Ads Area


নোট বই (সুকুমার রায়) প্রশ্ন ও উত্তর || সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || Nota Bai Questions And Answers

 নোট বই
(সুকুমার রায়)

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর বাংলা বইয়ের কবিতা নোট বইয়ের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে সুকুমার রায়ের এর লেখা কবিতা নোট বই রয়েছে। এই কবিতা থেকে কিছু প্রশ্নপত্র  রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || নোট বই (সুকুমার রায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Nota Bai Questions And Answers


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || নোট বই (সুকুমার রায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Nota Bai Questions And Answers


১) নোট বই কী ধরনের লেখাতে ভরা?

উত্তর: নোটবই 'কিলবিল' লেখাতে ভরা।

২) বক্তা কী করে নিজে নিজে নোট বইটি লিখলেন?

উত্তর: কোথাও কোনো ভালো কথা শুনলেই বক্তা চটপট তা নোটবইতে লিখে ফেলতেন।

৩) "ভালো কথা শুনি যেই চটপট লিখি তায়"-বক্তা কোন্ কোন্ ভালো কথা নোট বইয়ে লিখে রেখেছিলেন?

উত্তর: বক্তা যে যে ভালো কথা নোটবইয়ে লিখে রেখেছিলেন সেগুলি হল- ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙুলে আঠা লাগলে কেন আঙুল চটচট করে এবং গোরুকে কাতুকুতু দিলে কেন গোরু কেন ছটফট করে। এগুলিকেই তাঁর ভালো কথা বলে মনে হয়েছে। 

৪) কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা"-কাল থেকে মনে কী খটকা লেগেছে? এই খটকা কীভাবে দূর হবে? 

উত্তর: ঝোলাগুড় সাবানে না পটকা-কীসে দেয়, তা নিয়ে কথকের মনে আগের দিন থেকে খটকা লেগে আছে।

নোটবইয়ের লেখক এই সব খটকা বা সংশয় নিরসনের জন্য তাঁর মেজদার ওপর নির্ভর করছেন। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস মেজদাকে খুঁচিয়ে তিনি এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারবেন।

৫) "বলবে কী, তোমরাও নোট বই পড়োনি!"- নোট বই পড়লে আর কী কী জানা যাবে?

উত্তর: ফড়িঙের কটা পা, আরশোলা কী কী খায়, আঙুলে আঠা লাগলে আঙুল কেন চটচট করে, কাতুকুতু দিলে গোরুর ছটফট করার কারণ কী ইত্যাদি বিষয়গুলি কথক দেখে এবং শিখে নোটবইয়ে লিখেছেন। এ ছাড়াও জোয়ানের আরকে ঝাঁজ, তেজপাতার তেজ থাকার বা লঙ্কার ঝাল হওয়ার প্রকৃত রহস্যগুলি নোটবইয়েই জানা সম্ভব। এর বাইরেও নোটবইয়ে পাঠক জেনে নিতে পারবে পেট কামড়ানোর কিংবা নাক ডাকার প্রকৃত কারণ বা পিলে চমকানোর ব্যাখ্যা অথবা 'দুন্দুভি' কার নাম এবং 'অরণি' কাকে বলে।

৬) ভালো কোনো কথা শুনলে কবিতার লোকটি কী করে?

উত্তর: ভালো কোনো কথা শুনলেই কবিতার লোকটি তা নোটবইয়ে চটপট লিখে নেয়।

৭) তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উত্তর: কবিতায় উল্লিখিত ব্যক্তিটির শোনা ভালো কথার কয়েকটি নমুনা হল-ফড়িঙের ক-টা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙুলে আঠা দিলে কেন আঙুল চটচট করে এবং কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে।

৮) কিলবিল, ছটফট, কটকট এগুলি কী ধরনের শব্দ?

উত্তর: প্রশ্নে উল্লিখিত শব্দগুলির সবকটিই হল ধ্বন্যাত্মক শব্দ।

৯) 'মাথাঘামানো' এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ কী?

উত্তর: এই শব্দবন্ধটির অর্থ হল মস্তিষ্ক ব্যবহার করা অর্থাৎ বুদ্ধি খাটানো।

১০) ভালো কোনো প্রশ্ন মনে এলে বক্তা কার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তা জেনে নেন?

উত্তর: ভালো কোনো প্রশ্ন মনে এলে প্রশ্নটি নোটবুকে গুছিয়ে লিখে রেখে বক্তা তাঁর মেজদার কাছ থেকে উত্তরটা জেনে নেন।

১১) মানুষের কাছে নোট বই থাকাকে কি তুমি জরুরি বলে মনে করো?

উত্তর: মানুষের কাছে নোটবই থাকা অবশ্যই জরুরি। তাতে, দরকারি সমস্ত বিষয়ই সঙ্গে সঙ্গে নোট করে বা লিখে রাখা যায়।

১২) তুমি যদি নোট বই কাছে রাখো, তাতে কী ধরনের তথ্য লিখে রাখবে?

উত্তর: নোটবই কাছে রাখলে তাতে আমার না-জানা এবং নতুন নতুন প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে রাখব। 

১৩) 'আগাগোড়া' এমন বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরি পাঁচটি শব্দ লেখো।

উত্তর: আশা-নিরাশা, বাদ-প্রতিবাদ, ধনী-দরিদ্র, দিন-রাত, জয়-পরাজয়।

১৪) কবিতাটিতে কোন্ কোন্ পতঙ্গের উল্লেখ রয়েছে?

উত্তর: কবিতাটিতে ফড়িং এবং আরশোলার উল্লেখ রয়েছে।

১৫) কবিতায় উত্থাপিত কোন্ কোন্ প্রশ্নের উত্তর তুমি জান? 

উত্তর: কবিতায় উল্লিখিত প্রশ্নগুলির মধ্যে 'ফড়িঙের ক'টা ঠ্যাং' এবং 'ঝাল কেন লঙ্কায়'-এর উত্তর আমার জানা। ফড়িঙের ছটা ঠ্যাং যাকে আর লঙ্কায় ক্যাপসিসিন রাসায়নিক পদার্থ উপস্থিত থাকায় এটি ঝাল হয়। 

১৬) কোন্ প্রশ্নগুলি পড়ে কবিতাটিকে তোমার কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে?

উত্তর: গোরুকে কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে, পিলে চমকায় কেন, সাবান না পটকা-ঝোলাগুড় কীসে দেয়-কথকের মাধ্যমে এই ধরনের প্রশ্নগুলি উত্থাপনের জন্য কবিতাটিকে কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে।

১৭) 'নোট বই' কী ধরনের লেখাতে ভরা? 

উত্তর: 'নোটবই' কিলবিল লেখাতে ভরা।

১৮) 'নোট বই' পড়লে কী কী জানা যায়?

উত্তর: নোটবই পড়লে ফড়িঙের ক-টা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, হাতে আঠা লাগলে চটচট করে কেন, কাতুকুতু দিলে গোরু ছটফট করে কেন ইত্যাদি জানা যায়।

১৯) "নিয়ে আয় লণ্ঠন"-কে লণ্ঠন নিয়ে আসবে?

উত্তর: রামা ছুটে লণ্ঠন নিয়ে আসবে।

২০) "এই দেখো পেনসিল, নোটবুক এ হাতে।" -এই নোটবুকের প্রয়োজন কী?

উত্তর: হাতে পেনসিল আর নোটবুক থাকলে যে কথাগুলি দরকারি মনে হয়, সেগুলি চটপট লিখে রাখা যায়। ফড়িঙের কটা পা, আরশোলার খাদ্য থেকে আঠার চটচটে ধর্ম কিংবা কাতুকুতু দিলে গোরুর ছটফট করার কারণ সবই নোটবুকে লিখে ফেলা যায়। এসব অজস্র লেখায় নোটবুক ভরতি হয়ে যায়।

২১)"বলো দেখি পারো কে?"-কী পারার কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে পেট কেন কামড়ায় তার উত্তর দিতে পারার কথা বলা হয়েছে।

২২)'নোটবই' কবিতার লোকটি মেজদার কাছ থেকে কীসের উত্তর জানবেন?

উত্তর: কবিতার লোকটি মেজদার কাছ থেকে ঝোলাগুড় কীসে দেয় সাবান না পটকায়-এই প্রশ্নের উত্তর জানবেন।

২৩) 'দুন্দুভি' ও 'অরণি' শব্দদুটির অর্থ লেখো।

উত্তর: 'দুন্দুভি' হল নাকারা বা দামামা জাতীয় প্রাচীন রণবাদ্য আর 'অরণি' হল এক বিশেষ ধরনের কাঠ, যার ঘর্ষণে আগুন জ্বলে। 'চকমকি' পাথরকেও 'অরণি' বলা হয়ে থাকে।

২৪)"কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা"- কবি কে? কোন্ বিষয়ে তাঁর মনে খটকা লেগে আছে? 

উত্তর: উল্লিখিত অংশটির কবি হলেন সুকুমার রায়।  গতদিন থেকে কবির তথা কথকের মনে এই খটকা লেগেছিল যে, ঝোলাগুড় কীসে দেয়-সাবানে না পটকায়। মেজদাকে খুঁচিয়ে উত্তরটা জেনে নেবেন বলে প্রশ্নটাকে তিনি গুছিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।

২৫) 'নোট বই' পড়লে কী কী জানা যায় লেখো।

উত্তর: নোটবই পড়লে ফড়িঙের ক-টা পা, আরশোলা কী কী খায়, আঙুলে আঠা লাগলে আঙুল চটচট করার কারণ, কাতুকুতু দিলে গোরুর ছটফট করার কারণ প্রভৃতি সম্বন্ধে জানা যায়। এ ছাড়া, তেজপাতায় তেজ কেন অথবা লঙ্কায় কেন ঝাল, জোয়ানের আরকে কেন ঝাঁঝ এসব প্রশ্নের উত্তর যেমন নোটবুক থেকে জানা যায়, ঠিক সেরকমই নাক ডাকা আর পিলে চমকানোর কারণও নোটবুকেই লেখা আছে। দুন্দুভি কার নাম ও অরণি কাকে বলে তাও নোটবই থেকেই জানা যায়।

২৬)"বলবে কী, তোমরাও নোট বই পড়োনি!"- কার লেখা কোন্ কবিতার অংশ? বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: সুকুমার রায়ের লেখা 'নোট বই' কবিতার অংশ।বক্তা বলতে চেয়েছেন যে চারপাশের জগৎ থেকে অসংখ্য প্রশ্ন জাগতে পারে, নোটবই না পড়লে সেইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না।

২৭) 'নোট বই' কবিতায় কবি পাঠকদের কোন্ সত্যের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন?

উত্তর: 'নোট বই' কবিতায় আপাতভাবে মনে হতে পারে যে, কবিতার কথক অনেক অর্থহীন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু এর আড়ালে কবি মানুষের প্রশ্ন করার আগ্রহকে উৎসাহিত করেছেন এবং বুঝিয়েছেন যে, মনোযোগ, ইচ্ছা ও জানার আগ্রহ থাকলেই উত্তরের সন্ধান পাওয়া যাবে।

আরও পড়ো- 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area