Ads Area


দেশভ্রমণের উপযোগিতা বাংলা প্রবন্ধ রচনা || Desh Vromoner Upojogita

 দেশভ্রমণের উপযোগিতা বাংলা প্রবন্ধ রচনা

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বর্তমান পাঠক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষায় একটি করে প্রবন্ধ রচনা প্রশ্নপত্রে এসেই থাকে। শব্দসীমা ৫০০ এবং পূর্ণমান ১০। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কোনো উত্তরসংকেত দেওয়া থাকে না কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে উত্তরসংকেত দেওয়া থাকে।

এই নমুনা বাংলা প্রবন্ধরচনা ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে আমরা মধ্য বিভাগের সকল শ্রেনীর বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রদান করবো। নতুন নতুন প্রশ্ন পেতে নিয়মিত আমাদের Website টি Follow করো। যাইহোক, বর্তমান পোস্টে প্রকাশিত "দেশভ্রমণের উপযোগিতা" প্রবন্ধটি মূলত মাধ্যমিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


দেশভ্রমণের উপযোগিতা বাংলা প্রবন্ধ রচনা || Desh Vromoner Upojogita


দেশভ্রমণের উপযোগিতা বাংলা প্রবন্ধ রচনা || Desh Vromoner Upojogita 



দেশভ্রমণের উপযোগিতা


"বিশ্বভুবন আমারে ডেকেছে 'ভাই', 

চার দেওয়ালের গণ্ডি ছেড়ে তাইতো ছুটে যাই।"


ভূমিকা :

ঘর আর পথ-এ নিয়েই মানুষের জীবন। তাই ঘরে থাকতে থাকতে মানুষের মন হাঁফিয়ে উঠলে সে পথে নামতে চায়। মন চলে যায় দূরে, সুদুরতায় হারিয়ে যেতে যেতেও মন জেনে নেয় পৃথিবীর নানা গোপন কথা, অচেনা-অজানা রহস্য। দীর্ঘজীবনের প্রান্তভূমিতে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথও হয়তো তাই বলেছিলেন-

"বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি 

দেশে দেশে কত না নগর রাজধানী।"

আসলে পৃথিবীটা অনেক অনেক বড়ো। অথচ এই পৃথিবীতে দীর্ঘদিন বাস করেও আমরা একবারের জন্যও পথে নামলাম না, দেখলাম না চোখ মেলে কত না শহর-নগর-রাজধানী, কত না মরুপ্রান্তর-বরফচূড়া-শ্যামল বনান্তর। অথচ এমনটা তো হবার কথা ছিল না। পৃথিবীর প্রথম মানুষও কিন্তু ছিল পথিক মানুষ, যাযাবর মানুষ তখন নতুন নতুন বাসভূমির সন্ধানে অরণ্য পর্বতে ঘুরে ঘুরে বেড়াত। অর্থাৎ জন্মসূত্রেই এই পৃথিবীর মানুষ সুদূরের পিয়াসী। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুভূতিতে পূর্ণতার স্বাদ এনে দেয়।

দেশভ্রমণ ও শিক্ষা :

পুথিপোড় জগতের মানুষের জীবনের অসম্পূর্ণতাকে সম্পূর্ণ করে তোলে দেশভ্রমণ। অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের জগৎ তখন চিত্ররূপময় হয়ে ওঠে। প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ, সভ্যতা, সংস্কৃতি, বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিক প্রকৃতি, ভ্রমণের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় যেন মৃন্ময়ী হয়ে ওঠে।

ভ্রমণে মুক্তি :

 গণ্ডিবদ্ধ জীবন আমাদের মনের বিস্তারকে খণ্ডিত করে। জীর্ণ লোকাচার প্রতিদিন আমাদের বেঁধে ফেলে। সেই জীর্ণ লোকাচার, কূপমণ্ডুকতা থেকে ভ্রমণ মনকে মুক্তি দেয়। মানুষের মানসিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিকাশকে ভ্রমণ ত্বরান্বিত করে। মানুষকে করে তোলে মুক্তমনা।

ভ্রমণ-সেকালে একালে :

প্রাচীনকাল থেকেই অনিশ্চয়তাকে সঙ্গে নিয়ে মানুষ একদিন পথচলা শুরু করেছিল। ফা হিয়েন, ইবন বতুতা, হিউয়েন সাঙ থেকে শুরু করে কলম্বাস, ভাস্কো-ডা-গামা এভাবেই ভারতবর্ষে এসেছেন। ভারতবর্ষের সংবাদ পৌঁছে দিয়েছেন সূদূর প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে। সেকালের পথচলার সমস্যা, পদে পদে বিপদ আর আতঙ্ক আজ আর নেই। অবশ্য তাতে পথচলার অ্যাডভেঞ্চার অনেকটাই কমে এসেছে।

শিক্ষার ভ্রমণ :

 ভ্রমণের মাধ্যমেই শিক্ষা পূর্ণতা পায়-এ কথা একালের শিক্ষাবিদেরা সকলেই মনে করেন। একালে তাই বিশেষজ্ঞদের এই মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যালয় বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষামূলক ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এমনকি এবিষয়ে অনেক ক্ষেত্রে সরকারও অনুদান দিয়ে থাকে।

উপসংহার :

 ভ্রমণে প্রাণের সঙ্গে প্রাণের মিলন ঘটে। নতুন জীবনদৃষ্টি আর জীবনীশক্তি দেয় ভ্রমণ। ভ্রমণকে কেন্দ্র করে নানা দেশে আজ গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। এতে বৈদেশিক মুদ্রাও দেশের ঘরে আসে। এই সূত্রে বহু মানুষ বেঁচে থাকার মতো কাজও খুঁজে পায়। তাই একালে দেশভ্রমণ হয়ে উঠেছে জীবিকা অর্জনের হাতিয়ার।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area