Ads Area


শীতের সকাল বাংলা প্রবন্ধ রচনা || Siter sokal Bangla Prabandha Rachana

Top Post Ad

 শীতের সকাল বাংলা প্রবন্ধ রচনা

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বর্তমান পাঠক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষায় একটি করে প্রবন্ধ রচনা প্রশ্নপত্রে এসেই থাকে। শব্দসীমা ৫০০ এবং পূর্ণমান ১০। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কোনো উত্তরসংকেত দেওয়া থাকে না কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে উত্তরসংকেত দেওয়া থাকে।

এই নমুনা বাংলা প্রবন্ধরচনা ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে আমরা মধ্য বিভাগের সকল শ্রেনীর বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রদান করবো। নতুন নতুন প্রশ্ন পেতে নিয়মিত আমাদের Website টি Follow করো। যাইহোক, বর্তমান পোস্টে প্রকাশিত "শীতের সকাল" প্রবন্ধটি মূলত মাধ্যমিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

শীতের সকাল বাংলা প্রবন্ধ রচনা || Siter sokal Bangla Prabandha Rachana


শীতের সকাল বাংলা প্রবন্ধ রচনা || Siter sokal Bangla Prabandha Rachana


শীতের সকাল


ভূমিকা :

কুয়াশার আলতো আবেশ মাখা প্রিয় অস্পষ্ট স্মৃতির মতো শীতের সকাল হাতছানি দিয়ে ডাকে। পাখিদের দল ঝাপসা আকাশের হলুদ আলোয় উড়ে উড়ে চলে। সবুজ ঘাসে শিশিরের স্পর্শ, সর পড়া পুকুরের জল, ভিজে হিম রাস্তার ঝরা পাতার ধূসর চাহনি আর কনকনে উত্তুরে হাওয়ার শীতল কাঁপুনি বলে, ওঠো, জাগো! কম্বলের উয় ওম সরিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি।

সকালের রূপ :

সকলেই জেগে উঠেছে। গোবর জল দিয়ে নিকানো উঠোন। শিশিরে টলমল করে গাছের পাতা। তাতে সূর্যের আলো হাওয়ায় লুটোপুটি খেয়ে হীরকবিন্দুর মতো টলমল করে। হাঁসগুলো প্যাঁক প্যাঁক করতে করতে পুকুরের দিকে এগিয়ে যায়। চোখে পড়ে গাছে বাঁধা খেজুর রসের কলশি। আগের দিন শিউলিরা গাছ কেটে কলশি ঝুলিয়ে রেখে গেছে। ঠান্ডা কনকনে খেজুর রসের স্বাদ অতুলনীয়। তার সঙ্গে পাটালি গুড় আর মোয়ার কথাও মনে পড়ে যায়। 

মাঠে মাঠে পাকা সোনালি ধান। সেই ধানের খেতে বিচিত্র রঙের ফড়িং আর প্রজাপতির মেলা, যেন এক মোহময় রূপ। চাষিরা মাঠে মাঠে পাকাধান কাটতে নামে। কেউ আবার গেয়ে ওঠে-'পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয়রে ছুটে আয়।' খেতে খেতে দেখা যায় নানা শাকসবজির সমারোহ। ফুলকপি, ওলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, বেগুন, টম্যাটো-যেন বর্ণময়তার খেলা। ইচ্ছে হয় টাটকা শিশির ভেজা সবজি তুলে ঝাঁকায় নিয়ে বাজার ও হাটের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে। শীতের আমেজ গায়ে মেখে রাস্তায় কুকুরগুলোও কুন্ডলী পাকিয়ে রোদে শুয়ে আরাম উপভোগ করে। তাদের মানুষের মতো কাজকর্মের তাড়া নেই, তাই অলসভাবে শুয়ে থাকে। একটু দূরে মাঠে খেজুর রস জ্বাল দেওয়ার মিষ্টি গন্ধ নাকে ভেসে আসে। 

শহরের সকালের রূপ সম্পূর্ণ আলাদা। কুয়াশার চাদরে অস্পষ্ট রাস্তাঘাট। ঝাপসা আলোয় ল্যাম্পপোস্টের আলোগুলি যেন কেরোসিনের বাতির মতো টিমটিম করতে থাকে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু হয়ে যায়। লরি, ভ্যান করে বাজারে শাকসবজি আসতে থাকে। 

আবছা অন্ধকারে চায়ের দোকানে ইতিউতি ভিড় চোখে পড়ে। খবর-কাগজওয়ালারা বাড়ি বাড়ি কাগজ দিয়ে বেড়ায়। একটু দেরিতে ভাঙে শহরের ঘুম। তাই রাস্তাঘাটে ভিড় কম। আস্তে আস্তে সূর্য দৃশ্যমান হয়। হইহই করে কেউ কেউ কোনো নদীর ধারে, কোনো জঙ্গলের মধ্যে, অথবা কোনো বাংলো বাড়িতে বনভোজনের উদ্দেশ্যে দলবেঁধে বেরিয়ে পড়ে। তাদের সারাদিন মজা। রোজকার জীবনের গন্ডীবদ্ধতা ভেঙে এ-এক আশ্চর্য স্বাদবদল।

আরও পড়ুন-

Below Post Ad

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.