমাজের ওপর আমরা গভীর আশা রাখি।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area